ETV Bharat / state

পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়াতে স্থগিতাদেশ দিল না হাইকোর্ট

author img

By

Published : Sep 29, 2020, 5:44 PM IST

পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়ার উপর কোনও স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট ।

Aa
Aa

শান্তিনিকেতন, 29 সেপ্টেম্বর: বিশ্বভারতীর মাঠে পাঁচিল দেওয়ার উপর কোনও স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট । রাজ্যের তরফে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানানো হয়েছিল পাঁচিল দেওয়ার যে কাজ কমিটির নির্দেশে শুরু হয়েছে 27 সেপ্টেম্বর থেকে তার উপর স্থগিতাদেশ আরোপ করুক কলকাতা হাইকোর্ট । কিন্তু প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণাণ ও বিচারপতি শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের এই আবেদন আগামীকাল ফের শুনবে ।

আজ রাজ্যের তরফে পাঁচিল দেওয়ার কাজ বন্ধ করার আবেদন জানানো হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে । সেই মর্মে শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, "বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাঁচাতে সমস্যায় পড়ছে পুলিশ । আপাতত বিক্ষোভ সামলানো গিয়েছে কিন্তু আগামীকাল কী হবে নিশ্চিত নয় পুলিশ ।" তখন প্রধান বিচারপতি রাজ্যের এই বক্তব্যের প্রত্যুত্তরে বলেন, "বিক্ষুব্ধ জনতা আইনের উপরে গিয়ে কথা বলবে তা হতে পারে না । যেটা পুলিশের করণীয় সেটা তারা না করতে পারলে আমরা করব ।"

পাশাপাশি পরিবেশ আদালত পৌষমেলা বন্ধের নির্দেশ দিলেও এই ব্যাপারে আজ প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, "পরিবেশ আদালত পৌষমেলা বন্ধের নির্দেশ দিলেও হাইকোর্টের ক্ষমতা আছে তা পুনর্বিবেচনা করার । কারণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাবনা এবং শান্তিনিকেতনের ইতিহাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । পৌষমেলার একটা ইতিহাস আছে, বিশ্বভারতী চাইলেও তা বন্ধ করতে পারে না ।" এদিকে বিশ্বভারতীর ঘটনায় হাইকোর্ট চার সদস্যবিশিষ্ট যে কমিটি গঠন করে দিয়েছিল সেই কমিটি থেকে অব্যাহতি চাইলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনেরাল কিশোর দত্ত।

18 সেপ্টেম্বর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য রক্ষায় কলকাতা হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে । কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই যে দস্তুর ও রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে নিয়ে কমিটি তৈরি করে কলকাতা হাইকোর্ট । নির্দেশে জানানো হয়, এই কমিটি আপাতত কোন জমিতে বিশ্বভারতী রয়েছে ,কোথায় পাঁচিল দেওয়া প্রয়োজন বা আদৌ পাঁচিল দেওয়ার প্রয়োজন আছে কি না ,কোথায় কোন বিষয় থাকবে তা এখন থেকে তত্ত্বাবধান করবে । পাশাপাশি পুলিশকে বেশি সক্রিয় না হওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ । এরপর হাইকোর্ট নিযুক্ত এই কমিটি বিশ্বভারতীর পৌষমেলার মাঠ পরিদর্শন করে 27 সেপ্টেম্বর ।তারপর ফের পাঁচিল নির্মাণের নির্দেশ দেয় কমিটি এবং প্রশাসনকে যথোপযুক্ত সহযোগিতার নির্দেশ দেওয়া হয় । নির্দেশ মতো ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর মেলার মাঠ ঘেরার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে । এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের তরফে ফের একবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে পাঁচিল দেওয়ার কাজ স্থগিত রাখার আবেদন জানানো হয় আজ।

17 অগাস্ট বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর-মারামারি হয় । পরিবেশ আদালতের নির্দেশে পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল তোলা হচ্ছিল বলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দাবি করে । কিন্তু স্থানীয় কয়েকজন জোর করে সেই পাঁচিল ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ । এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত চেয়ে পরদিনই কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার । সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যকে মাথায় রেখে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে ।

