শীতলকুচি, 14 এপ্রিল : 10 এপ্রিল বিধানসভা নির্বাচনে চতুর্থ দফার দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জনের প্রাণহানি হয় ৷ কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল বুথের মধ্যে ? কেনই বা বাহিনী গুলি চালাল ৷ এবার এই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায় ৷ যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে বাহিনীর গুলিতে এক যুবক লুটিয়ে পড়েছে বুথের সামনে ৷ তারপরই পুলিশ ও জনতা খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় ৷ হাতে লাঠি সোঁটা নিয়ে উত্তেজিত জনতাকে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে ধাওয়া করে ৷ উত্তেজিত জনতা স্কুল বাড়িতেও ভাঙচুর করতে থাকে ৷
ঘটনায় আরও 3 জন আহত হন ৷ সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই এবার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দেয় তৃণমূল কংগ্রেস ৷ যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং কোচবিহারের কমিশন নিযুক্ত জেলা পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয় ৷
আরও পড়ুন : নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস মমতার
তবে গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে সাফাই দেয় কমিশন ৷ পর্যবেক্ষকের রিপোর্টকে উল্লেখ করে কমিশনের তরফে বলা হয়, জোরপাটকিতে সকাল সাড়ে 9টা নাগাদ টহল দিতে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ ৷ কিন্তু ওই সময় প্রায় 50-60 জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর আক্রমণ করে ৷ যারা আক্রমণ করে তারা ভোটারদের বুথে যেতে বাধা দিচ্ছিল বলে অভিযোগ ৷ পরে সিআইএসএফ-এর একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন ৷
আরও পড়ুন : শীতলকুচিতে 4 জনের মৃত্যুতে বাহিনীর বিরুদ্ধে কমিশনকে চিঠি তৃণমূলের
তার পর পরিস্থিতি শান্ত হয় ৷ কিন্তু ঘণ্টাখানেক পর পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ৷ পর্যবেক্ষকের তরফে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, প্রায় দেড়শো জন আমতলি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের বুথে আক্রমণ করে ৷ ভোটকর্মীদের মারধর করা হয় ৷ আশা কর্মী, হোম গার্ডদের হেনস্থা করা হয় ৷ সিআইএসএফ পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে তাদের আক্রমণ করা হয় ৷ আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় ৷ পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যায় ৷ আর নিজেদের বাঁচাতে 7 রাউন্ড গুলি ছোড়েন জওয়ানরা ৷ তাতেই চার জনের মৃত্যু হয় ৷ আহত হন কয়েকজন ৷