ETV Bharat / state

লোন পাইয়ে দেওয়ার নামে জালিয়াতি, বড়সড় চক্রের পরদা ফাঁস করল পুলিশ - Bank Loan

লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে চলত জালিয়াতি চক্র । ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশ ।

ধৃতেরা
author img

By

Published : Jul 20, 2019, 9:53 AM IST

কলকাতা, ২০ জুলাই : রীতিমতো "সংঘটিত অপরাধ" । হাতে গরম কোনও ক্লু না রেখে নিখুঁত কায়দায় লোন পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা । এমনটাই বলছে পুলিশ । দীর্ঘ চেষ্টা আর মগজাস্ত্রের নিপুণ ব্যবহারে সেই প্রতারণা চক্রের পরদা ফাঁস করল পুলিশ । ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে 8 জনকে।

চলতি বছরের 20 মার্চ । একবালপুর থানায় যান মহম্মদ ইসাক । অভিযোগ করেন, লোন পাইয়ে দেওয়ার নামে তাঁকে প্রতারণা করা হয়েছে । 6 লাখ টাকা লোন চাইছিলেন তিনি । লোনের “প্রসেসিং ফি ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কস্ট" এর নামে তার কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে 1 লাখ 8 হাজার 700 টাকা । ওই টাকা দেওয়ার পরেও তিনি লোন পাননি । পুরো বিষয়টাই হয়েছিল টেলিফোনে । পুলিশের ভাষায়, “ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফুটপ্রিন্ট, সই সাবুদ না রেখে" এক প্রতারণার চতুর খেলা । এই ধরনের ক্ষেত্রে, তদন্তকারীদের তথ্য প্রমাণ জোগাড়ের বেগ পেতে হয় অনেকটাই । তার উপরে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা চক্রকে খুঁজে বের করা । প্রায় চার মাস ধরে চলা তদন্তে পুলিশ অনেক কাটাকুটি, যোগ বিয়োগের অঙ্ক কষে অবশেষে পেল সাফল্য ।

CCTV ফুটেজ আর যে অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়েছিলেন ইসাক ৷ সেই অ্যাকাউন্টের টাকা কোন ATM-এ তোলা হচ্ছে এই দুটি ভরসা ছিল । আর তাতেই সাফল্য আসে । গতকাল রাজারহাটের চিনার পার্ক এলাকায় একটি ATM-এ রীতিমতো ফাঁদ পেতে থাকেন তদন্তকারীরা । সেখানেই পাকড়াও করা হয় ফুটেজ দেখে চিহ্নিত এক ব্যক্তিকেও । তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চিনার পার্ক এবং সেক্টর ফাইভের দুটি ঠিকানা পায় পুলিশ । সেখানে রীতিমতো কল সেন্টার তৈরি করে চালানো হচ্ছিল এই ধরনের প্রতারণা । সেখান থেকেই বাকি সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয় । তাদের নাম চঞ্চল রায়, অঞ্জন দাস, আজহারউদ্দিন, হিরা পান্ডে, দেবজ্যোতি বড়ুয়া, প্রশান্ত চক্রবর্তীর, কবির মন্ডল ও মিঠুন সাহা । তাদের কাছে উদ্ধার হয়েছে ATM কার্ড, মোবাইল ফোন । পুলিশ অফিস দুটিকে সিল করেছে ।

কলকাতা, ২০ জুলাই : রীতিমতো "সংঘটিত অপরাধ" । হাতে গরম কোনও ক্লু না রেখে নিখুঁত কায়দায় লোন পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা । এমনটাই বলছে পুলিশ । দীর্ঘ চেষ্টা আর মগজাস্ত্রের নিপুণ ব্যবহারে সেই প্রতারণা চক্রের পরদা ফাঁস করল পুলিশ । ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে 8 জনকে।

চলতি বছরের 20 মার্চ । একবালপুর থানায় যান মহম্মদ ইসাক । অভিযোগ করেন, লোন পাইয়ে দেওয়ার নামে তাঁকে প্রতারণা করা হয়েছে । 6 লাখ টাকা লোন চাইছিলেন তিনি । লোনের “প্রসেসিং ফি ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কস্ট" এর নামে তার কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে 1 লাখ 8 হাজার 700 টাকা । ওই টাকা দেওয়ার পরেও তিনি লোন পাননি । পুরো বিষয়টাই হয়েছিল টেলিফোনে । পুলিশের ভাষায়, “ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফুটপ্রিন্ট, সই সাবুদ না রেখে" এক প্রতারণার চতুর খেলা । এই ধরনের ক্ষেত্রে, তদন্তকারীদের তথ্য প্রমাণ জোগাড়ের বেগ পেতে হয় অনেকটাই । তার উপরে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা চক্রকে খুঁজে বের করা । প্রায় চার মাস ধরে চলা তদন্তে পুলিশ অনেক কাটাকুটি, যোগ বিয়োগের অঙ্ক কষে অবশেষে পেল সাফল্য ।

