ETV Bharat / state

মুকুলই কি এখন চাণক্য ? গুঞ্জন বাড়াল লোকসভার ফল - tmc

BJP-কে 2 থেকে 18 তে নিয়ে যাওয়ার কান্ডারি মুকুল রায় । এই মুহূ্র্তে তিনিই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে । এক ধাপ এগিয়ে কেউ তাঁকে 'চাণক্য'ও বলতে শুরু করেছেন ।

মুকুল রায়
author img

By

Published : May 24, 2019, 10:30 PM IST

Updated : May 24, 2019, 10:51 PM IST

কলকাতা, 24 মে : প্রথমে দল ভেঙে একের পর এক নেতাকে নিজের পক্ষে টানা । পঞ্চায়েত-বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রাথমিক ভাবে তৃণমূলের পিলার নাড়িয়ে দেওয়া । আর এ বার মোক্ষম আঘাতটা দিলেন লোকসভা ভোটে । বাংলার অলিন্দে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, BJP-কে 2 থেকে 18 তে নিয়ে যাওয়ার কান্ডারি নাকি তিনিই । তিনি মুকুল রায় । এই মুহূ্র্তে তিনিই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে । এক ধাপ এগিয়ে কেউ তাঁকে 'চাণক্য'ও বলতে শুরু করেছেন ।

প্রথমে মুকুলকে দলে নিতে আপত্তি ছিল BJP-র অনেকেরই । BJP-র আন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, গত বিধানসভা ভোটের আগে মুকুল দলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন । কিন্তু, নেওয়া হয়নি । তখন নাকি অন্য একটি রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি । ছেলে শুভ্রাংশু এবং আরও কয়েকজনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করার চেষ্টা হয় । এমন কী, গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূল টিকিট না দিলেও, ইলেকশন ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে রাখা হয়েছিল মুকুলকেই । সেই সময় ঘনিষ্ঠমহলে মুকুল দাবি করেছিলেন, “দায়িত্ব যখন নিয়েছি সততার সঙ্গে পালন করব ।" সেই দায়িত্ব পালনও করেছিলেন মুকুল । নারদকাণ্ডের পরেও গত বিধানসভায় বিপুল জয় পায় তৃণমূল । এ জন্য অনেকেই মুকুলকে কৃতিত্ব দেন ।

কিন্তু, তার পর ছাইচাপা আগুনের মতো ফের প্রকাশ্যে চলে আসে মমতা-মুকুল দ্বন্দ্ব । অবশেষে তৃণমূল থেকে ঝরেই পড়ে মুকুল । কৈলাস বিজয়বর্গীয়-র হাত ধরে BJP-তে ঢোকার পর, মুকুলকে নিয়ে দলের অন্দরে গুঞ্জন কম হয়নি। কয়েকটি বিধানসভা উপনির্বাচন এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর মুকুলকে দলে নেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন BJP-র অনেকে । চুপ ছিলেন মুকুল । যেন তাঁর পাখির চোখ ছিল লোকসভা । কাজ করে যাচ্ছিলেন মুখবুজে । রীতিমতো অঙ্ক কষে রাজনীতির পাশার দান দিচ্ছিলেন মুকুল । হয়তো মুকুলের পদক্ষেপ বুঝতে পেরেছিলেন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ । আর তাই মুকুল-ঘনিষ্ঠ নেতাদের লোকসভায় টিকিট দিতে ভুল করেননি । পরিসংখ্যান বলছে, অনুপম হাজরা হারলেও, নিশীথ প্রামাণিক থেকে শুরু করে সৌমিত্র খাঁ- নিজের লোকদের জিতিয়ে এনেছেন মুকুল । এমন কী, শান্তনু ঠাকুরকে প্রার্থী করার বিষয়টিও তাঁরই মাথা থেকেই বেরিয়েছিল ।

