কোচবিহার, 12 জুলাই: ভোটের ময়দানে প্রথমবার লড়াইয়ে নেমে হেরে গেলেন রাজ্যের একমাত্র তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী পিংকি বর্মন। কোচবিহারে বিজেপির জেলা পরিষদের প্রার্থী পিংকি তাঁর রোজগারের গচ্ছিত টাকায় ভোটে লড়াই করেছিলেন। কিন্তু ভাঙেনি মনোবল ৷ আগামিদিনে লোকসভা নির্বাচনে দলের হয়ে কাজ করতে চান আত্মবিশ্বাসী পিংকি ৷
বিরোধী দলের সঙ্গে কঠিন লড়াই করতে হয় তাঁকে। তার দাবি, মানুষ তাঁর সমর্থনে ভোট দিয়েছে। কিন্তু, শাসক দল তৃণমূল বেশ কয়েকটি এলাকায় ছাপ্পা ভোট দিয়ে তাঁকে পরাজিত করেছে। পাশাপাশি, গণনা কেন্দ্রে ত্রুটির জন্য তাঁকে হার মেনে নিতে হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, গ্রাম পঞ্চায়েত ও বুথে ভোট গণনাব সময়ে ত্রুটি হয়েছিল। রাত দু'টোর সময় গণনা ৷ তিনি একা ছিলেন ৷ গণনার ত্রুটি বুঝতে পারলেও কাউকে বলতে পারেননি ৷ তার জন্যই হেরে গিয়েছেন। শাসকদল তৃণমূলের কংগ্রেসের প্রার্থী শুক্লা ধর তাঁর থেকে প্রায় 9 হাজার ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছেন। এই ভোটে হেরে গিয়ে বিজেপি ছাড়তে বা অন্য কিছু ভাবতে রাজি নন পিঙ্কি। ভবিষ্যতে বিজেপি দলের নেতৃত্বে ও নির্দেশ মেনে কাজ করতে চান বলে তিনি ।
রাজ্য রাজনীতিতে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী পদে দাঁড়িয়েছিলেন বৃহন্নলা পিঙ্কি বর্মন। কোচবিহারের মাথাভাঙা এক নং ব্লকের বৈরাগীহাট এলাকার বাসিন্দা তিনি। মেখলিগঞ্জ ব্লকের বড়কামাত গ্রাম তাঁর জন্মভিটে। মাথাভাঙার বৈরাগীহাট এলাকায় বসবাস শুরু করেন। সেই এলাকায় তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন বৃহন্নলা বসবাস করেন।
আরও পড়ুন: বিজয় মিছিল থেকে বাড়িতে বোমা, কংগ্রেস কর্মীকে খুনের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
দীর্ঘদিন ধরেই নানারকম সমাজকল্যাণ মূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত পিংকি ৷ অসহায় মানুষের জন্য বৃদ্ধাশ্রম বানিয়েছেন, অনাথ শিশুদের জন্য পাঠশালা ও আশ্রম বানিয়েছেন। পিংকি সমাজ তৈরির অন্যতম কাণ্ডারি হিসাবে যথেষ্ট পরিচিতিও পেয়েছেন ৷ তাঁর এই জনপ্রিয়তা ও সমাজসেবামূলক কাজ দেখে কোচবিহারের জেলা পরিষদের 9 নং আসনে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। মনোনীত প্রার্থী পদ পেয়ে নিজের খরচায় জোরদার প্রচারও করেছিলেন তিনি। এই লড়াই আগামিদিনেও চলবে বলে জানান পিংকি ৷