কোচবিহার, 22 মে : "দলের ভিতরে যারা গদ্দার, দলকে পিছন থেকে ছুরি মেরেছে তাদের নাম চিহ্নিত করা হয়েছে। এই গদ্দারদের দল থেকে তাড়াতে হবে ।" কাল ভোট গণনা । এর আগে দুপুরে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ । বিষয়টি নিয়ে BJP নেতৃত্বের বক্তব্য, তৃণমূল হেরে যাবে বুঝতে পেরেই আগেভাগে তিনি পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন ।
কোচবিহার রবীন্দ্রনাথ ঘোষের গড় বলে পরিচিত । গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোচবিহার জেলা পরিষদের পাশাপাশি কোচবিহার জেলার 12টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নেয় তৃণমূল । এই লোকসভার অন্তর্গত 7টির মধ্যে 6টি বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক রয়েছেন । একটিতে রয়েছেন বামদের বিধায়ক । কিন্তু গত কয়েক বছরে জেলায় BJP-র সংগঠন বেশ মজবুত হয়েছে । পাশাপাশি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই শাসকদলের অন্দরে গোষ্ঠী কোন্দলও প্রকাশ্যে আসে । ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনেও জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটে । নির্বাচনের আগে ও পরে 2 ছাত্রসহ মোট 6 জন মারা যান । পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি । আর এই কোন্দলের জেরেই বিদায়ি সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় এবার টিকিট পাননি । তাঁর জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছিল পরেশ অধিকারীকে । তিনি কিছুদিন আগেই ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন । তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়েও দলের অন্দরে ক্ষোভ ছিল ।
গত 11 এপ্রিল নির্বাচন হয় কোচবিহারে । নির্বাচনের আগে ও পরে নিজেদের জয় নিয়ে আশাবাদী ছিল তৃণমূল । কিন্তু বিভিন্ন এগজ়িট পোলের সমীক্ষায় দেখা যায়, কোচবিহার কেন্দ্রে তেমন ভালো ফল করার সম্ভাবনা নেই তৃণমূলের । এরপরই রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন । লেখেন, "যে সব চ্যানেল এগজ়িট পোল করেছে ভেবে দেখবেন এই চ্যানেলগুলির মালিক BJP-র নেতা বা মন্ত্রী । আর এইসব চ্যানেল টাকার বিনিময়ে কাজ করে । 23 মে এটা প্রমাণ হয়ে যাবে ।"
এই প্রসঙ্গে BJP নেতা নিশীথ প্রামাণিক বলেন, "কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী পরেশচন্দ্র অধিকারী হেরে যাবেন, এটা আগেভাগেই বুঝতে পেরেছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ । তাই আগের দিন এধরনের মন্তব্য পোস্ট করছেন তিনি ।"