মুকুল ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, 2009 সালের সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের উপর ভর করে লোকসভায় তৃণমূল 19 জন সাংসদ পাঠালেও, এর পিছনে ছিল মুকুলের নিখুঁত প্ল্যানিং । সে সময় যে ভাবে সব দিক সামলেছিলেন এবারও সেই একই কাজ করলেন । আদিবাসী ভোটকে এক করা, মতুয়া ভোট ভেঙে দেওয়া, আর সব থেকে বড় কথা তলে তলে যোগ রেখে দল ভাঙানোর কাজ করা । গতকালই মুকুল ঘনিষ্ঠদের বলেছেন, “এবার ওদের প্রকাশ্যে আনা হবে। যোগ দেওয়ানো হবে BJP-তে । এবার লক্ষ্য 21 ।"

সত্যিই হয়তো, চাণক্যের মতোই কাজ করে চলেছেন তিনি । যখন তৃণমূলের ছিলেন তাঁর মাথা থেকে বের হয়েছে একাধিক পরিকল্পনা । যা দলকে বহু সাফল্য দিয়েছে । যে দিন থেকে তিনি BJP-তে, সে দিন থেকেই পরিস্থিতি পালটে গেছে । ভোটের পাটিগণিতে এই মুহূ্র্তে রাজ্যের সেরা রাজনীতিক বোধ হয় মুকুলই । প্রণব মুখোপাধ্যায় যদি কংগ্রেসের 'চাণক্য' হয়ে থাকেন, তাহলে মুকুল রায় তৃণমূল বা এখন BJP-র 'চাণক্য' কি না, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন ।

কলকাতা, 24 মে : প্রথমে দল ভেঙে একের পর এক নেতাকে নিজের পক্ষে টানা । পঞ্চায়েত-বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রাথমিক ভাবে তৃণমূলের পিলার নাড়িয়ে দেওয়া । আর এ বার মোক্ষম আঘাতটা দিলেন লোকসভা ভোটে । বাংলার অলিন্দে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, BJP-কে 2 থেকে 18 তে নিয়ে যাওয়ার কান্ডারি নাকি তিনিই । তিনি মুকুল রায় । এই মুহূ্র্তে তিনিই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে । এক ধাপ এগিয়ে কেউ তাঁকে 'চাণক্য'ও বলতে শুরু করেছেন ।

প্রথমে মুকুলকে দলে নিতে আপত্তি ছিল BJP-র অনেকেরই । BJP-র আন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, গত বিধানসভা ভোটের আগে মুকুল দলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন । কিন্তু, নেওয়া হয়নি । তখন নাকি অন্য একটি রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি । ছেলে শুভ্রাংশু এবং আরও কয়েকজনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করার চেষ্টা হয় । এমন কী, গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূল টিকিট না দিলেও, ইলেকশন ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে রাখা হয়েছিল মুকুলকেই । সেই সময় ঘনিষ্ঠমহলে মুকুল দাবি করেছিলেন, “দায়িত্ব যখন নিয়েছি সততার সঙ্গে পালন করব ।" সেই দায়িত্ব পালনও করেছিলেন মুকুল । নারদকাণ্ডের পরেও গত বিধানসভায় বিপুল জয় পায় তৃণমূল । এ জন্য অনেকেই মুকুলকে কৃতিত্ব দেন ।

কিন্তু, তার পর ছাইচাপা আগুনের মতো ফের প্রকাশ্যে চলে আসে মমতা-মুকুল দ্বন্দ্ব । অবশেষে তৃণমূল থেকে ঝরেই পড়ে মুকুল । কৈলাস বিজয়বর্গীয়-র হাত ধরে BJP-তে ঢোকার পর, মুকুলকে নিয়ে দলের অন্দরে গুঞ্জন কম হয়নি। কয়েকটি বিধানসভা উপনির্বাচন এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর মুকুলকে দলে নেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন BJP-র অনেকে । চুপ ছিলেন মুকুল । যেন তাঁর পাখির চোখ ছিল লোকসভা । কাজ করে যাচ্ছিলেন মুখবুজে । রীতিমতো অঙ্ক কষে রাজনীতির পাশার দান দিচ্ছিলেন মুকুল । হয়তো মুকুলের পদক্ষেপ বুঝতে পেরেছিলেন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ । আর তাই মুকুল-ঘনিষ্ঠ নেতাদের লোকসভায় টিকিট দিতে ভুল করেননি । পরিসংখ্যান বলছে, অনুপম হাজরা হারলেও, নিশীথ প্রামাণিক থেকে শুরু করে সৌমিত্র খাঁ- নিজের লোকদের জিতিয়ে এনেছেন মুকুল । এমন কী, শান্তনু ঠাকুরকে প্রার্থী করার বিষয়টিও তাঁরই মাথা থেকেই বেরিয়েছিল ।

