কোচবিহার, 11 এপ্রিল: গভীর রাতে বোমাবাজি ! তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতির বাড়ি লক্ষ করে বোমা ছোড়ার অভিযোগ ৷ কাঠগড়ায় গেরুয়াশিবির ৷ অভিযোগ অস্বীকার বিজেপির ৷ পালটা তাদের দাবি, সবই আসলে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফল ! মানতে নারাজ তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব ৷ ঘটনা ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা-1 ব্লকের পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৷ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আরও একটি বোমা ৷ তদন্ত শুরু করেছে মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ ৷
তৃণমূল কংগ্রেসের পচাগড়ের অঞ্চল সভাপতি সঞ্জয় বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমকে জানান, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট ৷ তাই সারাদিনই দলের কাজে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে তাঁকে ৷ সোমবার রাতে দলীয় সহকর্মীরা তাঁর বাড়িতে আসেন ৷ প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে সংগঠন ও ভোটের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা চলে ৷ এরপর রাত প্রায় পৌনে একটা নাগাদ শুতে যান সঞ্জয় ৷ ঘুমিয়ে পড়েন ৷ ঘুম ভাঙে রাত পৌনে দু'টো নাগাদ ৷ আর তা ভাঙে এক বিকট ও ভয়াবহ শব্দে ! সঞ্জয়ের দাবি, ঘুম চোখে প্রথমে কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না তিনি ৷ কিছুটা ধাতস্থ হওয়ার পর দরজা খুলে বাড়ির বাইরে বের হন ৷ দেখেন, দরজার বাইরে, উঠোনে ধোঁয়া ভরে গিয়েছে ! চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে সুতলি দড়ি, টিনের টুকরো প্রভৃতি ! সঞ্জয় বুঝতে পারেন, বোমা ফেটেছে ! তাঁর দাবি, কেউ বা কারা রাতের অন্ধকারে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে ! এর জন্য প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকেই দায়ী করেন তিনি ৷
সঞ্জয়ের অভিযোগ একবাক্যে খারিজ করে দিয়েছেন জেলা বিজেপির 4 নম্বর মণ্ডলের সভাপতি শেখর রায় ৷ তাঁর পালটা দাবি, এই এলাকায় তৃণমূলের অন্তত তিনটি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে ৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোন গোষ্ঠীর লোক টিকিট পাবে, তা নিয়েই শুরু হয়েছে কোন্দল ৷ এই বোমাবাজিও তারই ফসল ! এর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই ৷
আরও পড়ুন: ছেলের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত বাবা
এদিকে, বোমা বিস্ফোরণের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ ৷ ঘটনাস্থল থেকে আরও একটি বোমা উদ্ধার করা হয় ৷ সঞ্জয় বিশ্বাসের বাড়ির চারপাশ তল্লাশি করে দেখা হয় ৷ তবে, নতুন করে আর কোনও বোমা পাওয়া যায়নি ৷ কে, বা কারা এই ঘটনা ঘটাতে পারে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