কোচবিহার, 19 জুন: ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুন হয়েছেন দিনহাটার বিজেপি প্রার্থী বিশাখা দাসের দেওর শম্ভু দাস। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানালেন কোচবিহারের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার। যদিও পুলিশের তদন্তের আগেই কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন খোদ রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ ৷ ইতিমধ্যে এই ঘটনায় মৃত শম্ভু দাসের মামাতো ভাইকে গ্রেফতার করেছে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও পুলিশ সুপারের দাবি, মানতে নারাজ মৃতের পরিবার ও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
শনিবার রাতে দিনহাটা-2 ব্লকের টিয়াদহ গ্রামে খুন হন বিজেপি প্রার্থী বিশাখা দাসের দেওর শম্ভু দাস। বাড়ি থেকে কিছু দূরে পাটক্ষেতে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পরই বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরা ভয় দেখানোর জন্যই ওই বিজেপি কর্মীকে খুন করেছে ৷ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল। পালটা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, "এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। প্রেমঘটিত কারণেই এই খুন।"
রাজ্যের মন্ত্রীর এই বক্তব্যের নির্যাসই কার্যত উঠে এল পুলিশি তদন্তেও ৷ সোমবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে সেই ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্কের জেরে এই খুন বলে দাবি করলেন জেলা পুলিশ সুপারও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামেরই এক সহপাঠির সঙ্গে শম্ভুর মামাতো ভাইয়ের প্রেম ছিল। এর মধ্যে সেই সম্পর্কে শম্ভুও ঢুকে পড়ে। এরপরই ওই রাতে শম্ভুকে কুপিয়ে খুন করা হয়।
আরও পড়ুন: হাইজ্যাক আতঙ্ক, প্রার্থীদের গোপন ডেরায় রাখল বিজেপি !
মৃত শম্ভু দাসের দাদা চিত্ত দাসের দাবি, পুলিশ তৃণমূলের কথাতেই চলছে। একই অভিযোগ বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায়েরও। তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনে পুলিশ এসব কথা বলছে বলেও অভিযোগ বিজেপির। অপরদিকে, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর দাবি করে বলেন, "পুলিশ সুপার কী বলেছেন জানি না। তবে গতকাল ঘটনার পর আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি মৃত শম্ভু দাস কোনও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন ৷ প্রেম ঘটিত কারণেই এই খুন হয়েছে। সেটাই প্রমাণিত হল।"