ETV Bharat / state

বাড়িতে থেকেও প্রমাণ দিতে হবে কমিশনকে ! ভোটার তালিকা সংশোধনে সংশয় - Mustabsera Rauf

ভোটার তালিকা নিয়ে সংশয় কলকাতায় । উক্ত ঠিকানায় থাকার প্রমাণ চেয়ে প্রার্থীকে চিঠি নির্বাচন কমিশনের ।

বাড়িতে থেকেও প্রমাণ দিতে হবে কমিশনকে ! ভোটার তালিকা সংশোধনে সংশয়
author img

By

Published : Jul 16, 2019, 11:38 PM IST

কলকাতা, 16 জুলাই : মুস্তাবসেরা রউফ । বয়স 61 । দীর্ঘদিন ধরেই থাকেন পার্ক সার্কাস এলাকার 7 মেহের আলি রোডে । তাঁর অন্য পরিচয় সাহিত্যিক আব্দুর রউফের বিবি তিনি । কয়েকদিন আগে দক্ষিণ কলকাতার নির্বাচনী দপ্তর থেকে একটি চিঠি পান । তার পরই আকাশ থেকে পড়েন সাহিত্যিক পত্নী । ওই চিঠিতে বলা হয়, কমিশনের কাছে খবর আছে তিনি উক্ত ঠিকানায় থাকেন না । পাশাপাশি জানানো হয় প্রমাণ দিতে যেতে হবে আলিপুরের সার্ভে বিল্ডিংয়ে ।

কলকাতার অনেক বাসিন্দাই এই চিঠি পেয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে । আর তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়ের বাতাবরণ । তবে, কি এবার শহরের নির্দিষ্ট ঠিকানায় থেকে, নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়বে ? শুধু তাই নয় অভিযোগ উঠেছে, অনেকে জীবিত থেকেও কমিশনের সংশয়ের তালিকায় চলে গেছেন ।

মুস্তাবসেরারকে 14 জুলাই হিয়ারিংয়ের জন্য আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে হাজির হতে বলা হয়েছিল । সেই মতো ভোটার কার্ড নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তিনি । অভিযোগ, প্রথমেই নির্বাচন কমিশন তরফে জানানো হয় তাঁর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়ার কথা । পরে অবশ্য সিনিয়র কর্তা ভুল স্বীকার করে নেন । মুস্তাবসেরা বলেন, "আমি পুরোটা জানানোর পর ভুল স্বীকার করে নেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র অফিসার ।" কিন্তু এর পরেও শহরবাসীর একাংশের সংশয় কাটছে না ।


নির্বাচন কমিশন সূত্রে অবশ্য মিলেছে অন্য ব্যাখ্যা । কমিশন জানায়, প্রতি বছরই এই সময় ভোটার লিস্ট সংশোধনের কাজ চলে । নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌরসভা ও পঞ্চায়েতগুলি থেকে আসে তালিকা । যেখানে মৃত্যুর পরিসংখ্যান দেওয়া থাকে । সেই অনুযায়ী তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হয় । নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ব্যক্তি যেখানে রাত্রি যাপন করেন সেটাই তার ঠিকানা । কোনও এলাকার বাসিন্দা হয়ে যদি সেই ঠিকানায় রাত্রি যাপন না করেন তবে, তার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যেতে পারে ।

কমিশনকে প্রশ্ন করা হয় মুস্তাবসেরা তো তাঁর ভোটার কার্ডে থাকা ঠিকানাতেই থাকেন? কমিশনের ব্যাখ্যা, কলকাতায় ভোটার লিস্ট সংশোধনের কাজ সত্যিই একটা বড় চ্যালেঞ্জ । সাধারণভাবে বুথ লেভেল অফিসাররা নানা সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন । অনেক সময় আবার বাড়িতেও যান । কলকাতার ক্ষেত্রে অনেক সময় কমপ্লেক্সে ঢুকতে পারেন না বুথ লেভেল অফিসাররা । সেক্ষেত্রে অনেক সময় ভুল হয়ে যায় । তবে ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য বলে জানায় কমিশন ।

কলকাতা, 16 জুলাই : মুস্তাবসেরা রউফ । বয়স 61 । দীর্ঘদিন ধরেই থাকেন পার্ক সার্কাস এলাকার 7 মেহের আলি রোডে । তাঁর অন্য পরিচয় সাহিত্যিক আব্দুর রউফের বিবি তিনি । কয়েকদিন আগে দক্ষিণ কলকাতার নির্বাচনী দপ্তর থেকে একটি চিঠি পান । তার পরই আকাশ থেকে পড়েন সাহিত্যিক পত্নী । ওই চিঠিতে বলা হয়, কমিশনের কাছে খবর আছে তিনি উক্ত ঠিকানায় থাকেন না । পাশাপাশি জানানো হয় প্রমাণ দিতে যেতে হবে আলিপুরের সার্ভে বিল্ডিংয়ে ।

কলকাতার অনেক বাসিন্দাই এই চিঠি পেয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে । আর তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়ের বাতাবরণ । তবে, কি এবার শহরের নির্দিষ্ট ঠিকানায় থেকে, নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়বে ? শুধু তাই নয় অভিযোগ উঠেছে, অনেকে জীবিত থেকেও কমিশনের সংশয়ের তালিকায় চলে গেছেন ।

