রামপুরহাট, 18 সেপ্টেম্বর: বিজেপির যুবমোর্চার মন্ডল সভাপতিকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারার অভিযোগ ৷ কাঠগড়ায় শাসকদল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মাড়গ্রাম থানার তপন ও সুরফুলা গ্রামের মাঝে । অস্ত্রের কোপে রক্তাক্ত হয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন সুজিত হালদার । মাথা-সহ তাঁর শরীরে একাধিক জায়গায় অস্ত্রের কোপ মারা হয়েছে বলে অভিযোগ । তাঁকে উদ্ধার করে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে । জখম সুজিতের বাড়ি বীরভূমের নলহাটি থানার ভদ্রপুর গ্রামে । তিনি বীরভূমের হাঁসন দু'নম্বর মন্ডলের বিজেপির যুবমোর্চার সভাপতি ।
জানা গিয়েছে, রবিবার রাত্রি ন'টা নাগাদ সুজিত হালদার রামপুরহাট থেকে মোবাইল মেরামত করে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন । অভিযোগ, সেইসময় তপন ও সুরফুলা গ্রামের মাঝে চারজন দুষ্কৃতী মুখে কালো কাপড় বেঁধে তাঁর পথ আটকায় । তাঁর দাবি, দুষ্কৃতীকারীরা তাঁকে বলে বিজেপির হয়ে খুব পোস্ট করছিস । খুব বড় বিজেপির নেতা হয়েছিস । এই কথা বলতে বলতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে শুরু করে দুষ্কৃতীকারীরা বলে অভিযোগ ।
আরও পড়ুন: ছবি পোস্টের অভিযোগে বিজেপি কর্মীকে মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল
সেইসময় পথচলতি মানুষজন চলে আসায় দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় । অস্ত্রের আগাতে গুরুতন জখম হন সুজিত ৷ এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভরতি করা হয় । সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি ৷ বিষয়টি নিয়ে মাড়গ্রাম থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে । বিজেপির অবশ্য দাবি, সদ্য সমাপ্ত গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুজিত হালদার সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন । তাছাড়া সোশাল মিডিয়ায় বিজেপির পক্ষে বিভিন্ন পোস্ট করার অপরাধে এবং আক্রোশ মেটাতে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর উপরে চড়াও হয় এবং তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে ।