ETV Bharat / state

ব্যথা ভুলে লিটল ম্যাগাজ়িন বেচতে গেছিলেন "প্রাণপ্রিয়" নন্দনে, আর ফেরা হল না... - Kasba

রোজকার মতো নন্দন চত্বরে লিটল ম্যাগাজ়িন বিক্রি করতে গেছিলেন । কিন্তু, আজ আর ফিরলেন না । দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল সজল কাঞ্জিলালের ।

মৃত ব্যক্তি
author img

By

Published : Jul 13, 2019, 11:49 PM IST

Updated : Jul 13, 2019, 11:55 PM IST

কলকাতা, 13 জুলাই : রোজ যেতেন । নন্দন চত্বরে লিটল ম্যাগাজ়িন বিক্রি করতেন । ডিজিটাল যুগে খুব একটা অবশ্য চাহিদা নেই লিটল ম্যাগাজ়িনের । তাই হাতেগোনাই কয়েকটি বিক্রি হত । তাও দমেননি । নেশা তো, লড়াইয়ের জোর সেখান থেকেই পেতেন নিশ্চয়ই । আজও গেছিলেন । কিন্তু, ফিরতে পারলেন না । পথেই মর্মান্তিক মৃত্যু হল কসবার সজল কাঞ্জিলালের ।

কসবা পোস্ট অফিসের কাছে বাড়ি । বাড়ির বাইরে ঘুটঘুটে অন্ধকার । দেওয়ালে শ্যাওলার ছোপ । এক পলকে দেখলেই বোঝা যাবে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ছিলেন না । বরং নিয়মিত জীবনযুদ্ধে নামতে হত । নিজের বলতেও বিশেষ কেউ নেই । রয়েছেন ভাই, ভ্রাতৃবধূ ও ভাইপো । বয়স 66 । নন্দন চত্বরে লিটল ম্যাগাজ়িন বিক্রি করে যা আয় হত তা দিয়েই হয়তো চলত সংসার । আর মাঝেমধ্যে আর্ট কলেজে মডেলিংয়ের কাজ করতেন । প্রতিদিন বিকেলে নন্দনে যেতেন । আবার রাত আটটা-সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ি ফিরে আসতেন ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : দরজায় আটকে হাত, চলল মেট্রো ; মৃত্যু যাত্রীর

এভাবেই চলছিল । আর যে কটা বছর বেঁচে থাকতেন, এভাবেই হয়তো চলত । আজও বিকেল 4টে 30 মিনিট বাড়ি থেকে বেরোন । পায়ে ব্যথা ছিল । বারণ করেছিলেন ভ্রাতৃবধূ শর্মিষ্ঠা মুখার্জি । শোনেননি । বেরিয়েছিলেন । শর্মিষ্ঠা ভেবেছিলেন, প্রতিদিনের মতো আজও সাড়ে আটটা নাগাদ ফিরে আসবেন দাদা । কিন্তু, আজ ফেরেননি । কিছুক্ষণ আগেই একটা ফোন আসে বাড়িতে । সজলবাবুর নয়, ফোন আসে পার্কস্ট্রিট থানা থেকে । জানানো হয়, মেট্রোয় দুর্ঘটনা ঘটেছে । পরে জানতে পারেন পার্কস্ট্রিটে মেট্রোর গেটে হাত আটকে গেছিল সজলবাবুর । সেই অবস্থাতেই মেট্রো ছেড়ে দেয় । গার্ড রেলে ধাক্কা গেলে মৃত্যু হয়েছে ভাশুরের ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : সরকারের তরফে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে : ফিরহাদ হাকিম

শর্মিষ্ঠা বলেন, "ঘুরে ঘুরে লিটল ম্যাগাজ়িন বিক্রি করতেন । আজ বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন । বেরোনোর আমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল । তখন বলছিলেন, পায়ে ব্যথা । আমি বললাম, বেরোচ্ছেন কেন ? বললেন, ঘুরে আসি । মানুষের অনেক নেশা হয় । তাঁর নেশা ছিল এটা । নন্দন ছাড়া থাকতে পারতেন না । প্রতিদিন যেতেন ।" আর নিজের সেই ভালোবাসা, টানের জায়গা থেকে ফেরার সময়ই মৃত্যু হল সজলবাবুর । শর্মিষ্ঠার একটাই আক্ষেপ, পায়ের ব্যথার কথাটা শুনে যদি আজ না বেরোতেন !

