কোচবিহার: 9 মে: কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের সুটুঙ্গা নদী থেকে প্রাচীন ধাতব মুদ্রা উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল৷ মুদ্রাগুলি প্রকৃতপক্ষে কোন ধাতুর তৈরি তা জানা না গেলেও নদীতে রৌপ্যমুদ্রা মিলছে বলে রটে যায় গতকাল। এরপরই নদী থেকে মুদ্রা সংগ্রহে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা৷ এরপর তাঁরা বেশ কিছু প্রাচীন মুদ্রা সংগ্রহও করেন। স্থানীয়দের দাবি, এগুলি রৌপ্য মুদ্রা। পরে স্থানীয় পুলিশ এসে মুদ্রাগুলি উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, মুদ্রাগুলি কোন ধাতুর, কোন সময়ের তা জানার জন্য বিশেষজ্ঞের কাছে সেগুলিকে পাঠানো হচ্ছে।
মেখলিগঞ্জের সুটুঙ্গা নদী থেকে প্রাচীন ধাতব মুদ্রা পাওয়া যাচ্ছে এই খবর অচমকাই রটে শুক্রবার৷ এরপর কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জের জামালদহ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শিকারপুর এবং 165 উঁচলপুকুরির গ্রামবাসীরা নদীর ধারে মুদ্রা সংগ্রহে ছুটে আসেন। যেহেতু লোকমুখে রটে যায় নদীতে প্রাচীন রৌপ্যমুদ্রা পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার প্রায় কেজি দেড়েক প্রাচীন মুদ্রা উদ্ধার হয়। স্থানীয়রা আরও জানাচ্ছেন, রুপোলি ধাতুর উপর প্রাচীন ভাষায় কিছু লেখা রয়েছে ওই মুদ্রার উপরে। মুদ্রা ভেবে তাঁরা সেগুলি সংগ্রহ করলেও ঠিক কোন ধাতুর সেগুলি, আদৌ দামি কোনও ধাতুর তৈরি কি না, সেই বিষয় সংশয় রয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যেও। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে পৌঁছায় মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ৷
OC রাজু সোনার সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থানে পৌঁছে বাসিন্দাদের জমায়েত সরিয়ে দেয়। পাশাপাশি বাসিন্দাদের কাছে থেকে প্রাচীন ধাতব মুদ্রাগুলি তাঁরা উদ্ধার করেন। পুলিশ গ্রামবাসীদের থেকে সব মিলিয়ে 25টি মুদ্রা সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। মুদ্রাগুলি সম্পর্ক জানতে সেগুলিকে বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ।
এই বিষয়ে মেখলিগঞ্জ থানার তরফে জানানো হয়, মেখলিগঞ্জের সুটুঙ্গা নদী থেকে ধাতব মুদ্রাগুলি উদ্ধার হয়েছে। এখনও পর্যন্ত 25টি ধাতব মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলি আসলে কী, কোন ধাতুর, কোন সময়ের তা পরীক্ষা করে দেখার ব্যবস্থা হচ্ছে।"