চ্যাংরাবান্ধা, 22 এপ্রিল : প্রশাসনিক অনুমতি নিয়ে গেলেও বাংলাদেশের জ়িরো পয়েন্টের সীমান্তে আটকে পড়েন একাধিক ভারতীয় ট্রাক চালক । অথচ সেই জ়িরো পয়েন্ট দিয়েই চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তর মাধ্যমে ভুটানে ওষুধ পাঠাল বাংলাদেশ । আর তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আটকে পড়া ওই চালকদের পরিবার । তাদের অভিযোগ, ভারতীয় ট্রাক চালকদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে নিষ্ক্রিয় প্রশাসন ।
ভুটানে ভিটামিন ওষুধ পাঠায় বাংলাদেশ । এই ওষুধ সরবরাহ জরুরি পরিষেবার আওতায় আসায় তা বাংলাদেশ থেকে ট্রাকে করে বুড়িমারি সীমান্তে নিয়ে আসা হয় । তারপর চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ জ়িরো পয়েন্ট এলাকায় ওষুধগুলি ভারতীয় ট্রাকে বোঝাই করে দেওয়া হয় । তারপর তা পাঠানো হয় ভুটান সীমান্তে । এই একই পথ দিয়ে দু'সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে পাট বীজ নিয়ে যান ভারতের 61 জন ট্রাক চালক । কিন্ত তাঁরা জ়িরো পয়েন্টে গিয়ে আটকে পড়েন ।
গতকাল বাংলাদেশের ট্রাক ওষুধ পৌঁছে দিয়ে ফিরে যেতে পারলেও ভারতীয় ওই 61 জন ট্রাক চালক এখনও দেশে ফিরতে পারেননি । আর তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আটকে পড়া ট্রাক চালকদের পরিবার । তাদের অভিযোগ, ট্রাক চালকদের দেশে ফিরিয়ে আনার কোনও ব্যবস্থাই করছে না প্রশাসন ।
এই বিষয়ে কোনও মন্তব্যই করতে চাননি শুল্ক দপ্তরের চ্যাংরাবান্ধা শাখার সুপারিনটেনডেন্ট কপিল বাইন । তবে, বাংলাদেশের ওষুধ সরবরাহ বিষয়ে শুল্ক দপ্তরের চ্যাংরাবান্ধা শাখার তরফে জানানো হয়, বাংলাদেশের তরফে ওষুধ ভুটানে পাঠানোর জন্য সীমান্তর গেট খুলে দেওয়া হয় । সমস্তরকম প্রশাসনিক অনুমতি এবং নথিপত্র তাদের কাছে পৌঁছানোর পরই সীমান্তর গেট খুলে ওই ওষুধ বাংলাদেশের ট্রাক থেকে নামানোর কাজ শুরু করা হয় । প্রায় 33 হাজারেরও বেশি মাল্টিভিটামিন এবং ভিটামিন সি ওষু্ধের প্যাকেট ছিল ।