শান্তিনিকেতন, 11 ফেব্রুয়ারি : বিশ্বভারতীর সাংবাদিকতা ও গণসংযোগ বিভাগের প্রধান বিপ্লব লৌহচৌধুরীকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল (Removed Mass Communication Head)। অস্থায়ীভাবে এই পদের দায়িত্ব নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের অধ্যাপক মৌসুমী ভট্টাচার্য (Mousumi Bhattacharjee New Professor) । এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ (Visva Bharati Notice)। পাশাপাশি বিভাগীয় প্রধানকে শোকজ করে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি বিশ্বভারতীর সাংবাদিকতা ও গণসংযোগ বিভাগের প্রধান বিপ্লব লৌহচৌধুরীর একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে এসেছে । যেখানে দেখা গিয়েছে, তিনি বলছেন চন্দ্রনাথবাবুকে অপসারণের জন্য উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী দায়ী । এরপরেই বিভাগীয় প্রধানকে শোকজ করে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এদিন কর্তৃপক্ষ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, কর্মসমিতির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তদন্ত চলাকালীন বিভাগীয় প্রধান পদ থেকে অধ্যাপক বিপ্লব লৌহচৌধুরীকে সরানো হল । পরিবর্তে অস্থায়ীভাবে ওই বিভাগের অধ্যাপিকা মৌসুমী ভট্টাচার্যকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় বিশ্বভারতীর সাংবাদিকতা ও গণসংযোগ বিভাগের ফিল্ড অফিসার চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপসারণ করা হয় ৷ যা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চন্দ্রনাথবাবু ৷ সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে ফিল্ড অফিসার চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবিলম্বে নিয়োগ করতে হবে । পাশাপাশি অপসারণকালীন সমস্ত বকেয়া বেতন দিতে হবে ৷ এদিনের ঘটনার পর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সময়কালে একের পর এক কর্মী, অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের সাসপেন্ড, অপসারণ, বরখাস্ত, সরিয়ে দেওয়া নিয়ে বিতর্ক কার্যত অব্যাহত রইল ।