মুকুল ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, 2009 সালের সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের উপর ভর করে লোকসভায় তৃণমূল 19 জন সাংসদ পাঠালেও, এর পিছনে ছিল মুকুলের নিখুঁত প্ল্যানিং । সে সময় যে ভাবে সব দিক সামলেছিলেন এবারও সেই একই কাজ করলেন । আদিবাসী ভোটকে এক করা, মতুয়া ভোট ভেঙে দেওয়া, আর সব থেকে বড় কথা তলে তলে যোগ রেখে দল ভাঙানোর কাজ করা । গতকালই মুকুল ঘনিষ্ঠদের বলেছেন, “এবার ওদের প্রকাশ্যে আনা হবে। যোগ দেওয়ানো হবে BJP-তে । এবার লক্ষ্য 21 ।"

সত্যিই হয়তো, চাণক্যের মতোই কাজ করে চলেছেন তিনি । যখন তৃণমূলের ছিলেন তাঁর মাথা থেকে বের হয়েছে একাধিক পরিকল্পনা । যা দলকে বহু সাফল্য দিয়েছে । যে দিন থেকে তিনি BJP-তে, সে দিন থেকেই পরিস্থিতি পালটে গেছে । ভোটের পাটিগণিতে এই মুহূ্র্তে রাজ্যের সেরা রাজনীতিক বোধ হয় মুকুলই । প্রণব মুখোপাধ্যায় যদি কংগ্রেসের 'চাণক্য' হয়ে থাকেন, তাহলে মুকুল রায় তৃণমূল বা এখন BJP-র 'চাণক্য' কি না, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন ।

Intro:কলকাতা, ২৪ মে: মাথায় নাকি বরফ চাপানো! রাজ্য রাজনীতির অলিন্দে শোনা যায় কথাটা। তাঁর চোখ নাকি মনের কথা বলে না। আর ভোটের পার্টি গণিতে রাজ্যের সেরা রাজনীতিবিদ। অন্তত সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর কথাটা প্রতিষ্ঠিত বলে দাবি করছেন রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। সেই সূত্রেই বলা হচ্ছে, এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতির চাণক্য আর কেউ নন মুকুল রায়।Body:মুকুলকে দলে নিয়ে আপত্তি ছিল বিজেপির অনেকেরই। শোনা যায় গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুকুল যোগ দিতে চেয়েছিলেন বিজেপিতে। নেওয়া হয়নি। তখন জনা তিনেক তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে তৈরি করতে চেয়েছিলেন জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস। এলগিন রোডে মুকুলের ফ্ল্যাটে হয়েছিল চূড়ান্ত বৈঠক। তৃণমূলে অপমানিত মুকুলের নির্দেশে দিল্লির নির্বাচন কমিশনে যান তৎকালীন ঘনিষ্ঠ তিন নেতা অমিতাভ মজুমদার, প্রদীপ ঘোষ এবং শীলভদ্র দত্ত।  তিনটি সংবাদপত্রে দেওয়া হয় বিজ্ঞাপন। ঘনিষ্ঠ মহল জানাচ্ছে, এই উদ্যোগে আপত্তি তোলেন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু এবং তৎকালীন ঘনিষ্ঠ এক ছাত্রনেতা। মূলত ছেলের আপত্তি এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বরফ কিছুটা গলার কারণে সে উদ্যোগ স্থগিত থাকে। পরে তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর মুকুল দিল্লিতে খোলাখুলি জানিয়েছিলেন, 'জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস আমার নির্দেশেই তৈরি হয়। তৃণমূলের নামেও যে দল গড়া যায় তা দেখানোই ছিল আমার প্রধান উদ্দেশ্য। আমি তা করতে পেরেছি।"

গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের তরফে টিকিট দেওয়া এবং অন্যান্য বেশকিছু দায়িত্বে না থাকলেও, ইলেকশন ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে রাখা হয় মুকুলকেই। সেই সময় ঘনিষ্ট মহলে বলেছিলেন, “দায়িত্ব যখন নিয়েছি সততার সঙ্গে পালন করব।" সেই দায়িত্ব পালন করেছিলেন মুকুল। বাস্তব অভিজ্ঞতা বলছে, ২০১৬ য় বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক দিন আগে নারদা কান্ডের দিন, তপসিয়ার তৃণমূল ভবনে সমবেত সাংবাদিক এবং কর্মী-সমর্থকদের সামনে যে ভঙ্গিমায় দলের ওয়ার রুমে ঢুকে ছিলেন, সেটা সহজ ছিল না। চোখ এবং মুখের ভূগোল দেখে বোঝার উপায় ছিল না, কিছু একটা ঘটেছে। গোটা দেশে মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে তাঁর মুখটাও। নারদা কান্ডের পরেও গত বিধানসভায় বিপুল জয় পায় তৃণমূল। গতকাল লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর অনেকেই বলছেন, যদি গত বিধানসভা নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস ময়দানে নামত তবে ফল উল্টে যেতে পারত। “এক্স ফ্যাক্টর" মুকুলই উল্টে দিতে পারতেন অনেক হিসেব নিকেশ। কারণ তার নিখুঁত ভোট ম্যানেজমেন্ট আর পার্টিগণিতের হিসেব।

মূলত কৈলাশ বিজয়বর্গীয় হাত ধরে বিজেপিতে ঢোকার পর, মুকুলকে নিয়ে দলের অন্দরে গুঞ্জন কম হয়নি। কয়েকটি বিধানসভা উপনির্বাচন এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর মুকুলকে দলে নেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন অনেকে। কিন্তু লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন মুকুল। পাখির চোখ ছিল লোকসভা ভোট। কাজ করে যাচ্ছিলেন সন্তর্পনে। সূত্র বলছে, রীতিমত অংক কষে কৈলাশ বিজয়বর্গীর মাধ্যমে রাজনীতির পাশা খেলায় দিয়েছেন একের পর এক চাল। সেই চাল কাজ করছে বুঝতে পেরেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। আর তাই মুকুল ঘনিষ্ঠ নেতাদের লোকসভা নির্বাচনে টিকিট দিতে কার্পণ্য করেনি বিজেপি। তথ্য বলছে, অনুপম হাজরা হারলেও, নিশীথ প্রামানিক থেকে শুরু করে সৌমিত্র খাঁ। ঘনিষ্ঠ প্রার্থীদের জিতিয়ে এনেছেন মুকুল। এমনকি শান্তনু ঠাকুরকে প্রার্থী করার বিষয়টিও তাঁরই মস্তৃস্ক প্রসূত।

মুকুল ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, 2009 সালের সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের আন্দোলনের উপর ভর করে লোকসভায় তৃণমূল ১৯ জন সাংসদ পাঠালেও, ছিল বেশ কিছু নিখুঁত প্ল্যানিং। সেই ম্যানেজমেন্ট যেভাবে সামলেছিলেন, এবারও সেই একই ম্যানেজমেন্ট। আদিবাসী ভোটকে একত্র করা, মতুয়া ভোট ভেঙে দেওয়া, সর্বোপরি ঘনিষ্ঠদের তৃণমূলে রেখে তলেতলে দল বিরোধী ভোট করানো। গতকালই মুকুল ঘনিষ্ঠদের বলেছেন,“ এবার ওদের প্রকাশ্যে আনা হবে। যোগ দেওয়ানো হবে বিজেপিতে। এবার লক্ষ্য ২১।" Conclusion:“চাণক্যে"র পরবর্তী চালের দিকে তাকিয়ে থাকবে রাজনৈতিক মহল।
Last Updated : May 24, 2019, 10:51 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.