কোচবিহার, 28 নভেম্বর: দীর্ঘ 17 দিনের লড়াই শেষে অবশেষে সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে এলেন উত্তরকাশীর টানেলে আটকে পড়া কোচবিহারের তুফানগঞ্জের শ্রমিক মানিক তালুকদার। আর এই খবর বাড়িতে পৌঁছতেই খুশির হাওয়া বলরামপুরের তালুকদার পরিবারে ৷ মঙ্গলবার রাতে মানিক তালুকদার উদ্ধার হওয়ার পর কথা বলেছেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ৷ তবে উদ্ধার হওয়ায় খুশিতে আত্মহারা পরিবার-পরিজনরা ৷
খুশিতে সবাই উলু দিয়ে ও শঙ্খ বাজিয়ে দিয়ে প্রতিবেশী ও বাড়ির সদস্যরা মিষ্টিমুখ করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় 6 মাস হল মানিকবাবু উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী এলাকায় সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে হায়দরাবাদের এক কোম্পানির হয়ে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজে যান। গত 12 নভেম্বর রবিবার রাতে সেই সুড়ঙ্গে ধ্বস নামে। সেখানে বিভিন্ন রাজ্যের মোট 41 জন শ্রমিক আটকে পড়েন। তাঁদের মধ্যে বাংলার 3 জন ছিলেন। দীর্ঘ 17 দিনের লড়াই শেষে এদিন উদ্ধার হন তাঁরা। এর পাশাপাশি হুগলির দু'জন শ্রমিকও উদ্ধার হয়েছেন অভিশপ্ত টানেল থেকে ৷
উল্লেখ্য, এদিন মাত্র 38 মিনিট 21 সেকেন্ডেই শেষ হয়েছে শ্রমিক উদ্ধার অভিযান পর্ব ৷ উদ্ধারকারী দলের নিরলস প্রচেষ্টায় প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলেই ৷ আর তারপরই গোটা দেশজুড়ে ছড়ি পড়েছে স্বস্তি ৷ উদ্ধার হওয়ার পর মানিক তালুকদারের ছেলে মণি তালুকদার বলেন, "রাজ্যে কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে তাই বাবাকে বাইরে কাজ করতে যেতে হয়েছে। এরপর বাবাকে বাইরে কাজ করতে পাঠাব কি না, তা ভাবতে হবে।"
আটকে পড়ার খবর পেয়ে তুফানগঞ্জ হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী সোমা তালুকদার। কয়েকদিন অসুস্থ হয়ে থাকার পর বাড়ি ফিরেছেন। এদিন উদ্ধার হওয়ার পর তাঁর স্বামীকে তিনি ভিডিয়োতে দেখেছেন। কথা হয়েছে ৷ স্বামী বাড়ি ফিরে আসলে সবচেয়ে বেশি খুশি হবে বলে জানান তিনি ৷ এদিন মানিক তালুকদারের বাড়িতে উদ্ধারের খবর পেয়ে বলরামপুর গ্রামের বাসিন্দারা মানিকবাবুর বাড়িতে হাজির হয়েছেন। তাঁরা সবাই একে-অপরকে মিষ্টি মুখ করান। উল্লাসে মেতে ওঠেন। বাজি-পটকা ফাটানো হয়।
আরও পড়ুন: