ETV Bharat / state

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে অনশনে বসবেন প্রাথমিক শিক্ষকরা

ভারতের অন্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গেও একই স্কেলে বেতন দিতে হবে । এই দাবিতে অনশনে বসছেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা ।

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Jul 9, 2019, 6:51 AM IST

কলকাতা, 9 জুলাই : বেতন বৃদ্ধির দাবিতে 15 জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসতে চলেছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা । চাকরির দাবিতে সেই অনশনে শামিল হবেন প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (PTTI) সার্টিফিকেট থাকা ছাত্রছাত্রীরাও ।

ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেনড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি পিন্টু পাড়ুই জানান, ন্যূনতম যোগ্যতা অনুসারে দেশের অন্য রাজ্যে যে স্কেলে বেতন দেওয়া হয়, তা পশ্চিমবঙ্গে মানা হয় না । প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের অন্য রাজ্যের মতো ন্যূনতম যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন কাঠামো চালুর জন্য একাধিকবার দাবি করা হয়েছে । কিন্তু কাজ হয়নি । গত ফেব্রুয়ারিতে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে তাঁদের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে । কিন্তু তারপরেও বেতন না বাড়ায় তাঁরা অনশনে বসতে চলেছেন ।

কিন্তু, PTTI সার্টিফিকেট প্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীরা কী দাবিতে অনশন করবেন ? পিন্টু জানান, প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন । 2005-06 সাল পর্যন্ত NCTE-র অনুমোদন না থাকায় রাজ্যের PTTI ছাত্রছাত্রীদের সার্টিফিকেট অবৈধ বলে ধরা হয়েছিল । পরে কেন্দ্র আইন পরিবর্তন করে রাজ্যের PTTI সার্টিফিকেটকে বৈধতা দেয় । 2011 সালে ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, PTTI ছাত্রছাত্রীদের আগামী তিন বছরে ধাপে ধাপে নিয়োগ করা হবে । মুখ্যমন্ত্রী সেই প্রতিশ্রুতি রাখেননি । একাধিকবার আন্দোলন করলেও ফল মেলেনি । তাই বাধ্য হয়ে অনশনের পথ বেছে নিয়েছেন PTTI সার্টিফিকেট থাকা চাকরিপ্রার্থীরা । পিন্টুর দাবি, অনশনে রাজ্যের কয়েক হাজার প্রাথমিক শিক্ষক ও PTTI ছাত্র-ছাত্রীরা শামিল হবেন ।

কোথায় অনশন হবে তা নিয়েও পুলিশ টালবাহানা করেছে বলে অভিযোগ । পিন্টুর বক্তব্য, "ওয়াই চ্যানেলে অনশনে বসতে চেয়ে পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল । 21 জুলাইয়ের কারণ দেখিয়ে তা বাতিল করে দেয় লালবাজার । রানি রাসমণি রোডে অনশনে বসার অনুমতি দেওয়া হলেও পরে ফোন করে বলা হয়, কলকাতার কোথাও অনশনের জন্য জায়গা দেওয়া যাবে না । উপরমহল থেকে নির্দেশ রয়েছে । যোগাযোগ ভবনের সামনে অনশনে বসার প্রস্তাবও নাকচ হয় । সারা রাজ্য থেকে যেভাবে প্রাথমিক শিক্ষকরা এগিয়ে আসছে, তাতে ওরা (প্রশাসন) ভীত ।" শেষপর্যন্ত সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সামনে অনশনে বসার ছাড়পত্র মিলেছে ।

অনশনে বসার কর্মসূচি নিলেও আলোচনার রাস্তা খোলা রয়েছে বলে জানান পিন্টু । তিনি বলেন, "শিক্ষামন্ত্রীকে আমরা চিঠি লিখে জানিয়েছি, আপনি যদি প্রতিশ্রুতি পূরণ না করতে পারেন, তাহলে আলোচনার রাস্তাও খোলা আছে ।"

কলকাতা, 9 জুলাই : বেতন বৃদ্ধির দাবিতে 15 জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসতে চলেছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা । চাকরির দাবিতে সেই অনশনে শামিল হবেন প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (PTTI) সার্টিফিকেট থাকা ছাত্রছাত্রীরাও ।

ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেনড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি পিন্টু পাড়ুই জানান, ন্যূনতম যোগ্যতা অনুসারে দেশের অন্য রাজ্যে যে স্কেলে বেতন দেওয়া হয়, তা পশ্চিমবঙ্গে মানা হয় না । প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের অন্য রাজ্যের মতো ন্যূনতম যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন কাঠামো চালুর জন্য একাধিকবার দাবি করা হয়েছে । কিন্তু কাজ হয়নি । গত ফেব্রুয়ারিতে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে তাঁদের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে । কিন্তু তারপরেও বেতন না বাড়ায় তাঁরা অনশনে বসতে চলেছেন ।

