বোলপুর, 2 ফেব্রুয়ারি: মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) অপমানজনক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়ায় বিশ্বভারতীর উপাচার্য ও জনসংযোগ আধিকারিকের বিরুদ্ধে পথে নামল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। মুখ্যমন্ত্রী বীরভূম ছাড়ার আগে হাতে ব্যানার নিয়ে প্রতিবাদে সরব পড়ুয়ারা হেলিপ্যাডে যান ৷ এহেন ভাষায় রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান সম্পর্কে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া যায় না, দাবি করেন পড়ুয়ারা ৷ উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ।
জমি বিতর্কে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিরোধী আন্দোলনকারী পড়ুয়া-অধ্যাপকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই নাম না-করে উপাচার্যকে আক্রমণ-সহ বিশ্বভারতীর বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এরপরই বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে মুখ্যমন্ত্রীকে বেনজির আক্রমণ করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। 'মুখ্যমন্ত্রী কান দিয়ে দেখেন', 'দায়িত্বজ্ঞানহীন', 'আপনার আর্শীবাদের প্রয়োজন নেই', 'আপনার মন্ত্রী ও উপাচার্য গারদে', প্রভৃতি একাধিক বাক্য লিখে বিস্ফোরক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় সর্বত্র ৷
আরও পড়ুন: 'জমি যখন আমার, তখন টেবিলের উপর উঠে চিৎকারের দরকার নেই !' মন্তব্য নোবেলজয়ীর
বৃহস্পতিবার এই প্রেস বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ও ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পথে নামে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বীরভূম ছাড়ার আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা হাতে ব্যানার নিয়ে হেলিপ্যাডে যান ৷ মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন তাঁরা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে মীনাক্ষী ভট্টাচার্য বলেন, "বিশ্বভারতী কদর্য ভাষায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গে প্রেস রিলিজ দিয়েছে ৷ যা গুরুদেবের আদর্শ বহির্ভূত। সাংবিধানিক প্রধানকে এই ভাষায় প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়ায় ধিক্কার জানাই, নিন্দা করি।" রাজ্যের ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, "অত্যন্ত নিন্দনীয় একটা ব্যাপার। একটি প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা হিসেবে এই ভাষা তাঁর মুখে শোভা পায় না। উনি ভাবছেন চেয়ারে বসে যা খুশি বলব, সেটা একটা সময় পর্যন্ত হয় ৷ সময় এর জবাব দিয়ে দেবে।"