কোচবিহার, 26 এপ্রিল: ফের একবার রাজনীতি ছাড়ার কথা শোনা গেল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় ৷ সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ৷ তার গ্রাম বাংলায় দলের জনসংযোগ বাড়াতে 'নব জোয়ার' কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল ৷ মঙ্গলবার কোচবিহার থেকে এই কর্মসূচির সূচনা করেছেন অভিষেক ৷ বুধবারও কোচবিহারেই ছিলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ ৷ এদিন নাটাবাড়িতে সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেই সভা থেকে এদিন পরিচিত ঢঙেই তিনি চ্যালেঞ্জ ছোড়েন বিজেপি নেতৃত্বের উদ্দেশে ৷ বার্তা দেন রাজ্যভাগের দাবির বিরুদ্ধে ৷
এদিন অভিষেকের আক্রমণের লক্ষ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা । এদিনের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বিজেপি বলেছিল আমরা পৃথক রাজ্য গড়ে তুলব, আমি চ্যালেঞ্জ করছি, এখানে মিডিয়ার প্রতিনিধিরা আছেন, আমি ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে অন রেকর্ড বলছি বিজেপির যাঁরা নেতা আছেন, নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা একজনেরও যদি এখানে এসে বলে দেওয়ার ক্ষমতা থাকে যে উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্য হবে আমি তাহলে আর রাজনীতির আঙিনায় পা রাখব না ৷ এতবড় কথা আপনাদের বলে দিয়ে যাচ্ছি ।"
বিজেপিকে অভিষেকের কটাক্ষ, এদের পুরো পার্টিটা উপর থেকে নীচ পর্যন্ত দু-নম্বরি, যা বলে সকালে, দুপুরে মিথ্যা, বিকেলে মিথ্যা, রাত্রে মিথ্যা ৷ আর মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে বিভ্রান্ত করে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থচরিতার্থ করে । ভোটের পর এদের আর দেখা পাওয়া যায় না । দূরবীণ দিয়ে খুঁজতে হয়। বিজেপিকে ভোট দেওয়া আর খাল কেটে কুমির আনা একই ব্যাপার বলে এদিন মন্তব্য করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
আরও পড়ুন: কালিয়াগঞ্জে মৃতার পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ভালোবাসার তত্ত্ব
উত্তরবঙ্গ ভেঙে পৃথক রাজ্যের যে দাবি উঠছে সেই প্রসঙ্গে এদিন অভিষেক বলেন, "এই শব্দবন্ধ নিয়ে আমার আপত্তি রয়েছে, বাংলায় উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গ-রাঢবঙ্গ-গৌড়বঙ্গ বলে কিছু নেই ৷ কলকাতার যা অধিকার কোচবিহারেরও তাই অধিকার ।" এদিন তিনি ফের বলেন আম জনতাই ঠিক করবেন কারা ভোটে প্রার্থী হবেন ৷