সিউড়ি, 6 নভেম্বর: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Scam) সিবিআই (CBI) ও ইডি (ED)-এর যৌথ তল্লাশি অভিযানের পরই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশ (West Bengal Police) ৷ ধৃত ব্যবসায়ীর নাম টুলু মণ্ডল (Tulu Mondal) ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরনো একটি মামলায় টুলুকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তারপর থেকেই শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা ৷ প্রশ্ন উঠছে, তবে কি গরুপাচার মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা যাতে টুলুকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে না-পারেন, তা নিশ্চিত করতেই তড়িঘড়ি তাঁকে গ্রেফতার করা হল ? আপাতত এই প্রশ্নের কোনও উত্তর মেলেনি ৷
টুলু মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে বীরভূমের মহম্মদবাজার থানার পুলিশ । সূত্রের দাবি, বীরভূমজুড়ে বেআইনি পাথরের যে কারবার চলে, তার পাণ্ডা এই টুলু মণ্ডল ৷ এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে নানা সময় নানা অভিযোগ উঠেছে ৷ কিন্তু, অনুব্রত মণ্ডলের 'নেক নজরে' থাকায় টুলুর বিরুদ্ধে কখনই তেমন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি ৷
আরও পড়ুন: অনুব্রতকে জেরা করতে আসানসোল সংশোধনাগারে সিবিআই
ছবিটা বদলে যায় গরুপাচার মামলায় সিবিআই ও ইডি-এর ধরপাকড় শুরু হওয়ার পর ৷ গরুপাচারের বিস্তারিত তথ্য হাতে পেতে ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷ সেই তালিকায় নাম রয়েছে টুলু মণ্ডলেরও ৷ সম্প্রতি টুলু মণ্ডলের বাড়িতে অভিযান চালায় সিবিআই ও ইডি ৷ প্রায় 5 ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি ৷ তাতে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয় বলে দাবি সূত্রের ৷ অনুমান করা হচ্ছিল, এরপর হয়তো গরুপাচার মামলায় টুলুকেও ডেকে পাঠাবে কোনও না কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা ৷ কিন্তু, তার ঠিক আগেই তাঁকে গ্রেফতার করে নেওয়া হল !
তথ্য বলছে, বীরভূম জেলায় বেআইনি পাথর খাদানের কারবার নতুন কিছু নয় ৷ বিশেষ করে মহম্মদবাজার, দেউচাপাচামি, নলহাটি প্রভৃতি এলাকায় এই ধরনের অসংখ্য বেআইনি খাদান রয়েছে ৷ সূত্রের দাবি, এই কারবার নিয়ন্ত্রণ করেন টুলু নিজে ৷ এছাড়াও বেআইনিভাবে টোল আদায় করারও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে ৷ কিন্তু, এই অভিযোগ নতুন নয় ৷ তাহলে হঠাৎ করে এখন কেন সেই মামলায় টুলুকে গ্রেফতার করা হল ? তবে কি, টুলুর কাছে গরুপাচার সংক্রান্ত এমন কোনও তথ্য রয়েছে, যা সিবিআই বা ইডি-এর হাতে চলে এলে বিপদ বাড়বে অনুব্রত মণ্ডলের ? ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ অন্তত এমনটাই মনে করছে ৷ রবিবার টুলু মণ্ডলকে সিউড়ি জেলা আদালতে পেশ করা হয় ৷