কলকাতা, 20 এপ্রিল : চোপড়ায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা রাজনৈতিক কি না, তা জানতে চেয়ে কমিশনের কাছে চাওয়া হয়েছে রিপোর্ট। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের থেকে এসে গেছে প্রাথমিক রিপোর্ট। সেই রিপোর্ট দেখেছেন বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক। সেই সূত্রেই বিশেষ পর্যবেক্ষক জানিয়ে দেন, চোপড়ার ঘটনা পোস্ট পোল ভায়োলেন্স নয়।
গতকাল সকালে চোপড়া থানার মকদুমি গ্রামে তৃণমূল ও BJP-র সংঘর্ষ বাধে বলে সূত্রের খবর। অভিযোগ, উভয়পক্ষের গুলির লড়াই চলে। এইসময় গুলি লাগে স্থানীয় কিশোর মহম্মদ আবদুলের পায়ে। ক্লাস সেভেনের ছাত্র আবদুল বলে, "ওখানে গন্ডগোল চলছিল, গুলিও চলছিল। চেঁচামেচি শুনে আমি বাড়ির বাইরে যাই। গুলি এসে আমার পায়ে লাগে।" এই বিষয়ে, আবদুলের মামা আসফাক বলেন, "মকদুমিতে BJP-তৃণমূলের ঝামেলা চলছিল। বাচ্চা ছেলে বুঝতে পারেনি। চিৎকার শুনে ছুটে যায়। পরে দেখি ওর পায়ে গুলি লেগেছে। তারপর আমরা ওকে চোপড়া হাসপাতালে নিয়ে যাই।"
যদিও উত্তর দিনাজপুর জেলা থেকে আসা রিপোর্ট বলছে, এই ঘটনা নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসার মধ্যে পড়ছে না। এর পিছনে রয়েছে অন্য কারণ। সূত্রের খবর এমনই। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে অজয় নায়েক বলেন, “ চোপড়ার ঘটনা নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নয়।"