শান্তিনিকেতন, 29 অগাস্ট : প্রাক্তন উপাচার্যসহ তিন আধিকারিককে বরখাস্ত করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । এই মর্মে প্রাক্তন উপাচার্য সবুজকলি সেন, প্রাক্তন কর্মসচিব সৌগত চট্টোপাধ্যায় ও ফিনান্স অফিসার সমিত রায়কে চিঠি দেওয়া হয় বিশ্বভারতীর তরফে ৷ আগেই তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছিল । এবার সম্পূর্ণ বরখাস্ত করা হল । যদিও, এই প্রসঙ্গে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কেউই ।
বিশ্বভারতী দর্শন বিভাগের অধ্যাপিকা সবুজকলি সেন । দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকর্তার পদ সামলেছেন । স্থায়ী উপাচার্য হিসাবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আসার আগে তাঁকে অস্থায়ী উপাচার্যের দায়িত্ব দিয়েছিল মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক । কিন্তু অভিযোগ ছিল, কর্মসমিতির সদস্য না হলে উপাচার্যের দায়িত্ব নেওয়া যায় না৷
তাঁর অধিকর্তার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল ৷ তাই স্বাভাবিক নিয়মেই তাঁর কর্মসমিতির সদস্যের সময়সীমাও শেষ হয়ে গিয়েছিল । অভিযোগ, তা সত্ত্বেও কর্মসমিতির বৈঠক ডেকে অধিকর্তার মেয়াদ বৃদ্ধি করেন তিনি । ওই বৈঠকে স্বাক্ষর করেছিলেন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব সৌগত চট্টোপাধ্যায় । তিনি বর্তমানে রবীন্দ্রভবনের যুগ্ম সচিব পদে ছিলেন । এছাড়া, স্বাক্ষর করেছিলেন তৎকালীন ফিনান্স অফিসার সমিত রায় ৷ তিনি বর্তমানে উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন ।
গত 10 জুন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে কর্মসমিতির বৈঠক হয় ৷ সেই বৈঠকে এই তিন আধিকারিককে নিয়ে আলোচনা হয় ৷ সেইমতো 13 জুন তিন আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয় ৷ 28 জুন বিশ্বভারতীর রথীন্দ্র অতিথিগৃহে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে একটি বৈঠক হয় ৷ জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকে তিন আধিকারিককে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল । আজ তাঁদের সম্পূর্ণভাবে বরখাস্ত করা হয় ৷ এই মর্মে তাঁদের ই-মেলও করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । এই প্রসঙ্গে সবুজকলি সেন বলেন, "বিশ্বভারতীর ই-মেল পেয়েছি ।"