কলকাতা, ৬ এপ্রিল : এবার নির্বাচন কমিশনের নজরে রাজারহাটের অস্ত্র কারখানা। চক্রের অন্যতম পান্ডারা ৩০টি দেশি ৯ mm পিস্তল নিয়ে এসেছিল কলকাতায়। সেগুলি কাদের সরবরাহ করতো তারা? এই অস্ত্র নির্বাচনে অশান্তি করতে কাজে লাগানোর জন্যই কি আনা হয়েছিল? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর। সেই সূত্রেই উত্তর ২৪ পরগনার জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চাইল কমিশন। দ্রুত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর।
বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের টাস্ক ফোর্সের তদন্তকারীরা প্রথমে গ্রেপ্তার করে সাদাকত, টারজ়ান, ঋষি কুমার এবং সুমন কুমারকে। এদের মধ্যে ঋষি কুমার ছাড়া প্রত্যেকের বাড়ি বিহারের মুঙ্গেরে। ঋষির বাড়ি বিহারের বাঙ্কায়। কলকাতাতেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৩০টি দেশি ৯ mm পিস্তল। এই চারজনকে জেরা করেই জানা যায় রাজারহাটের অস্ত্র কারখানার কথা। তারপরই সন্ধ্যায় নারায়ণপুর থানা এলাকার ছোটোগাঁথি ও দোননগরে বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ পায় পুলিশ। STF এবং নারায়ণপুর থানার পুলিশ যৌথভাবে তল্লাশি চালায়। উদ্ধার হয় আরও ৬০টি আগ্নেয়াস্ত্র। গ্রেপ্তার করা হয় কারখানার মালিক মুন্না সহ তিনজকে।
যোগসূত্রটা মুঙ্গেরের। অস্ত্র কারখানা গজিয়ে উঠছে শহরতলীতেও। কাজ করছে বিহারের বিখ্যাত মুঙ্গেরি 'ইঞ্জিনিয়ররা'। তৈরি অস্ত্র চলে যাচ্ছে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে। পুলিশের সূত্র জানাচ্ছে, সেই অস্ত্র ব্যবহার করছে জামাত জঙ্গীরা। বিনিময়ে এদেশে ঢুকছে জালনোট। কিন্তু, গতকাল শহরের উপকণ্ঠে যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে একইসঙ্গে খোঁজ মিলেছে অস্ত্র কারখানার সেটা নিয়ে চিন্তিত নির্বাচন কমিশন। আজ অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু বলেন, "এই ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছি আমরা। রিপোর্ট খতিয়ে দেখে নেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ।"