কোচবিহার , 4 এপ্রিল : "বন্ধ কাজকর্ম, কীভাবে চলবে ? রেশনের চাল ক'দিন খাব? একদিনেই তো শেষ হয়ে যাবে ৷ বাচ্চারা কী খাবে ? সরকারের নির্দেশে রেশন দোকান থেকে যে পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে তা একদিনেই শেষ হয়ে যাবে ৷ বাকি দিনগুলি কী খাব? সরকার যদি রেশন সামগ্রী বেশি করে না দেয়, তাহলে অনাহারে থাকতে হবে ৷ ঘরে যা মজুত ছিল তা কয়েকদিন আগেই শেষ হয়ে গেছে ৷" বলছেন কোচবিহারের শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা ৷ তাঁরা চিন্তিত ৷ অন্ন সংস্থানের চিন্তা তাঁদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে ৷
1 এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে রেশনে খাদ্যসামগ্রী বণ্টন ৷ এর মধ্যেই সামনে আসছে একাধিক অভিযোগ ৷ কর্মহীন শ্রমিকদের অভিযোগ, সরকারের তরফে তাঁরা খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছেন ঠিকই তবে তা সামান্য ৷ তাঁদের প্রয়োজন মিটছে না ৷ আবার অধিকাংশ রেশন দোকান থেকে ঠিকমতো খাদ্যসামগ্রী দেওয়াও হচ্ছে না ৷ রেশন ডিলাররা গ্রাহকদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করছেন ৷ রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে কোচবিহারের মাথাভাঙা ও মেখলিগঞ্জ ব্লকের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভের ঘটনা সামনে এসেছে ৷ অভিযুক্ত ডিলারদের লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী ৷
কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ পৌরসভা এলাকার 8 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফুলেশ্বরী ঘোষ, পম্পি অধিকারীদের কথায়, "আমাদের রেশন দোকান থেকে যে পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে তা খুবই সামান্য ৷ একবেলা খেলেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাকি দিনগুলিতে কী খাব ৷ বাচ্চাদের কী খাওয়াব ৷ রেশনের সামগ্রী দেওয়া নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে ৷ প্রশাসনের বিষয়টির দিকে নজর দেওয়া উচিত ৷"একই সুর শোনা গেল উঁচলপুকুরির পূরণবালা বর্মণ, কানু রায়, দীনেশ বর্মণদের গলায় ৷
প্রসঙ্গত, রেশনের সামগ্রী বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে দুদিন আগেই মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ কোচবিহারের বিভিন্ন রেশন দোকান পরিদর্শন করেন ৷ সেদিন তিনি জানিয়েছিলেন, রেশন সামগ্রী বিতরণে ঠিকমতো হচ্ছে ৷ কোথাও কোনও অসুবিধা নেই ৷