কিন্তু, PTTI সার্টিফিকেট প্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীরা কী দাবিতে অনশন করবেন ? পিন্টু জানান, প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন । 2005-06 সাল পর্যন্ত NCTE-র অনুমোদন না থাকায় রাজ্যের PTTI ছাত্রছাত্রীদের সার্টিফিকেট অবৈধ বলে ধরা হয়েছিল । পরে কেন্দ্র আইন পরিবর্তন করে রাজ্যের PTTI সার্টিফিকেটকে বৈধতা দেয় । 2011 সালে ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, PTTI ছাত্রছাত্রীদের আগামী তিন বছরে ধাপে ধাপে নিয়োগ করা হবে । মুখ্যমন্ত্রী সেই প্রতিশ্রুতি রাখেননি । একাধিকবার আন্দোলন করলেও ফল মেলেনি । তাই বাধ্য হয়ে অনশনের পথ বেছে নিয়েছেন PTTI সার্টিফিকেট থাকা চাকরিপ্রার্থীরা । পিন্টুর দাবি, অনশনে রাজ্যের কয়েক হাজার প্রাথমিক শিক্ষক ও PTTI ছাত্র-ছাত্রীরা শামিল হবেন ।

কোথায় অনশন হবে তা নিয়েও পুলিশ টালবাহানা করেছে বলে অভিযোগ । পিন্টুর বক্তব্য, "ওয়াই চ্যানেলে অনশনে বসতে চেয়ে পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল । 21 জুলাইয়ের কারণ দেখিয়ে তা বাতিল করে দেয় লালবাজার । রানি রাসমণি রোডে অনশনে বসার অনুমতি দেওয়া হলেও পরে ফোন করে বলা হয়, কলকাতার কোথাও অনশনের জন্য জায়গা দেওয়া যাবে না । উপরমহল থেকে নির্দেশ রয়েছে । যোগাযোগ ভবনের সামনে অনশনে বসার প্রস্তাবও নাকচ হয় । সারা রাজ্য থেকে যেভাবে প্রাথমিক শিক্ষকরা এগিয়ে আসছে, তাতে ওরা (প্রশাসন) ভীত ।" শেষপর্যন্ত সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সামনে অনশনে বসার ছাড়পত্র মিলেছে ।

অনশনে বসার কর্মসূচি নিলেও আলোচনার রাস্তা খোলা রয়েছে বলে জানান পিন্টু । তিনি বলেন, "শিক্ষামন্ত্রীকে আমরা চিঠি লিখে জানিয়েছি, আপনি যদি প্রতিশ্রুতি পূরণ না করতে পারেন, তাহলে আলোচনার রাস্তাও খোলা আছে ।"

Intro:কলকাতা, ৭ জুলাই: বিগত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন স্তরের শিক্ষকরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করেছেন। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে এবার অনশনে বসতে চলেছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। আগামী 15 জুলাই সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের ভবনের সামনে অনশনে বসতে চলেছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। তাঁদের সঙ্গে চাকরির দাবিতে অনশনে সামিল হবেন PTTI অর্থাৎ, প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের সার্টিফিকেট রয়েছে এমন চাকরিপ্রার্থীরা। ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেন্ড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি পিন্টু পাড়ুই জানাচ্ছেন, তারা প্রথমে ওয়াই চ্যানেলে অনশনে বসতে চেয়ে লালবাজারের কাছ থেকে অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু, ওয়াই চ্যানেলে বসার জন্য তাঁদের দেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়। তারপরে রানী রাসমণি রোডে অনশনে বসার অনুমতি পেলেও আজ সেই অনুমতি 21 জুলাইয়ের কারণে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছেন পিন্টু পাড়ুই। তাই বাধ্য হয়ে সল্টলেকেই অনশনে বসতে চলেছেন বলে জানাচ্ছেন তিনি।
Body:প্রাইমারি শিক্ষক-শিক্ষিকা হতে গেলে প্রয়োজন প্রশিক্ষণের। 2005-06 সেশন পর্যন্ত NCTE-র অনুমোদন না থাকায় সারা রাজ্যের PTTI ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সার্টিফিকেট অবৈধ হয়ে গেছিল। পরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে সংসদে বিল পাস করিয়ে কেন্দ্রের আইন পরিবর্তন করে রাজ্যের PTTI সার্টিফিকেট বৈধতা পায়। পিন্টু পাড়ুই জানাচ্ছেন, 2011 সালে ক্ষমতায় এসে প্রথম প্রেস কনফারেন্স করে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে 2005-06 সেশন পর্যন্ত বঞ্চিত PTTI-দের তিন বছরে তিন ধাপে নিয়োগ করবেন। মুখ্যমন্ত্রী সেই প্রতিশ্রুতি রাখেননি। এই বছর PTTI সার্টিফিকেট রয়েছে এমন চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের দাবিতে ও যোগ্যতা অনুসারে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন কাঠামোর দাবিতে একাধিক আন্দোলন করেন তাঁরা। চলতি বছরের 10 এপ্রিল 2005-06 সাল পর্যন্ত সকল PTTI-দের নিয়োগ ও যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন কাঠামোর দাবিতে সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন থেকে ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। নবান্নে গিয়ে ডেপুটেশনও দিয়ে আসেন তাঁরা। কিন্তু, তাতেও কোনও সদুত্তর না পাওয়ায় এবার অনশনের পথ বেছে নিচ্ছেন তাঁরা।