মুস্তাবসেরারকে 14 জুলাই হিয়ারিংয়ের জন্য আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে হাজির হতে বলা হয়েছিল । সেই মতো ভোটার কার্ড নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তিনি । অভিযোগ, প্রথমেই নির্বাচন কমিশন তরফে জানানো হয় তাঁর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়ার কথা । পরে অবশ্য সিনিয়র কর্তা ভুল স্বীকার করে নেন । মুস্তাবসেরা বলেন, "আমি পুরোটা জানানোর পর ভুল স্বীকার করে নেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র অফিসার ।" কিন্তু এর পরেও শহরবাসীর একাংশের সংশয় কাটছে না ।


নির্বাচন কমিশন সূত্রে অবশ্য মিলেছে অন্য ব্যাখ্যা । কমিশন জানায়, প্রতি বছরই এই সময় ভোটার লিস্ট সংশোধনের কাজ চলে । নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌরসভা ও পঞ্চায়েতগুলি থেকে আসে তালিকা । যেখানে মৃত্যুর পরিসংখ্যান দেওয়া থাকে । সেই অনুযায়ী তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হয় । নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ব্যক্তি যেখানে রাত্রি যাপন করেন সেটাই তার ঠিকানা । কোনও এলাকার বাসিন্দা হয়ে যদি সেই ঠিকানায় রাত্রি যাপন না করেন তবে, তার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যেতে পারে ।

কমিশনকে প্রশ্ন করা হয় মুস্তাবসেরা তো তাঁর ভোটার কার্ডে থাকা ঠিকানাতেই থাকেন? কমিশনের ব্যাখ্যা, কলকাতায় ভোটার লিস্ট সংশোধনের কাজ সত্যিই একটা বড় চ্যালেঞ্জ । সাধারণভাবে বুথ লেভেল অফিসাররা নানা সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন । অনেক সময় আবার বাড়িতেও যান । কলকাতার ক্ষেত্রে অনেক সময় কমপ্লেক্সে ঢুকতে পারেন না বুথ লেভেল অফিসাররা । সেক্ষেত্রে অনেক সময় ভুল হয়ে যায় । তবে ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য বলে জানায় কমিশন ।

Intro:কলকাতা, 16 জুলাই: মুস্তাবসেরা রউফ। বয়স 61। দীর্ঘদিন ধরেই থাকেন পার্ক সার্কাস এলাকার ৭ মেহের আলি রোডে। তাঁর অন্য পরিচয়ও আছে। মুস্তাবসেরা সাহিত্যিক আব্দুর রউফের বিবি। কয়েকদিন আগে দক্ষিণ কলকাতা নির্বাচনী দপ্তর থেকে একটি চিঠি পান। যেখানে বলা হয়, কমিশনের কাছে খবর আছে তিনি উক্ত ঠিকানায় থাকেন না। আকাশ থেকে পড়েন সাহিত্যিক পত্নী। বলা হয়, ওই বাড়িতেই থাকেন তার প্রমাণ দিতে যেতে হবে আলিপুরের সার্ভে বিল্ডিংয়ে।Body:কলকাতা শহরের অনেকেই এমন ধরনের ছবি পেয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। আর তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়ের বাতাবরণ। তবে কি এবার শহরের নির্দিষ্ট ঠিকানায় থেকে, নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়েও নাম বাদ পড়বে ভোটার তালিকা থেকে? শুধু তাই নয় অভিযোগ উঠেছে, অনেকের ক্ষেত্রে জীবিত থেকেও কমিশনের সংশয়ের তালিকায় চলে গেছেন। মুস্তাবসেরারকে ১৪ জুলাই আলিপুর সারবে বিল্ডিং এ হাজির হতে বলা হয়েছিল হিয়ারিং। তিনি সেদিন হাজির হন হিয়ারিংয়ে নিয়ে যান ভোটার কার্ড। অভিযোগ প্রাথমিকভাবে তাকে নির্বাচন কমিশনের কর্মীর মুখে শুনতে হয়, নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হবে তালিকা থেকে। পরে অবশ্য সিনিয়র কর্তা ভুল স্বীকার করে নেন। মুস্তাবসেরা বলেন, “ আমি পুরোটা জানানোর পর ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র অফিসার।" কিন্তু তারপরেও শহরবাসীর একাংশের মনে সংশয় কাটছে না।
Conclusion:নির্বাচন কমিশন সূত্রে অবশ্য মিলেছে অন্য ব্যাখ্যা। কমিশন জানাচ্ছে, প্রতি বছরই এই সময়টায় ভোটার লিস্ট সংশোধনের কাজ চলে। নির্বাচন কমিশনের কাছে পুরসভা এবং পঞ্চায়েতগুলি থেকে আসে তালিকা। যেখানে মৃত্যুর পরিসংখ্যান দেওয়া থাকে। সেই অনুযায়ী তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম বলছে, কোন ব্যক্তি যেখানে রাত্রি যাপন করেন, সেটাই তার ঠিকানা। কোন এলাকার বাসিন্দা হয়ে যদি সেই ঠিকানায় রাত্রি যাপন না করেন তবে তার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যেতে পারে। কিন্তু মুস্তাবসেরার ক্ষেত্রে তো তিনি সেখানেই থাকেন? কমিশনের ব্যাখ্যা, কলকাতায় ভোটার লিস্ট সংশোধনের কাজ সত্যিই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। সাধারণভাবে বুথ লেভেল অফিসাররা নানা সূত্রে তথ্য সংগ্রহ করেন। অনেক সময় আবার বাড়ি বাড়িতেও যান। কলকাতার ক্ষেত্রে অনেক সময় কমপ্লেক্সে ঢুকতে পারেন না বুথ লেভেল অফিসাররা। সে ক্ষেত্রে অনেক সময় ভুল হয়ে যায়। তবে ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য বলে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.