Metro
মৃতের পরিবার

এই সংক্রান্ত আরও খবর : "মেট্রোর গাফিলতি তো ছিলই, ধীরে-সুস্থে মেট্রোতেও উঠতে হবে"

কলকাতা, 13 জুলাই : রোজ যেতেন । নন্দন চত্বরে লিটল ম্যাগাজ়িন বিক্রি করতেন । ডিজিটাল যুগে খুব একটা অবশ্য চাহিদা নেই লিটল ম্যাগাজ়িনের । তাই হাতেগোনাই কয়েকটি বিক্রি হত । তাও দমেননি । নেশা তো, লড়াইয়ের জোর সেখান থেকেই পেতেন নিশ্চয়ই । আজও গেছিলেন । কিন্তু, ফিরতে পারলেন না । পথেই মর্মান্তিক মৃত্যু হল কসবার সজল কাঞ্জিলালের ।

কসবা পোস্ট অফিসের কাছে বাড়ি । বাড়ির বাইরে ঘুটঘুটে অন্ধকার । দেওয়ালে শ্যাওলার ছোপ । এক পলকে দেখলেই বোঝা যাবে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ছিলেন না । বরং নিয়মিত জীবনযুদ্ধে নামতে হত । নিজের বলতেও বিশেষ কেউ নেই । রয়েছেন ভাই, ভ্রাতৃবধূ ও ভাইপো । বয়স 66 । নন্দন চত্বরে লিটল ম্যাগাজ়িন বিক্রি করে যা আয় হত তা দিয়েই হয়তো চলত সংসার । আর মাঝেমধ্যে আর্ট কলেজে মডেলিংয়ের কাজ করতেন । প্রতিদিন বিকেলে নন্দনে যেতেন । আবার রাত আটটা-সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ি ফিরে আসতেন ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : দরজায় আটকে হাত, চলল মেট্রো ; মৃত্যু যাত্রীর

এভাবেই চলছিল । আর যে কটা বছর বেঁচে থাকতেন, এভাবেই হয়তো চলত । আজও বিকেল 4টে 30 মিনিট বাড়ি থেকে বেরোন । পায়ে ব্যথা ছিল । বারণ করেছিলেন ভ্রাতৃবধূ শর্মিষ্ঠা মুখার্জি । শোনেননি । বেরিয়েছিলেন । শর্মিষ্ঠা ভেবেছিলেন, প্রতিদিনের মতো আজও সাড়ে আটটা নাগাদ ফিরে আসবেন দাদা । কিন্তু, আজ ফেরেননি । কিছুক্ষণ আগেই একটা ফোন আসে বাড়িতে । সজলবাবুর নয়, ফোন আসে পার্কস্ট্রিট থানা থেকে । জানানো হয়, মেট্রোয় দুর্ঘটনা ঘটেছে । পরে জানতে পারেন পার্কস্ট্রিটে মেট্রোর গেটে হাত আটকে গেছিল সজলবাবুর । সেই অবস্থাতেই মেট্রো ছেড়ে দেয় । গার্ড রেলে ধাক্কা গেলে মৃত্যু হয়েছে ভাশুরের ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : সরকারের তরফে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে : ফিরহাদ হাকিম

শর্মিষ্ঠা বলেন, "ঘুরে ঘুরে লিটল ম্যাগাজ়িন বিক্রি করতেন । আজ বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন । বেরোনোর আমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল । তখন বলছিলেন, পায়ে ব্যথা । আমি বললাম, বেরোচ্ছেন কেন ? বললেন, ঘুরে আসি । মানুষের অনেক নেশা হয় । তাঁর নেশা ছিল এটা । নন্দন ছাড়া থাকতে পারতেন না । প্রতিদিন যেতেন ।" আর নিজের সেই ভালোবাসা, টানের জায়গা থেকে ফেরার সময়ই মৃত্যু হল সজলবাবুর । শর্মিষ্ঠার একটাই আক্ষেপ, পায়ের ব্যথার কথাটা শুনে যদি আজ না বেরোতেন !

Metro
মৃতের পরিবার

এই সংক্রান্ত আরও খবর : "মেট্রোর গাফিলতি তো ছিলই, ধীরে-সুস্থে মেট্রোতেও উঠতে হবে"

Last Updated : Jul 13, 2019, 11:55 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.