ETV Bharat / state

মোদি-মমতার ছবি খুলুন, দাবি CPI(M)-র - Model Code of Conduct, Lok Sabha Election

নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হওয়ায় মোদি-মমতার ছবি খুলুন, দাবি CPI(M)-র

বিজ্ঞাপন
author img

By

Published : Mar 11, 2019, 8:15 PM IST

কলকাতা, ১১ মার্চ : নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া সরকারি বিজ্ঞাপন খোলা হয়নি। আজ সর্বদলীয় বৈঠকে অবিলম্বে সেই বিজ্ঞাপন খুলে ফেলার দাবি জানাল CPI(M)। মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া বিজ্ঞাপন খোলার দাবি জানালেও প্রধানমন্ত্রীর ছবি লাগানো বিজ্ঞাপন নিয়ে নিশ্চুপ থাকে BJP।

গতকাল সপ্তদশ লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর আজ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠক থেকে বেরিয়ে BJP প্রতিনিধি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হওয়ার পর সরকারি সম্পত্তিতে কোনও রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপন দেওয়া যায় না। কিন্তু, রাজ্যজুড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ দেওয়া বিজ্ঞাপন রয়েছে। কয়েক লাখ হোর্ডিং, পোস্টার ও বিজ্ঞাপনে মুখ্যমন্ত্রীর হাসি মুখে ছবি রয়েছে। এটা কদিনের মধ্যে সরবে? তৃণমূলের উচিত ছিল, আজ সকাল বা বিকেলের মধ্যে এরকম বিজ্ঞাপন সরিয়ে নেওয়া। সেটা কবে সরানো হবে তা আমরা জানতে চেয়েছি। তবে কয়েকদিনের মধ্যে করতে হবে। নাহলে তাদের নোটিশ পাঠাতে হবে।" তিনি জানান, বিষয়টি BJP-র তরফে বৈঠকে তোলা হয়েছে। তাঁকে পালটা প্রশ্ন করা হয়, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের বিজ্ঞাপনে তো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুখ সম্বলিত বিজ্ঞাপন এখনও রয়েছে। সেগুলির কী হবে ? সে প্রসঙ্গে দৃশ্যত বিব্রত জয়প্রকাশ বলেন, "সেগুলিও নিশ্চয়ই সরানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকলে তা সরানো হবে। নির্বাচনী আচরণবিধির আওতায় পড়লে তা সরানো হবে। সঠিকভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু করতে হবে।"

বামফ্রন্টের তরফেও সরকারি বিজ্ঞাপন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সরানোর দাবি তোলা হয়। রবিন দেব বলেন, "থানায় সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের প্রচার থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি ভবনে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেখা যাচ্ছে। নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যাওয়ার পরই সেই ছবি সরিয়ে নেওয়া উচিত ছিল। শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন। একইভাবে বিভিন্ন পেট্রল পাম্প থেকে শুরু করে রেলস্টেশনে নরেন্দ্র মোদির ছবি সম্বলিত বিজ্ঞাপন রয়েছে।" পাশাপাশি বামফ্রন্টের অভিযোগ, নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করছে BJP। আর সেজন্যই দেরিতে ভোট ঘোষণা করা হয়েছে। রবিন দেব বলেন, "গত পাঁচ বছর ধরে নরেন্দ্র মোদির সরকার বিভিন্ন এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করেছে। নির্বাচন কমিশনকেও তারা ব্যবহার করেছে। আর সেই কারণে প্রধানমন্ত্রীর সমস্ত উদ্বোধনের কার্যক্রম শেষ হয়ে যাওয়ার পর গতকাল তড়িঘড়ি নির্বাচন ঘোষণা করা হল। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় আমরা হতাশ।"

কলকাতা, ১১ মার্চ : নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া সরকারি বিজ্ঞাপন খোলা হয়নি। আজ সর্বদলীয় বৈঠকে অবিলম্বে সেই বিজ্ঞাপন খুলে ফেলার দাবি জানাল CPI(M)। মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া বিজ্ঞাপন খোলার দাবি জানালেও প্রধানমন্ত্রীর ছবি লাগানো বিজ্ঞাপন নিয়ে নিশ্চুপ থাকে BJP।

গতকাল সপ্তদশ লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর আজ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠক থেকে বেরিয়ে BJP প্রতিনিধি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হওয়ার পর সরকারি সম্পত্তিতে কোনও রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপন দেওয়া যায় না। কিন্তু, রাজ্যজুড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ দেওয়া বিজ্ঞাপন রয়েছে। কয়েক লাখ হোর্ডিং, পোস্টার ও বিজ্ঞাপনে মুখ্যমন্ত্রীর হাসি মুখে ছবি রয়েছে। এটা কদিনের মধ্যে সরবে? তৃণমূলের উচিত ছিল, আজ সকাল বা বিকেলের মধ্যে এরকম বিজ্ঞাপন সরিয়ে নেওয়া। সেটা কবে সরানো হবে তা আমরা জানতে চেয়েছি। তবে কয়েকদিনের মধ্যে করতে হবে। নাহলে তাদের নোটিশ পাঠাতে হবে।" তিনি জানান, বিষয়টি BJP-র তরফে বৈঠকে তোলা হয়েছে। তাঁকে পালটা প্রশ্ন করা হয়, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের বিজ্ঞাপনে তো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুখ সম্বলিত বিজ্ঞাপন এখনও রয়েছে। সেগুলির কী হবে ? সে প্রসঙ্গে দৃশ্যত বিব্রত জয়প্রকাশ বলেন, "সেগুলিও নিশ্চয়ই সরানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকলে তা সরানো হবে। নির্বাচনী আচরণবিধির আওতায় পড়লে তা সরানো হবে। সঠিকভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু করতে হবে।"