শান্তিনিকেতন, 29 সেপ্টেম্বর: বিশ্বভারতীর মাঠে পাঁচিল দেওয়ার উপর কোনও স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট । রাজ্যের তরফে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানানো হয়েছিল পাঁচিল দেওয়ার যে কাজ কমিটির নির্দেশে শুরু হয়েছে 27 সেপ্টেম্বর থেকে তার উপর স্থগিতাদেশ আরোপ করুক কলকাতা হাইকোর্ট । কিন্তু প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণাণ ও বিচারপতি শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের এই আবেদন আগামীকাল ফের শুনবে ।

আজ রাজ্যের তরফে পাঁচিল দেওয়ার কাজ বন্ধ করার আবেদন জানানো হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে । সেই মর্মে শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, "বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাঁচাতে সমস্যায় পড়ছে পুলিশ । আপাতত বিক্ষোভ সামলানো গিয়েছে কিন্তু আগামীকাল কী হবে নিশ্চিত নয় পুলিশ ।" তখন প্রধান বিচারপতি রাজ্যের এই বক্তব্যের প্রত্যুত্তরে বলেন, "বিক্ষুব্ধ জনতা আইনের উপরে গিয়ে কথা বলবে তা হতে পারে না । যেটা পুলিশের করণীয় সেটা তারা না করতে পারলে আমরা করব ।"

পাশাপাশি পরিবেশ আদালত পৌষমেলা বন্ধের নির্দেশ দিলেও এই ব্যাপারে আজ প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, "পরিবেশ আদালত পৌষমেলা বন্ধের নির্দেশ দিলেও হাইকোর্টের ক্ষমতা আছে তা পুনর্বিবেচনা করার । কারণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাবনা এবং শান্তিনিকেতনের ইতিহাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । পৌষমেলার একটা ইতিহাস আছে, বিশ্বভারতী চাইলেও তা বন্ধ করতে পারে না ।" এদিকে বিশ্বভারতীর ঘটনায় হাইকোর্ট চার সদস্যবিশিষ্ট যে কমিটি গঠন করে দিয়েছিল সেই কমিটি থেকে অব্যাহতি চাইলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনেরাল কিশোর দত্ত।

18 সেপ্টেম্বর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য রক্ষায় কলকাতা হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে । কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই যে দস্তুর ও রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে নিয়ে কমিটি তৈরি করে কলকাতা হাইকোর্ট । নির্দেশে জানানো হয়, এই কমিটি আপাতত কোন জমিতে বিশ্বভারতী রয়েছে ,কোথায় পাঁচিল দেওয়া প্রয়োজন বা আদৌ পাঁচিল দেওয়ার প্রয়োজন আছে কি না ,কোথায় কোন বিষয় থাকবে তা এখন থেকে তত্ত্বাবধান করবে । পাশাপাশি পুলিশকে বেশি সক্রিয় না হওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ । এরপর হাইকোর্ট নিযুক্ত এই কমিটি বিশ্বভারতীর পৌষমেলার মাঠ পরিদর্শন করে 27 সেপ্টেম্বর ।তারপর ফের পাঁচিল নির্মাণের নির্দেশ দেয় কমিটি এবং প্রশাসনকে যথোপযুক্ত সহযোগিতার নির্দেশ দেওয়া হয় । নির্দেশ মতো ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর মেলার মাঠ ঘেরার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে । এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের তরফে ফের একবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে পাঁচিল দেওয়ার কাজ স্থগিত রাখার আবেদন জানানো হয় আজ।

17 অগাস্ট বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর-মারামারি হয় । পরিবেশ আদালতের নির্দেশে পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল তোলা হচ্ছিল বলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দাবি করে । কিন্তু স্থানীয় কয়েকজন জোর করে সেই পাঁচিল ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ । এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত চেয়ে পরদিনই কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার । সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যকে মাথায় রেখে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.