বোলপুর, 23 জানুয়ারি : কাচ দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বৃহৎ ভাস্কর্য নির্মাণ করে নজির গড়লেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের অধ্যাপক শিশির সাহানা । বোলপুরের শিবপুরে গীতবিতান আবাসনে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এই ভাস্কর্যকে ৷ কাচের তৈরি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্যটির উচ্চতা সাড়ে 13 ফুট । শিশিরবাবুর ধারণা, এটি ভারতের প্রথম কাচ দিয়ে নির্মিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্য ৷
ব্রোঞ্জ, কাঠ, তামা, পিতল, অ্যালুমিনিয়াম, লোহা, মাটি, পাথর, সিমেন্ট প্রভৃতি দিয়ে নির্মিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্য । কিন্তু, কাচ দিয়ে রবীন্দ্র ভাস্কর্য? অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন বিশ্বভারতীর কলাভবনের অধ্যাপক শিশির সাহানা । তাঁর নেতৃত্বে 6 জন শিল্পী তৈরি করেন এই ভাস্কর্য ৷ সাড়ে 13 ফুট লম্বা ও সাড়ে ছয় ফুট চওড়া । প্রায় এক বছর এক মাস ধরে তৈরি করা হয়েছে এই ভাস্কর্য৷ প্রায় 500 থেকে 600 কেজি ওজন এই ভাস্কর্যের ।
এই ভাস্কর্য তৈরি হয়েছে 200 পিস বিদেশি কাচ দিয়ে । প্রতিটি কাচ চার ফুট লম্বা ও 12 মিলিমিটার মোটা । এই কাচগুলি বিশ্বভারতীর কলাভবনে বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে গলিয়ে পরে তা ফের ঠান্ডা করে তৈরি করা হয়েছে ভাস্কর্যটি । ভাস্কর্যের গায়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা প্রকৃতি বাঁচানো বিষয়ক লেখনিগুলি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে । ভাস্কর্যটিকে দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন মোমের তৈরি রবীন্দ্রনাথের একটি পুতুল দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে । খোলা আকাশের নিচে কাচের ভাস্কর্যটি যাতে নষ্ট না হয় তারজন প্রথমে কাচগুলি গলিয়ে পরে কাচ কুলিং পদ্ধতিতে ঠান্ডা করে তৈরি করা হয়েছে ভাস্কর্যটি ।
কলাভবনের অধ্যাপক শিশিরবাবু বলেন , "হিডকো-র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেনের অনুরোধে আমি এই ভাস্কর্যটি বানাই । কাচ দিয়ে রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্য আগে তৈরি হয়েছে বলে আমার জানা নেই ।"