ETV Bharat / state

যাদবপুরকে টপকে NIRF-এ পঞ্চম স্থান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের - ju

ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট রাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক, ২০১৯-এর প্রথম দশে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ২টি বিশ্ববিদ্যালয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে টপকে পঞ্চম স্থান অধিকার করল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ষষ্ঠ স্থানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।

author img

By

Published : Apr 8, 2019, 11:57 PM IST

Updated : Apr 9, 2019, 10:23 AM IST

কলকাতা, ৮ এপ্রিল: ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ব়্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক, ২০১৯-এ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে টপকে পঞ্চম স্থান অধিকার করল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। কেন্দ্রীয় মানব উন্নয়ন মন্ত্রকের অনুমোদনক্রমে নির্দিষ্ট তথ্য ও সূচকের ভিত্তিতে প্রতি বছর এই মান নির্ধারণ হয়। আজ ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ব়্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক, ২০১৯ ঘোষণা করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তাতে প্রথম দশে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ২টি বিশ্ববিদ্যালয়।

তালিকায় সবার উপরে রয়েছে IIS বেঙ্গালুরুর নাম। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লির JNU। তৃতীয় স্থানে BHU, চতুর্থ ইউনিভার্সিটি অফ হায়দরাবাদ। পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে যথাক্রমে কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।

গত বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৪তম স্থানে ছিল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় গত বছরের মতো এবছরও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। ভারতের সেরা দশ কলেজের তালিকায় দশম স্থান অধিকার করে নিয়েছে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ। অষ্টম স্থানে রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ সেন্টিনারি কলেজ, রহড়া।

কলকাতা, ৮ এপ্রিল: ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ব়্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক, ২০১৯-এ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে টপকে পঞ্চম স্থান অধিকার করল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। কেন্দ্রীয় মানব উন্নয়ন মন্ত্রকের অনুমোদনক্রমে নির্দিষ্ট তথ্য ও সূচকের ভিত্তিতে প্রতি বছর এই মান নির্ধারণ হয়। আজ ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ব়্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক, ২০১৯ ঘোষণা করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তাতে প্রথম দশে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ২টি বিশ্ববিদ্যালয়।

তালিকায় সবার উপরে রয়েছে IIS বেঙ্গালুরুর নাম। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লির JNU। তৃতীয় স্থানে BHU, চতুর্থ ইউনিভার্সিটি অফ হায়দরাবাদ। পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে যথাক্রমে কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।

গত বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৪তম স্থানে ছিল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় গত বছরের মতো এবছরও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। ভারতের সেরা দশ কলেজের তালিকায় দশম স্থান অধিকার করে নিয়েছে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ। অষ্টম স্থানে রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ সেন্টিনারি কলেজ, রহড়া।

Intro:কলকাতা, ৬ এপ্রিল: গঠিত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল। বহুদীন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক বিষয়গুলি নিয়ে অধ্যাপকদের মতামত প্রকাশের জায়গা হিসাবে এই ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মহল। গত বছর শেষের দিকে ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের দাবিতে রিলে অবস্থান করেছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন CUTA। সেই দাবি তোলা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সিন্ডিকেটে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারির সিন্ডিকেট বৈঠকে ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আর সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয় ২৮ মার্চের সিন্ডিকেট বৈঠকে। গত ২ এপ্রিল একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, স্নাতকোত্তরের ক্ষেত্রে ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল গঠিত হয়ে গেছে। জানা যাচ্ছে, আগামী ১০ এপ্রিল এই ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের প্রথম বৈঠক হবে।
Body:২০১২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধন করা হয়। কিন্তু, বিধি বা স্ট্যাটিউট পরিবর্তন না হওয়ায় তখন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই কোনও ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল। যার জন্য শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলার জায়গা ছিল না বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের। দীর্ঘ সাত বছর পর অবশেষে গঠিত হল ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল। তবে, পুরনো নিয়মে এই কাউন্সিল তৈরি হলেও এই কাউন্সিলে নেই কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধি। ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলে থাকছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়, সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) দীপক কর, সহ-উপাচার্য (অর্থ) মীনাক্ষী বসু, প্রতিটি ফ্যাকাল্টির ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি বিভাগের প্রফেসর পদাধীকারিরা।

