কলকাতা, 20 জুলাই : অনশনের মাঝেই আজ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বিক্ষোভরত শিক্ষকদের প্রতিনিধিরা ৷ তবে জট কাটেনি ৷ উলটে অনশনকারী শিক্ষকদের শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেন, আর্থিক অবস্থার কারণে তাদের দাবি মানা এই মুহূর্তে সরকারের পক্ষে সম্ভব নয় । তবে বেতন বৈষম্য কিছুটা মেটানোর আশ্বাস দেন তিনি । তাতে সন্তুষ্ট হননি শিক্ষকরা । এখনও তাঁরা অনশন চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে অনড় ।
বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "প্রাথমিক শিক্ষক যাঁরা অনশনে আছেন, ধরনায় বসে আছেন, তাঁরা আজকে আবার এসেছিল আমার কাছে । আমি আবার ওদেরকে বলেছি যে, আমাদের সরকার এই শিক্ষক সমাজকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় বলেই যে কাজগুলো বিগত দিনের সরকার করেনি, সেই কাজগুলো তৎপরতার সঙ্গে আর্থিক অনটন থাকা সত্ত্বেও মমতা বন্দোপাধ্যায় গুরুত্ব দিয়ে করেছেন ।"
অনশনকারী প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবি প্রসঙ্গে পার্থবাবু বলেন, "প্রাথমিক শিক্ষকদের যে অংশ প্রথম থেকেই বেতন বৈষম্যের কথা বলেছে, 2009-এ সেই সময় আমাদের সরকার ছিল না । ফলে, কেন্দ্রীয় সরকারের যে কমিশনের কথা তাঁরা তুলেছেন সেটা 2009-এই ইমপ্লিমেন্ট হয়নি । আমি আগের দিনও তাঁদের বুঝিয়েছিলাম, তা সত্ত্বেও তাঁরা কেউ অনশন করছেন কেউ ধরনায় বসে আছেন । আমি বলেছি এটা ভালো লাগে না । শিক্ষকদের একটা দায়িত্ববোধ, একটা কর্তব্যবোধ থাকা উচিত এবং এটাও খেয়াল রাখা উচিত যে, তাঁদের অভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসগুলো করতে পারছেন না ।"
UUPTWA-র অনশন মঞ্চে একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আসার বিষয়ে আজ ব্যঙ্গ করেন শিক্ষামন্ত্রী। বলেন, "আসলে সুজনবাবুদের কোনও কাজ নেই, তাই মাঝেমধ্যে গিয়ে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন । এতে আমার কোনও সমস্যা নেই ।" দিলীপ ঘোষের বিষয়ে বলেন, "শিক্ষকদের নিয়ে এত রাজনীতি হচ্ছে ৷ পরে শিক্ষকরাও বুঝবেন ৷ আমার বক্তব্য, তারা যদি এতই চিন্তিত, তাহলে তারা টাকাটা জোগাড় করে নিক ৷"
এদিকে, অনশনকারী প্রাথমিক শিক্ষকদের আরও একটি দাবি, যে 14 জন শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে তাদের নিজ নিজ
স্কুলে পুনর্বহাল করতে হবে । সেই বিষয়টি সোমবার দেখবেন বলে আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী । কিন্তু তাদের দ্বিতীয় দাবি পূরণের নিশ্চিত কোনও আশ্বাস না পেয়ে অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা ।