কলকাতা, 19 এপ্রিল: শিকার উৎসবের নাম করে বন্যপ্রাণী হত্যা আর চলবে না। বনসংরক্ষণ আধিকারিককে অবিলম্বে এর জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
শিকার উৎসব কী?
প্রত্যেক বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত সহ এই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ শিকার উৎসব পালন করে। বছরের একটি বিশেষ সময় জঙ্গলের বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর শিকার করে তারা। মূলত রাজ্যের পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই উৎসব পালন করতে দেখা যায়।
কিন্তু এর বিরুদ্ধে হিউম্যান অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট অ্যালায়েন্স লিগ নামে একটি সংগঠন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। এই সংগঠনের অভিযোগ, এই উৎসব উপলক্ষ্যে বহু বন্যপ্রাণীকে মারা হয় প্রতি বছর। এরফলে বন্যপ্রাণ ক্রমাগত অবলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে। 1972 সালের 'বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন'-অনুয়ায়ী বন্যপ্রাণী হত্যা করা আইনত অপরাধ। কিন্তু সরকার কোনও পদক্ষেপ না করায় এই প্রথা আজও চলছে। সেইসঙ্গে অবাধে উৎসবের নামে হত্যা করা হচ্ছে বন্যপ্রাণী। উল্লেখ্য, 2000 সালে একটি মামলায় হাইকোর্ট হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শিকার উৎসব নিষিদ্ধ করেছিল।
গতকাল প্রধান বিচারপতি টি বি এন রাধাকৃষ্ণন ও বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, "1972 সালের 'বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন'-অনুয়ায়ী বন সংরক্ষণ আধিকারিক অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও মুর্শিদাবাদ জেলার SP, DM, SDO, BDO-র সাথে যৌথভাবে বনসংরক্ষণ আধিকারিক এই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।"