ETV Bharat / state

জঙ্গলমহল নিয়ে সতর্ক কমিশন, পাঠানো হল 50 কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

author img

By

Published : May 5, 2019, 2:14 AM IST

Updated : May 5, 2019, 5:31 PM IST

বুধবার মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলিতে IED বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা । তার জেরে 15 জন নিরাপত্তারক্ষী শহিদ হন । পরদিনই ছত্তিশগড়ের সুকমায় পুলিশের 'গুপ্তচর সন্দেহে' দু'জনকে খুন করে মাওবাদীরা । এই ঘটনাগুলির জেরে জঙ্গলমহলে কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি কমিশন ।

কেন্দ্রীয় বাহিনী

কলকাতা, 5 মে : 12 মে ষষ্ঠ দফায় মাওবাদী অধ্যুষিত জঙ্গলমহলে ভোটগ্রহণ । তার আগে সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও খামতি রাখতে চায় না নির্বাচন কমিশন । সেজন্য ইতিমধ্যে জঙ্গলমহলে 50 কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে । এর ফলে, 578 কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর পরিবর্তে পঞ্চম দফায় 528 কম্পানি ফোর্সকে ব্যবহার করা হবে । কমিশন সূত্রে এই খবর পাওয়া গেছে ।

একটা সময় জঙ্গলমহল সশস্ত্র মাওবাদীদের কার্যত মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছিল । প্রায়শই লাল কালিতে হাতে লেখা পোস্টার দেখতে পাওয়া যেত । 2011 সালের 24 নভেম্বর যৌথবাহিনীর গুলিতে নিহত হন কিষেনজি । তারপর থেকে জঙ্গলমহলে এরকম পোস্টার দেখা যায়নি । যদিও জঙ্গলমহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে দেওয়া হয়েছে । খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, জঙ্গলমহল হাসছে । কিন্তু, পরে জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের গতিবিধির টের পাওয়া যায় । গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, মূলত ঝাড়খণ্ড থেকে জঙ্গল পথে মাওবাদীরা রাজ্যে ঢুকছে । জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের তত্‍‌পরতা দেখা না গেলেও ঝাড়খণ্ড-বাংলা সীমানায় মাওবাদীদের বেশ কয়েকটি দল এখনও সক্রিয় রয়েছে বলে গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে আসে । বাংলার কমবয়সি মাওবাদীরা দলগুলির নেতৃত্বে রয়েছে । গত বছর নভেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, "বেলপাহাড়ির কয়েকটি অঞ্চলে কেউ কেউ ঝাড়খণ্ড থেকে মাওবাদীদের নিয়ে আসছে । তারা চাইছে ঝাড়গ্রাম আবার রক্তাক্ত হোক । "

পরে লোকসভা ভোটের প্রথম দফার জন্য জঙ্গলমহল থেকে 35 কম্পানির মধ্যে 29 কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন । রাজ্যের তরফে তীব্র আপত্তি জানানো হয় । রাজ্যের দাবি ছিল, ভোটের কারণে জঙ্গলমহল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে নেওয়া হলে মাওবাদীরা ফের তত্‍‌পর হয়ে ওঠার সুযোগ পাবে । রাজ্যের আপত্তি সত্ত্বেও নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নেওয়া হয় । ইতিমধ্যে রাজ্যের গোয়েন্দা রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে । পরিস্থিতি জটিল অনুধাবন করে চতুর্থ দফার ভোট মিটে যাওয়ার পরই জঙ্গলমহলে 50 কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে দেওয়া হয় । পাশাপাশি, বুধবার মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলিতে IED বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা । তার জেরে 15 জন নিরাপত্তারক্ষী শহিদ হন । পরদিনই ছত্তিশগড়ের সুকমায় পুলিশের 'গুপ্তচর সন্দেহে' দু'জনকে খুন করে মাওবাদীরা । এই ঘটনাগুলির জেরে জঙ্গলমহলে কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি কমিশন । এছাড়াও, প্রথম দফার মতো বাহিনী অপ্রতুলতা মিটে যাওয়ায় জঙ্গলমহলে বাহিনী পাঠানো দেওয়া হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর । এর ফলে, প্রাথমিকভাবে 578 কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহারের কথা থাকলেও পঞ্চম দফায় 528 কম্পানি ফোর্স থাকবে ।

কলকাতা, 5 মে : 12 মে ষষ্ঠ দফায় মাওবাদী অধ্যুষিত জঙ্গলমহলে ভোটগ্রহণ । তার আগে সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও খামতি রাখতে চায় না নির্বাচন কমিশন । সেজন্য ইতিমধ্যে জঙ্গলমহলে 50 কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে । এর ফলে, 578 কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর পরিবর্তে পঞ্চম দফায় 528 কম্পানি ফোর্সকে ব্যবহার করা হবে । কমিশন সূত্রে এই খবর পাওয়া গেছে ।

একটা সময় জঙ্গলমহল সশস্ত্র মাওবাদীদের কার্যত মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছিল । প্রায়শই লাল কালিতে হাতে লেখা পোস্টার দেখতে পাওয়া যেত । 2011 সালের 24 নভেম্বর যৌথবাহিনীর গুলিতে নিহত হন কিষেনজি । তারপর থেকে জঙ্গলমহলে এরকম পোস্টার দেখা যায়নি । যদিও জঙ্গলমহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে দেওয়া হয়েছে । খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, জঙ্গলমহল হাসছে । কিন্তু, পরে জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের গতিবিধির টের পাওয়া যায় । গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, মূলত ঝাড়খণ্ড থেকে জঙ্গল পথে মাওবাদীরা রাজ্যে ঢুকছে । জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের তত্‍‌পরতা দেখা না গেলেও ঝাড়খণ্ড-বাংলা সীমানায় মাওবাদীদের বেশ কয়েকটি দল এখনও সক্রিয় রয়েছে বলে গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে আসে । বাংলার কমবয়সি মাওবাদীরা দলগুলির নেতৃত্বে রয়েছে । গত বছর নভেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, "বেলপাহাড়ির কয়েকটি অঞ্চলে কেউ কেউ ঝাড়খণ্ড থেকে মাওবাদীদের নিয়ে আসছে । তারা চাইছে ঝাড়গ্রাম আবার রক্তাক্ত হোক । "

পরে লোকসভা ভোটের প্রথম দফার জন্য জঙ্গলমহল থেকে 35 কম্পানির মধ্যে 29 কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন । রাজ্যের তরফে তীব্র আপত্তি জানানো হয় । রাজ্যের দাবি ছিল, ভোটের কারণে জঙ্গলমহল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে নেওয়া হলে মাওবাদীরা ফের তত্‍‌পর হয়ে ওঠার সুযোগ পাবে । রাজ্যের আপত্তি সত্ত্বেও নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নেওয়া হয় । ইতিমধ্যে রাজ্যের গোয়েন্দা রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে । পরিস্থিতি জটিল অনুধাবন করে চতুর্থ দফার ভোট মিটে যাওয়ার পরই জঙ্গলমহলে 50 কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে দেওয়া হয় । পাশাপাশি, বুধবার মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলিতে IED বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা । তার জেরে 15 জন নিরাপত্তারক্ষী শহিদ হন । পরদিনই ছত্তিশগড়ের সুকমায় পুলিশের 'গুপ্তচর সন্দেহে' দু'জনকে খুন করে মাওবাদীরা । এই ঘটনাগুলির জেরে জঙ্গলমহলে কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি কমিশন । এছাড়াও, প্রথম দফার মতো বাহিনী অপ্রতুলতা মিটে যাওয়ায় জঙ্গলমহলে বাহিনী পাঠানো দেওয়া হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর । এর ফলে, প্রাথমিকভাবে 578 কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহারের কথা থাকলেও পঞ্চম দফায় 528 কম্পানি ফোর্স থাকবে ।

