বোলপুর, 8 অক্টোবর: এবার উপাসনা গৃহের সামনের রাস্তা পেতে দেশের রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাস্তা চেয়ে চিঠি দিয়েও উত্তর মেলেনি বলে অভিযোগ বিশ্বভারতীর। তাই 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ' তকমা রক্ষায় যান নিয়ন্ত্রণের জন্য তিন কিলোমিটার রাস্তাটি বিশ্বভারতীকে দেওয়া হোক, এই মর্মে বিশ্বভারতীর পরিদর্শক তথা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দেওয়া হল ৷
রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া চিঠিতে উপাচার্য লেখেন, "আমরা আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে 25 এবং 30 সেপ্টেম্বর 2023 চিঠি পাঠিয়ে বিশ্বভারতীর রাস্তা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আন্তরিক অনুরোধ করেছি ৷ যদিও তার কোনও উত্তর আসেনি। তাই বিশ্বভারতীকে রাস্তাটি পুনরায় দিতে আপনার হস্তক্ষেপ ও প্রচেষ্টা প্রার্থনা করছি। যাতে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী রাস্তাটি দেন এবং বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য রক্ষায় সহযোগিতা করেন।"
17 সেপ্টেম্বর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন আশ্রম 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ' বা 'বিশ্ব ঐতিহ্যের' তকমা পেয়েছে ইউনেসকো'র কাছ থেকে। এই আশ্রমের মধ্য দিয়ে একটি রাস্তা চলে গিয়েছে। রাস্তাটি রাজ্য সরকারের পূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এই রাস্তার দু'দিকে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী ভবন, ভাস্কর্য, স্থাপত্য ৷ এই রাস্তাটি তৎকালীন বিশ্বভারতীর উপাচার্য স্বপন দত্তের সময়কালে আবেদনের ভিত্তিতে বিশ্বভারতীকে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তী উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সঙ্গে একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সংঘর্ষ চরমে পৌঁছয় ৷ তাই 2020 সালের 28 ডিসেম্বর বীরভূম জেলা সফরে এসে রাস্তাটি ফিরিয়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই ফের রাস্তাটি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে দুটি চিঠি দিয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। আশ্রমিকদের অভিযোগ ছিল, সাধারণের ব্যবহৃত রাস্তা উপাচার্য বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: হেলিকপ্টার চেয়ে পেলেন না, বিমানে চেপেই কলকাতা ফিরছেন রাজ্যপাল
উপাচার্যের অভিযোগ, রাস্তা চেয়ে আবেদনের চিঠির কোন উত্তর দেননি মুখ্যমন্ত্রী। আরও অভিযোগ, রাস্তাটিতে ভারি যান ও টোটো চলাচল নিয়ন্ত্রণ না করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ঐতিহ্যবাহী ভবন, ভাস্কর্যগুলি ৷ এদিন নিজেই হাত জোর করে রাস্তায় নেমে টোটো চালকদের অনুরোধ করতেও দেখা গিয়েছিল উপাচার্যকে।