ETV Bharat / state

অনুব্রতর নজরদারিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ নয় : হাইকোর্ট

অনুব্রত মণ্ডলের উপর নজরদারি নিয়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল না হাইকোর্ট । কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আজ হাইকোর্টে যায় তৃণমূল ।

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Apr 29, 2019, 12:35 PM IST

Updated : Apr 30, 2019, 9:23 AM IST

কলকাতা, 29 এপ্রিল : বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের উপর নজরদারির বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে তৃণমূল। কিন্তু, অনুব্রতর উপর নজরদারিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল না হাইকোর্ট। তৃণমূল এবং নির্বাচন কমিশনকে তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে বলেছে উচ্চ আদালত ।

অনুব্রত মণ্ডলের উপর নজরদারির সিদ্ধান্ত পদ্ধতি মেনে হয়নি । এই অভিযোগ তুলে আজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। মামলাটি ওঠে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে । আজ সকালে অনুব্রত মণ্ডলের তরফে আইনজীবী বৈশ্বানর চ্যাটার্জি বিচারপতি দেবাংশু বসাকের সিঙ্গল বেঞ্চে জানান, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন অসাংবিধানিক পদক্ষেপে গ্রহণ করেছে । 28 তারিখ তাঁকে একটি ইমেল পাঠিয়ে জানানো হয়েছে সেদিন সন্ধ্যা 6 টা থেকে 30 এপ্রিল সকাল 7 টা পর্যন্ত তাঁর উপর নজরদারি থাকবে নির্বাচন কমিশনের । তখন বিচারপতি দেবাংশু বসাক জানান, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনের জন্য নির্বাচন কমিশন একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে সমস্যা কোথায়? তখন আইনজীবী বলেন, "এটা সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী ।" ফের বিচারপতি বলেন, "ঠিক আছে আপনি নির্বাচন কমিশনের তরফে যিনি আইনজীবী আছেন তাঁকে বিষয়টি জানান । বেলা ১২টার সময় আমি বিষয়টি শুনব ।"

বেলা ১২টায় মামলার শুনানি শুরু হলে অনুব্রত মণ্ডলের তরফে আইনজীবী প্রথমেই বলেন, "আমার মক্কেলের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে । ওনার স্ত্রী ক্যানসার আক্রান্ত । তাঁর চিকিৎসা চলছে টাটা ক্যান্সার হাসপাতালে । কিছুদিন আগে মা মারা গেছেন । এই পরিস্থিতিতে তিনি কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারছেন না । এটা সংবিধান বিরোধী ।"

কিন্তু বিচারপতি দু'পক্ষের বক্তব্য শোনার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের উপর কোনও অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেননি । পাশাপাশি আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে দু'পক্ষকেই হলফনামা দিয়ে তাদের বক্তব্য জানাতে বলেছেন তিনি । প্রসঙ্গত, অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে মামলাটি দায়ের করেন আইনজীবী বৈশ্বানর চ্যাটার্জি ।

বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দী করার যে নির্দেশ দেওয়া হয় তাতে কমিশনের বিধি মেনে সই করা কোনও নির্দেশিকা ইশু হয়নি । সূত্র জানাচ্ছে, এক উপমুখ্য নির্বাচন কমিশনারের তরফে শুধুমাত্র একটা ইমেল আসে । যাতে জানিয়ে দেওয়া হয় অনুব্রতর বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হল । অথচ সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হলে কেন তা নেওয়া হল সে বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা থাকতে হয় । কেন অনুব্রতর বিরুদ্ধে এত বড় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হল তার কোনও উল্লেখ ওই ইমেলে ছিল না । সূত্রের খবর এমনই । বিষয়টি নিয়ে আজ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল ।

গতকাল সন্ধ্যায় কমিশনের এক উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের তরফে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরকে মেল করে জানিয়ে দেওয়া হয়, নজরবন্দী করা হবে অনুব্রতকে । এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর উপর নজর রাখবেন । কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁকে ঘিরে থাকবেন । সেই মতো গতকাল থেকেই নজরবন্দী রয়েছেন অনুব্রত । যদিও, অভিযোগ উঠেছে সেই অবস্থাতেই ফোনে কথা বলছেন তিনি । গতকাল রাতে অনুব্রত বলেন, "নজরবন্দী মানি না ।" এদিকে সূত্রের খবর, নজরবন্দী করার যে সিদ্ধান্ত কমিশনের তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে, তাতে পদ্ধতিগত ভুল রয়েছে । সাধারণভাবে নির্বাচন কমিশনের যে কোনও নির্দেশিকা নির্দিষ্ট মেমো নম্বর সহ আসে । প্রথমে ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের প্যাডে সই করা নির্দেশিকার স্ক্যান কপি ইমেলের মাধ্যমে পাঠানো হয় । পরে আসে হার্ড কপি । CEO-র দপ্তর সূত্রে খবর, গতকাল সই করা কোনও নির্দেশিকা আসেনি । নির্বাচন কমিশনের যে ওয়েবসাইট রয়েছে তাতে এই নির্দেশিকার কোনও কপিও দেওয়া হয়নি । সাধারণভাবে সেই নির্দেশিকার কপি দিয়ে দেওয়া হয় কমিশনের ওয়েব সাইটে ।

অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে সওয়াল করার জন্য আইনজীবী বৈশ্বানর চ্যাটার্জিকে শোকজ় করল বার কাউন্সিল ।

কলকাতা, 29 এপ্রিল : বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের উপর নজরদারির বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে তৃণমূল। কিন্তু, অনুব্রতর উপর নজরদারিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল না হাইকোর্ট। তৃণমূল এবং নির্বাচন কমিশনকে তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে বলেছে উচ্চ আদালত ।

অনুব্রত মণ্ডলের উপর নজরদারির সিদ্ধান্ত পদ্ধতি মেনে হয়নি । এই অভিযোগ তুলে আজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। মামলাটি ওঠে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে । আজ সকালে অনুব্রত মণ্ডলের তরফে আইনজীবী বৈশ্বানর চ্যাটার্জি বিচারপতি দেবাংশু বসাকের সিঙ্গল বেঞ্চে জানান, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন অসাংবিধানিক পদক্ষেপে গ্রহণ করেছে । 28 তারিখ তাঁকে একটি ইমেল পাঠিয়ে জানানো হয়েছে সেদিন সন্ধ্যা 6 টা থেকে 30 এপ্রিল সকাল 7 টা পর্যন্ত তাঁর উপর নজরদারি থাকবে নির্বাচন কমিশনের । তখন বিচারপতি দেবাংশু বসাক জানান, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনের জন্য নির্বাচন কমিশন একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে সমস্যা কোথায়? তখন আইনজীবী বলেন, "এটা সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী ।" ফের বিচারপতি বলেন, "ঠিক আছে আপনি নির্বাচন কমিশনের তরফে যিনি আইনজীবী আছেন তাঁকে বিষয়টি জানান । বেলা ১২টার সময় আমি বিষয়টি শুনব ।"

বেলা ১২টায় মামলার শুনানি শুরু হলে অনুব্রত মণ্ডলের তরফে আইনজীবী প্রথমেই বলেন, "আমার মক্কেলের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে । ওনার স্ত্রী ক্যানসার আক্রান্ত । তাঁর চিকিৎসা চলছে টাটা ক্যান্সার হাসপাতালে । কিছুদিন আগে মা মারা গেছেন । এই পরিস্থিতিতে তিনি কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারছেন না । এটা সংবিধান বিরোধী ।"

কিন্তু বিচারপতি দু'পক্ষের বক্তব্য শোনার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের উপর কোনও অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেননি । পাশাপাশি আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে দু'পক্ষকেই হলফনামা দিয়ে তাদের বক্তব্য জানাতে বলেছেন তিনি । প্রসঙ্গত, অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে মামলাটি দায়ের করেন আইনজীবী বৈশ্বানর চ্যাটার্জি ।

বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দী করার যে নির্দেশ দেওয়া হয় তাতে কমিশনের বিধি মেনে সই করা কোনও নির্দেশিকা ইশু হয়নি । সূত্র জানাচ্ছে, এক উপমুখ্য নির্বাচন কমিশনারের তরফে শুধুমাত্র একটা ইমেল আসে । যাতে জানিয়ে দেওয়া হয় অনুব্রতর বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হল । অথচ সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হলে কেন তা নেওয়া হল সে বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা থাকতে হয় । কেন অনুব্রতর বিরুদ্ধে এত বড় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হল তার কোনও উল্লেখ ওই ইমেলে ছিল না । সূত্রের খবর এমনই । বিষয়টি নিয়ে আজ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল ।

গতকাল সন্ধ্যায় কমিশনের এক উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের তরফে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরকে মেল করে জানিয়ে দেওয়া হয়, নজরবন্দী করা হবে অনুব্রতকে । এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর উপর নজর রাখবেন । কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁকে ঘিরে থাকবেন । সেই মতো গতকাল থেকেই নজরবন্দী রয়েছেন অনুব্রত । যদিও, অভিযোগ উঠেছে সেই অবস্থাতেই ফোনে কথা বলছেন তিনি । গতকাল রাতে অনুব্রত বলেন, "নজরবন্দী মানি না ।" এদিকে সূত্রের খবর, নজরবন্দী করার যে সিদ্ধান্ত কমিশনের তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে, তাতে পদ্ধতিগত ভুল রয়েছে । সাধারণভাবে নির্বাচন কমিশনের যে কোনও নির্দেশিকা নির্দিষ্ট মেমো নম্বর সহ আসে । প্রথমে ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের প্যাডে সই করা নির্দেশিকার স্ক্যান কপি ইমেলের মাধ্যমে পাঠানো হয় । পরে আসে হার্ড কপি । CEO-র দপ্তর সূত্রে খবর, গতকাল সই করা কোনও নির্দেশিকা আসেনি । নির্বাচন কমিশনের যে ওয়েবসাইট রয়েছে তাতে এই নির্দেশিকার কোনও কপিও দেওয়া হয়নি । সাধারণভাবে সেই নির্দেশিকার কপি দিয়ে দেওয়া হয় কমিশনের ওয়েব সাইটে ।

অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে সওয়াল করার জন্য আইনজীবী বৈশ্বানর চ্যাটার্জিকে শোকজ় করল বার কাউন্সিল ।

sample description
Last Updated : Apr 30, 2019, 9:23 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.