CCTV ফুটেজ আর যে অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়েছিলেন ইসাক ৷ সেই অ্যাকাউন্টের টাকা কোন ATM-এ তোলা হচ্ছে এই দুটি ভরসা ছিল । আর তাতেই সাফল্য আসে । গতকাল রাজারহাটের চিনার পার্ক এলাকায় একটি ATM-এ রীতিমতো ফাঁদ পেতে থাকেন তদন্তকারীরা । সেখানেই পাকড়াও করা হয় ফুটেজ দেখে চিহ্নিত এক ব্যক্তিকেও । তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চিনার পার্ক এবং সেক্টর ফাইভের দুটি ঠিকানা পায় পুলিশ । সেখানে রীতিমতো কল সেন্টার তৈরি করে চালানো হচ্ছিল এই ধরনের প্রতারণা । সেখান থেকেই বাকি সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয় । তাদের নাম চঞ্চল রায়, অঞ্জন দাস, আজহারউদ্দিন, হিরা পান্ডে, দেবজ্যোতি বড়ুয়া, প্রশান্ত চক্রবর্তীর, কবির মন্ডল ও মিঠুন সাহা । তাদের কাছে উদ্ধার হয়েছে ATM কার্ড, মোবাইল ফোন । পুলিশ অফিস দুটিকে সিল করেছে ।

Intro:কলকাতা, ২০ জুলাই: রীতিমত “সংঘটিত অপরাধ"। হাতে গরম কোনও ক্লু না রেখে নিখুঁত কায়দায় লোন পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা। এমনটাই বলছে পুলিশ। দীর্ঘ চেষ্টা আর মগজাস্ত্রের নিপুন ব্যবহারে সেই প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করল পুলিশ। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে 8 জনকে।
Body:চলতি বছরের কুড়ি মার্চ। একবালপুর থানায় যান মহম্মদ ইসাক। অভিযোগ করেন, লোন পাইয়ে দেওয়ার নামে তাঁকে প্রতারণা করা হয়েছে। 6 লাখ টাকা লোন চাইছিলেন তিনি। লোনের “প্রসেসিং ফি এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কস্ট" এর নামে তার কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে 1 লাখ 8 হাজার 700 টাকা। ওই টাকা দেওয়ার পরেও তিনি লোন পাননি। পুরো বিষয়টাই হয়েছিল টেলিফোনে। পুলিশের ভাষায়, “ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফুটপ্রিন্ট, সই সাবুদ না রেখে" এক প্রতারণার চতুর খেলা। এই ধরনের ক্ষেত্রে, তদন্তকারীদের তথ্য প্রমাণ জোগাড়ের বেগ পেতে হয় অনেকটাই। তার উপরে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা চক্রকে খুঁজে বের করা। প্রায় চার মাস ধরে চলা তদন্তে পুলিশ অনেক কাটাকুটি, যোগ বিয়োগের অংক কষে অবশেষে পেল সাফল্য।
Conclusion:সিসিটিভি ফুটেজ আর যে অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়েছিলেন ইসাক সেই একাউন্টের টাকা কোন এটিএমে তোলা হচ্ছে এই দুটি ভরসা ছিল। আর তাতেই সাফল্য আসে। আজ রাজারহাটের চিনার পার্ক এলাকায় একটি এটিএমে রীতিমতো ওত পেতে থাকেন তদন্তকারীরা। সেখানেই পাকড়াও করা হয় ফুটেজ দেখে চিহ্নি এক ব্যক্তিকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চিনার পার্ক এবং সেক্টর ফাইভের দুটি ঠিকানা পায় পুলিশ। সেখানে রীতিমত কল সেন্টার তৈরি করে চালানো হচ্ছিল এই ধরনের প্রতারণা। সেখান থেকেই বাকি সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের নাম চঞ্চল রায়, অঞ্জন দাস, আজহারউদ্দিন, হিরা পান্ডে, দেবজ্যোতি বড়ুয়া, প্রশান্ত চক্রবর্তীর, কবির মন্ডল এবং মিঠুন সাহা। তাদের কাছে উদ্ধার হয়েছে এটিএম কার্ড, মোবাইল ফোন। পুলিশ অফিস দুটিকে সিল করেছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.