কলকাতা, ৬ এপ্রিল : আজও সন্ধ্যার পর কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আজ বিকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে কালবৈশাখির তাণ্ডব।
বিকেল চারটের পরেই দুর্গাপুরে শুরু হয় ঝড় ও শিলাবৃষ্টি। ঝড়ে দুর্গাপুরের সিটিসেন্টার সহ বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙে পড়ে। বিপর্যস্ত হয় বিদ্যুৎ পরিষেবা। ঝড় হয় আসানসোল সহ পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও। রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়ায় কয়েকটি জায়গায় গাছ ভেঙে যায়। ঝড়ের কারণে জাতীয় সড়কের যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। জামুড়িয়ায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছে অনেক জায়গায়। বিদ্যুৎহীন প্রায় সমস্ত এলাকা।
মুর্শিদাবাদ জেলাতেও জুড়ে বজ্র বিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টি চলছে। ঝড়বৃষ্টির কারণে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল জেলার বিভিন্ন জায়গায়। ভরতপুরে গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। নাম জীতেন্দ্রনাথ কর্মকার। বাড়ি ভরতপুর থানার করোন্দি গ্রামে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছিল, উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, দার্জিলিং, মালদা, দুই দিনাজপুর ও মুর্শিদাবাদ জেলায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি, দুই চব্বিশ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, বাকুড়া, বর্ধমান জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছিল।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে একটি ঘূর্ণাবর্ত দক্ষিণ-পূর্ব ঝাড়খণ্ড ও সংলগ্ন অঞ্চলে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপর অবস্থান করছে। এর ফলে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বাড়ছে গোটা রাজ্যেই। এর ফলেই তৈরি হচ্ছে বজ্রগর্ভ মেঘ।
আজ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি কম। তবে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ৮৯ শতাংশ। গতকাল কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে সন্ধ্যার পর ঝড়বৃষ্টির জন্যই আজ তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে।