রামপুরহাট, 30 জুন: "সময় এলে ষড়যন্ত্রকারীদের নাম বলব ৷" বৃহস্পতিবার সকালে রামপুরহাট মহকুমা সংশোধনাগার থেকে সিউড়ি জেলা সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বগটুই হত্যা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন ৷ এদিন সকালে রামপুরহাট মহকুমা আদালতের আদেশানুযায়ী তাকে সিউড়ি জেলা সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয় (Anarul Hossain Comment About Bogtui)।
গত 21 মার্চ রামপুরহাট 1 নম্বর ব্লকের বরশাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর বগটুই গ্রামে হিংসার ঘটনায় শিশুসহ 9 জনের মৃত্যু হয় । তারপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুই এসে তৎকালীন রামপুরহাট 1 নম্বর ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন । পরে হাইকোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত ভার নেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই । যদিও আনারুল বরাবর দাবি করে সে নির্দোষ । তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে ।
আরও পড়ুন : Bagtui Massacre : বগটুই কাণ্ডে জোড়া চার্জশিট পেশ, ভাদু খুনে 4 জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা
গত 20 জুন রামপুরহাট মহকুমা আদালতে বগটুই কাণ্ডে জোড়া চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই । তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ মামলায় 4 জন ও বগটুই কাণ্ডে 9 জন খুনের মামলায় চার্জশিটে তৃণমূল নেতা আনারুল-সহ 18 জনের নাম দেয় সিবিআই । চার্জশিটে সিবিআই দাবি করে আনারুল হোসেন এই হত্যাকাণ্ডে যুক্ত আছে । যদিও আনারুলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা দাবি করেন, এই ঘটনার সঙ্গে আনারুল হোসেনের কোনও যোগ নেই । তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার । এমনকী আনারুলের মোবাইল সিবিআই আইন মোতাবেক বাজেয়াপ্ত করেনি বলেও তিনি জানান। এই বিষয়ে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের হয় ।
বৃহস্পতিবার সকালে রামপুরহাট মহকুমা সংশোধনাগার থেকে সিউড়ি জেলা সংশোধনাগার নিয়ে যাওয়া হয় ধৃত তৃণমূল নেতা আনারুলকে । নিয়ে যাওয়ার সময় আনারুল দাবি করে, সে নির্দোষ তাকে ফাঁসানো হয়েছে । তার বাড়ি বগটুই থেকে 5 কিলোমিটার দূরে, এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই । তিনি বলেন, "আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে । সময় এলে ষড়যন্ত্রকারীদের নাম বলব ৷"