বামফ্রন্টের তরফেও সরকারি বিজ্ঞাপন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সরানোর দাবি তোলা হয়। রবিন দেব বলেন, "থানায় সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের প্রচার থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি ভবনে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেখা যাচ্ছে। নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যাওয়ার পরই সেই ছবি সরিয়ে নেওয়া উচিত ছিল। শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন। একইভাবে বিভিন্ন পেট্রল পাম্প থেকে শুরু করে রেলস্টেশনে নরেন্দ্র মোদির ছবি সম্বলিত বিজ্ঞাপন রয়েছে।" পাশাপাশি বামফ্রন্টের অভিযোগ, নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করছে BJP। আর সেজন্যই দেরিতে ভোট ঘোষণা করা হয়েছে। রবিন দেব বলেন, "গত পাঁচ বছর ধরে নরেন্দ্র মোদির সরকার বিভিন্ন এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করেছে। নির্বাচন কমিশনকেও তারা ব্যবহার করেছে। আর সেই কারণে প্রধানমন্ত্রীর সমস্ত উদ্বোধনের কার্যক্রম শেষ হয়ে যাওয়ার পর গতকাল তড়িঘড়ি নির্বাচন ঘোষণা করা হল। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় আমরা হতাশ।"

Intro:কলকাতা, 11 মার্চ: সরকারি সম্পত্তিতে রয়েছে মমতার ছবি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তার ছবি ব্যবহার করে দেওয়া হয়েছে নানা সরকারি বিজ্ঞাপন। অবিলম্বে সেই বিজ্ঞাপন খুলে ফেলার দাবি জানালো বিরোধীরা। আজ সর্বদল বৈঠক এ এই দাবি জানায় বিজেপি এবং সিপিআইএম। তাদের দাবি ওই ছবি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। পাশাপাশি বামফ্রন্টের তরফে দাবি জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও বিভিন্ন জায়গা থেকে খোলার।


Body:বিভিন্ন প্রকল্পের মুখ্যমন্ত্রী ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপন। সরকারি ভবন থেকে থানা। এমন বিজ্ঞাপন দেখা যায় আকছাড়। অন্যদিকে রেলওয়ে স্টেশন থেকে শুরু করে পেট্রোল পাম্প বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি। নির্বাচনী আচরণ বিধি চালু হয়ে যাবার পর এই ছবি অবিলম্বে খুলে ফেলা উচিত। অভিযোগ তা করা হয়নি। আজ সর্বদল বৈঠক এ বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার দাবি তোলেন, অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী ছবি দেওয়া বিজ্ঞাপন খোলার ব্যবস্থা করুক নির্বাচন কমিশন। তিনি বলেন, “ সর্বত্র মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেখা যাচ্ছে। নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যাবার পর সরকার এবং তৃণমূলের উচিত ছিল এই সমস্ত বিজ্ঞাপন খুলে ফেলার। কিন্তু নৈতিকতার ধার ধারে না তারা। এখনো রয়ে গেছে সেই বিজ্ঞাপন। ওই বিজ্ঞাপনগুলো অবিলম্বে খোলার ব্যবস্থা করুক নির্বাচন কমিশন।" বামফ্রন্টের তরফ এ রবিন দেব একই দাবি তোলেন। তবে তিনি এ বিষয়ে অভিযোগ এর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়- নরেন্দ্র মোদী উভয়কেই। তিনি বলেন, “ থানায় থানায় সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ এর প্রচার থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি ভবনে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেখা যাচ্ছে। নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যাবার পর এই ছবি সরিয়ে নেওয়া উচিত। একভাবে বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প থেকে শুরু করে রেলওয়ে স্টেশনে নরেন্দ্র মোদির ছবিও দেখা যাচ্ছে।"

বামফ্রন্টের দাবি নির্বাচন কমিশন কে ব্যবহার করছে বিজেপি। আর সেই কারণেই দেরি করে ভোট ঘোষণা হল। রবীন দেব বলেন,“ গত 5 বছর ধরে নরেন্দ্র মোদির সরকার বিভিন্ন এজেন্সিগুলো কে ব্যবহার করছে। নির্বাচন কমিশন কেউ তারা ব্যবহার করছে। আর সেই কারণে প্রধানমন্ত্রীর সমস্ত উদ্বোধনের কার্যক্রম শেষ হয়ে যাবার পর রবিবার বিকেলে তড়িঘড়ি নির্বাচন ঘোষণা করা হলো। নির্বাচন কমিশন এর ভূমিকায় আমরা হতাশ।"


Conclusion:সর্বদল বৈঠক এ ফিরহাদ হাকিম এর বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে জয়প্রকাশ বলেন, “ রাজ্যের সাধারণ মানুষকে রীতিমত হুমকি দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি গতকাল নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর ক্যামেরার সামনে বলেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং অবজারভাররা থাকবেন দুদিন। বাকি সময় সবাইকে দেখেশুনে রাখবে রাজ্য পুলিশ। এই কথার মানে কি? রাজ্যের মন্ত্রী এবং মেয়র জনসাধারণকে এর মাধ্যমে হুমকি দিয়েছেন। আমরা সর্বদল বৈঠক এ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছি মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক এর দপ্তরে।"

অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে অভিযোগ। কংগ্রেস নেতা দেবব্রত বসু বলেন, “ নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরেও যেভাবে অনুব্রত মণ্ডল হুমকি দিয়েছেন তা মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের আশঙ্কা পঞ্চায়েত ভোটের মতোই বোমা-গুলি দিয়ে নির্বাচন হবে। আমরা দাবি জানিয়েছি অবিলম্বে অনুব্রত মণ্ডল কে বন্দী করা হোক।"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.