এই কাউন্সিল তৈরি হওয়ায় অধ্যাপকদের কতটা সুবিধা হল? CUTA-র সাধারণ সম্পাদক পার্থিব বসু বলেন, “সুবিধা তো হবেই। আমরা এটাই চাইছিলাম। এটার মধ্য দিয়ে কথা বলার ন্যূনতম জায়গাটা তৈরি হল। এটাকে ব্যবহার করতে হবে। এটাকে আপাতত ইতিবাচক হিসাবেই নিচ্ছি। তবে, নির্বাচিত প্রতিনিধির দাবি থেকেও সরছি না।” কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপিকা মহালয়া চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটা তো একটা আধাখ্যাঁচড়া ব্যাপার। আমরা তো আসলে চাইছি সব জায়গায় নির্বাচিত প্রতিনিধি থাক। আমাদের তো এখন দাবি হচ্ছে, স্ট্যাটিউট বানাতে হবে এবং পুরোটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে করতে হবে আগে যেমন ছিল। দেখা যাক। তবে, এতদিনে যখন একটা প্ল্যাটফর্ম পেলাম তখন সেটাকে ব্যবহার করে কী করা যায় দেখতে হবে। এতদিন তো কথা বলারই জায়গা ছিল না।”

WBCUPA-র কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক সুজয় ঘোষ বলেন, “এটা নির্বাচিত ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল হচ্ছে না। যেহেতু আমাদের নতুন স্ট্যাটিউটটা ফর্ম হয়নি সেহেতু এটা নির্বাচিত ফ্যাকাল্টি নয়। দ্বিতীয়ত, সমস্ত শিক্ষক সংগঠন, আমাদের সংগঠন এবং বামপন্থী যে শিক্ষক সংগঠন আছে সবাই আমরা ভাইস-চ্যান্সেলরদের বলছিলাম, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা ফোরাম দরকার। যে ফোরামে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শিক্ষকদের অ্যাকাডেমিক মতামত বিনিময়ের সুযোগ থাকবে। যেহেতু এই মুহূর্তে আমাদের স্ট্যাটিউটটা ভেঙে রয়েছে ন্যাচারালি ইলেকশন সম্ভব নয়। কুটা যেহেতু বিরোধী দল ওদের পক্ষে সুবিধা হয়েছে। ওরা মাটিতে বসে পড়ে আন্দোলন করেছে। কিন্তু, আমরা অনবরত বার বার করে ডেপুটেশন জমা দিয়েছি। শুধু এই উপাচার্য নয়, আমার পূর্ববর্তী দু'জন উপাচার্যের সঙ্গেই আমরা বার বার দেখা করেছিলাম। তাঁরা মান্যতা স্বরূপ গত সিন্ডিকেটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটা মেনে নিয়েছেন। ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলই নাম থাকছে। কিন্তু, যেহেতু নির্বাচনের সুযোগ নেই তাই এখানে নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকছে না এবং মনোনিত কোনো প্রার্থীও থাকছে না। সবাই পদাধিকার বলে থাকবেন।”

অধ্যাপকরা জানাচ্ছেন, আগামী ১০ এপ্রিল এই ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের প্রথম বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওইদিন দুপুর ৩টে থেকে হবে সেই বৈঠক। তবে, বৈঠকের অ্যাজেন্ডা কী থাকবে সেই বিষয়ে কিছু বলা হয়নি বলে জানাচ্ছেন অধ্যাপকরা। পার্থিব বসু এ বিষয়ে বলেন, “অ্যাজেন্ডা ওখানে গিয়ে বুঝতে পারব। আর কিছু আছে যেগুলো আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করব। যেমন, Ph.D রেগুলেশনে কিছু ক্ল্যারিটির দরকার আছে। যেটা না থাকার জন্য সমস্যা হচ্ছে।”
Conclusion:
Last Updated : Apr 9, 2019, 10:23 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.