আগামী 15 জুলাই মূলত দুটি দাবি নিয়ে অনশনে বসতে চলেছেন প্রাথমিক শিক্ষক ও PTTI চাকরিপ্রার্থীরা। এ বিষয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেন্ড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি পিন্টুর পাড়ুই বলেন, "2005-'06 সেশন পর্যন্ত আমরা অবৈধ হয়ে গেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী 2011 সালে ক্ষমতায় এসে ঘোষণা করেছিলেন রাইটার্সে প্রথম প্রেস কনফারেন্সে যে, সমস্ত বঞ্চিত PTTI-দের আমরা তিন বছরে তিন ধাপে নিয়োগ করব। উনি ওনার কথা এখনও রাখেননি। আমাদের প্রথম দাবি হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বঞ্চিত 2005-'06 সাল পর্যন্ত PTTI-দের নিয়োগ করতে হবে। দ্বিতীয়, আমাদের পশ্চিমবঙ্গের সব প্রাথমিক শিক্ষকদের বর্তমানে যোগ্যতা হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিকে 50 শতাংশ ও 2 বছরের প্রশিক্ষণ। যেটা আমাদের PTTI আন্দোলনের ফলে হয়েছিল। ন্যূনতম যোগ্যতা অনুসারে দেশের সমস্ত রাজ্যে যে স্কেল দেওয়া হয়, আমাদের এখানে কিন্তু সেই স্কেলে বেতন দেওয়া হয় না। মাধ্যমিকের স্কেলে দেওয়া হয়। আমাদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষকদের ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যের ন্যায় ন্যূনতম যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন কাঠামো দিতে হবে।"

পিন্টু পাড়ুই আরও বলেন, "মূলত এই দুটি দাবি নিয়ে আমরা 15 জুলাই অনশনে বসছি। আমাদের অনশনের জন্য আমরা পারমিশন চেয়েছিলাম ওয়াই চ্যানেল। লালবাজার বলল ওয়াই চ্যানেল দেওয়া যাবে না 21 জুলাইয়ের জন্য। আমাদেরকে রানী রাসমণি রোড দিলেন। তারপরে আজকে হঠাৎ ফোন করে বলছে, আপনাদের কলকাতায় কোনো জায়গায় কোনোভাবেই দেওয়া যাবে না। উপর থেকে নির্দেশ আছে। এমনকি আমরা যোগাযোগ ভবনের সামনেও বসব বলেছিলাম। কিন্তু, ওনাদের উপর থেকে নির্দেশ আছে, ওনারা এতো ভীতসন্ত্রস্ত আমাদের অনশন নিয়ে, সারা রাজ্য থেকে যেভাবে ছেলেরা এবং শিক্ষকরা এগিয়ে এসেছে তাতে ওনারা ভীতসন্ত্রস্ত। এর মধ্যে আমরা সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সামনে অনশনে বসার জন্য একটা পারমিশন নিয়ে রেখেছিলাম। যেহেতু, আমাদের হাতে ওই পারমিশনটা চলে এসেছে তাই সেখানেই আমরা বসছি। কোনভাবেই 15 তারিখের অনশন-অবস্থান থেকে আমরা সরছি না।" তবে, আলোচনার রাস্তাও খোলা রাখা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন পিন্টু পাড়ুই। তিনি বলেন, "পার্থ চ্যাটার্জিকে আমরা আজকেও চিঠি লিখে জানিয়েছি, আপনি যদি পুরোপুরি প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেন, তাহলে আলোচনার রাস্তাও খোলা আছে।" এই অনশন কর্মসূচিতে কয়েক হাজার প্রাথমিক শিক্ষক ও PTTI চাকরিপ্রার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারে বলে জানাচ্ছেন পিন্টু পাড়ুই।
Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.