শান্তিনিকেতন, 14 ফেব্রুয়ারি: আমন্ত্রণ বিতর্কের পর ফের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ করতে চলেছে বিশ্বভারতী। জানা গিয়েছে, একটি বৈঠকে এমনটাই ঠিক করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। 19 ফেব্রুয়ারির সমাবর্তনে ভার্চুয়ালি যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও।
কোরোনা আবহের জন্য 11 মাসেরও বেশি সময় ধরে সশরীরে পঠন-পাঠন বন্ধ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে অনলাইনে ক্লাস চলছে। তাই পড়ুয়াদের শংসাপত্র ও প্রথা অনুযায়ী ছাতিমপাতা দেওয়ার জন্য 19 ফেব্রুয়ারি সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চলেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। রীতি অনুযায়ী আম্রকুঞ্জেই হবে এই অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তবে সশরীর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিখাঞ্জ ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের। জানা গিয়েছে, সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্বভারতীর তরফে আমন্ত্রণ জানানো হবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও৷
গত 24 ডিসেম্বর বিশ্বভারতীর শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে দাবি করেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, বোলপুর সফরে এসে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে কার্যত কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, "বিশ্বভারতীর কোনও অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।" বিশ্বভারতীর দাবি ও মুখ্যমন্ত্রীর কথা, এই দুই মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর জমি জরিপের আবেদন পরিবেশকর্মী সুভাষের
সেই আমন্ত্রণ বিতর্কের পর ফের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানাতে চলেছে বিশ্বভারতী। ইতিমধ্যে একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিশ্বভারতীর তরফে। এখন দেখার এই আমন্ত্রণ পাওয়ার পর কী প্রতিক্রিয়া দেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও, এ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কেউই।