কোচবিহার, 12 সেপ্টেম্বর : ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রথমবার কাঠগড়ায় বিজেপি ৷ আর সেই ঘটনায় 3 বিজেপি কর্মী-সহ 4 জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই ৷ কোচবিহারের তুফানগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে চিলাখানায় তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত 3 বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ এ ছাড়া আরও 1 জনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ৷ ধৃতদের আজ তুফানগঞ্জ আদালতে তোলা হয় ৷ সেখানে বিচারক অভিযুক্তদের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন ৷ ধৃতদের মধ্যে তিন বিজেপি কর্মী হল ঈশ্বর দাস, মিহির চন্দ এবং গোবিন্দ দাস ৷
ভোট পরবর্তী হিংসায় কোচবিহারে অনেকে রাজনৈতিক হিংসার শিকার ৷ বহু মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান বলেও অভিযোগ ৷ যে ঘটনায় রাজ্যের শাসকদলের উপরেই মূলত অভিযোগের আঙুল উঠেছে ৷ বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, তাদের নেতা কর্মীদের খুন করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ৷ এমনকি বাড়িঘর ভাঙচুর, মহিলাদের ধর্ষণের মতো অভিযোগও উঠেছে ৷ যে ঘটনায় বহুবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতারা ৷ সেই পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয় ৷ তার ভিত্তিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নেতৃত্বে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট পেশ করতে বলে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ সেই রিপোর্ট জমা পড়তেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইকে তদন্তভার দেয় আদালত ৷
আরও পড়ুন : Bhabanipur By Election: ‘ভবানীপুরের ঘরের মেয়ে’, মমতার হয়ে প্রচারে বললেন ফিরহাদ
আজ সেই তদন্তেই বিজেপির 3 কর্মী-সহ মোট 4 জনকে গ্রেফতার করে সিবিআই ৷ অভিযোগ, ভোট পরবর্তী হিংসায় তুফানগঞ্জের চিলাখানার বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী সাইনুল ইসলামকে হত্যা করেছে এই 4 জন ৷ যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ কোচবিহারের বিজেপি সভাপতি তথা তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতি রাভা রায় ৷ তাঁর দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই ওই তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে ৷ ধৃত বিজেপি কর্মীদের ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি ৷ তবে, সিবিআইয়ের উপর বিজেপির ভরসা আছে বলে জানিয়েছেন মালতি রাভা ৷ সঠিক তদন্তে সত্যিটা উঠে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি ৷ অন্যদিকে, এই গ্রেফাতারি নিয়ে কোচবিহারের তৃণমূল নেতা আব্দুল জলিল আহমেদ জানিয়েছেন, তাঁরা চান সিবিআই নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করুক ৷
আরও পড়ুন : Vadhu Festival: বাংলার লোকসংস্কৃতি ভাদু উৎসবকে বাঁচাতে তৎপর কাঁকসার বাগদি সমাজ