কোচবিহার, 30 নভেম্বর: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কোচবিহারের একাধিক জায়গায় সিবিআই হানা । নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সিবিআই হানা দিলেও কোচবিহারে এতদিন সিবিআই হানার খবর পাওয়া যায়নি । নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এই প্রথম কোচবিহারে সিবিআই হানার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে ।
বৃহস্পতিবার সকালে কোচবিহার-2 ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সজল সরকারের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই । সেখানে কিছুক্ষণ থেকে কোচবিহারের পরেশ কর চৌপথি এলাকার এক বিএলএড কলেজের মালিকের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা । অভিযানের সময় ওই বাড়িতে কেউ ছিল না । প্রতিবেশীদের সঙ্গে সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা কথা বলেন ৷
তার পর সেখান থেকে সোজা ওই বিএলএড কলেজে চলে যান তাঁরা । কোচবিহার-2 ব্লকের টেঙ্গনমারী এলাকার ওই বিএলএড কলেজে ঢুকেই সোজা কলেজের অফিস রুমে যায় সিবিআই ৷ কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা । এদিকে এ দিন ওই বিএলএড কলেজে নবীনবরণ (ফ্রেশার্স ওয়েলকাম) ছিল । ফলে কলেজে আসা নবাগত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয় ৷
তবে এই অভিযান নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি । এই অভিযান নিয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল নেতা সজল সরকারেরও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷
যদিও শুধু কোচবিহার নয়, রাজ্য়ের আরও একাধিক জায়গায় এ দিন হানা দিয়েছে সিবিআই ৷ এর মধ্যে দু’জন তৃণমূল কাউন্সিলরও রয়েছেন ৷ বিধাননগরের তৃণমূল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তী ও কলকাতা পৌরনিগমের তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর বাড়িতে সিবিআইয়ের অভিযান চলে ৷
বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত ৷ পার্থ নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়ে প্রায় দেড় বছর জেলে রয়েছেন ৷ বাপ্পাদিত্যর বাড়িতেও নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেই অভিযান চলে বলে সিবিআই সূত্রে খবর ৷ অন্যদিকে দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে কোন বিষয়ে সিবিআই অভিযান, সেটা স্পষ্ট নয়৷ সূত্রের খবর, তাঁর বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসা ও নিয়োগ দুর্নীতি, দু’টি মামলাতেই অভিযোগ রয়েছে ৷ ফলে এ দিনের অভিযান, কী কারণে তা জানা যায়নি ৷
আরও পড়ুন: