কলকাতা, ১৬ মার্চ: "সবকিছু ঠিকঠাক চলছে না। কেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এত অভিযোগ করছে? নিশ্চয় কোথাও সমস্যা আছে।" আজ বেঙ্গল চেম্বারে রাজ্যের সব পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার এবং জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকে এই মন্তব্য করলেন উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। অন্তত চার জেলাশাসক তাঁর রোষের মুখে পড়েছেন বলে সূত্রের খবর। কয়েকজন পুলিশ কর্তাকেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ সর্বদলীয় বৈঠক শেষে রাজ্যের সব জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের সব পুলিশ কমিশনার ও ADG আইনশৃঙ্খলা সিদ্ধিনাথ গুপ্তা। আগেই মালদা এবং কোচবিহারের জেলাশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে গিয়েছিলেন CPI(M) নেতা রবীন দেব। সূত্রের খবর, দুই জেলাশাসকই রোষের মুখে পড়েছেন। মালদার জেলাশাসককে সুদীপ জৈন বলেন, "আপনি কাউন্টিং সেন্টার বদলালেন কেন? কার সঙ্গে কথা বলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন?" উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসককে তিনি বলেন, "আপনার জেলায় এখনও পর্যন্ত পোলিং পার্সোনেলদের ট্রেনিং শেষ হয়নি কেন?" কোচবিহার থেকে আসা প্রচুর অভিযোগ নিয়েও ক্ষোভ জানিয়েছেন উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। কোচবিহারের জেলাশাসককে প্রশ্ন করেন, "এই জেলায় এত বেশি অভিযোগ কেন?"
সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপারকে উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, "আপনার জেলায় এত বেশি রাজনৈতিক অভিযোগ কেন?" এর পরই পুলিশ সুপারদের তিনি বলেন, "আপনাদের অধস্তন কর্মীরা যদি কথা না শোনে তাহলে আমাদের জানান। আমরা সেই কর্মীকে বদলি করে দেব।" বৈঠকে উপস্থিত একাধিক অফিসারের মনে হয়েছে, এর মাধ্যমে ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছে কমিশন। রায়চকের ঘটনায় ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে সরাসরি চিঠি দিয়েছিলেন বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে ডায়মন্ড হারবারের SDPO-র বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ এনেছে CPI(M)। এই ঘটনায় ডায়মন্ডহারবারের পুলিশ সুপার এবং SDPO-র প্রতি যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করে কমিশন। সূত্রের খবর, অবিলম্বে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।