Intro:কলকাতা, ৫ এপ্রিল: শ্রম দিবসে “ বিপ্লব" করেছিল মাওবাদীরা। তাদের গেরিলা আক্রমনে মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলিতে এক চালক সহ ১৫ জন জওয়ান শহিদ হন।IED বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা চালানো হয় সেনা জওয়ানদের গাড়িতে। পরের দিনই ছত্তিশগড়ের সুকমায় মাওবাদীরা গ্রামে ঢুকে দু'জনকে পুলিশের “গুপ্তচর সন্দেহে" খুন করে। সাম্প্রতিক এই ঘটনা প্রবাহের যুগে ঝুঁকি নিতে রাজি নয় নির্বাচন কমিশন। সেই সূত্রে এখনই ৫০ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হল জঙ্গলমহলে।Body:লাল কালিতে হাতে লেখা পোস্টার। নীচে লেখা ন্যাশনাল নকশাল কমিটি ও সিপিআই (মাওবাদী)। ২০১১ সালের পর এমন পোস্টার আর দেখা যায়নি। মাঝেমধ্যে গোয়েন্দা রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছিল খবর। ঝাড়খন্ড থেকে জঙ্গল পথে এরাজ্যে ঢুকছেন মাওবাদীরা। গত বছর জুনে আদিবাসীদের ‘রেল রোকো’ ও ‘হুল দিবস বয়কট’ সাড়া ফেলে দেয়।গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, বিগতে পাঁচ বছরে জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের তত্‍‌পরতা দেখা যায়নি। তবে, ঝাড়খণ্ড-বাংলা সীমানায় মাওবাদীদের বেশ কয়েকটি গ্রুপ এখনও রয়েছে। যাদের নেতৃত্বে রয়েছেন এই বাংলারই তরুণ মাওবাদী নেতারা।

মাও শীর্ষনেতা কিষনজি নিহত হওয়ার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, জঙ্গলমহল হাসছে। সংশ্লিষ্ট মহল বলছে এ জঙ্গলমহল সেই জঙ্গলমহল যেখানে রয়েছে মাওবাদীদের সর্বোচ্চ শহীদ স্তম্ভ। যেখানে আজও সিধু সোরেনদের নামে কেউ বা কারা কেউ দিয়ে যায় ফুল। তাই বাম আমলে নির্বিচারে হত্যা হলেও আদিবাসীদের মনের কোণে কোথাও যেন রয়ে গেছেন তারা। সেটা বুঝে গত নভেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “বেলপাহাড়ির কয়েকটা অঞ্চলে কেউ কেউ ঝাড়খণ্ড থেকে মাওবাদীদের নিয়ে আসছে। আবার চাইছে ঝাড়গ্রাম রক্তাক্ত হয়ে যাক।”

কেন্দ্রীয় পুলিশ পর্যবেক্ষেক বিবেক দুবে রাজ্যে এসে বেশকিছু বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেন, জঙ্গলমহল থেকে সরানো হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও রাজ্যে তরফে আসে তীব্র প্রতিবাদ। নবান্ন জানিয়ে দেয়, ভোটের কারণে, কেন্দ্রীয় বাহিনী জঙ্গলমহল থেকে সরিয়ে নেওয়া হলে, মাওবাদীরা ফের সেখানে তত্‍‌পর হয়ে ওঠার সুযোগ পাবে। বাহিনী না পাওয়ায় রাজ্যের সেই আবেদনে কর্ণপাত করেননি কমিশন। সেখানে মোতায়েন থাকা ২৯ কোম্পানি CRPF জওয়ানদের উত্তরবঙ্গের ভোটে মোতায়েন করা হয়।Conclusion:তবে রাজ্যের গোয়েন্দা রিপোর্ট দেখার পর দুঁদে প্রাক্তন IPS বিবেক বুঝতে পারেন পরিস্থিতি জটিল। পাশাপাশি প্রথম দফার মতো বাহিনী পাবার সমস্যা মিটে গেছে। সেই সূত্রেই জঙ্গলমহলে ফের ফিরেছে ভারী বুটের আওয়াজ। নির্বাচন কমিশনের হিসেবে পঞ্চম দফায় ৫২৪ কোম্পানিতেই ১০০ শতাংশ বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাই দেরি না করে চতুর্থ দফায় ভোট পর্ব মেটার পরেই জঙ্গলমহলের মাও অধ্যুষিত জেলাগুলোতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ৫০ কোম্পানি বাহিনী। সেই সূত্রেই ৫৭৮ কোম্পানির বাহিনী রেখে পঞ্চম দফার ভোট হওয়ার কথা থাকলেও, আদতে পঞ্চম দফার ভোট সম্পন্ন হবে ৫২৮ কম্পানিতে। সূত্রের খবর এমনটাই।
Last Updated : May 5, 2019, 5:31 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.