বোলপুর, 25 জুলাই: স্কুলের পড়া না করায় কয়েকজন ছাত্রীকে কান ধরিয়ে ক্লাস থেকে বের করে দিয়েছিলেন শিক্ষক উত্তম কুমার সাহা ৷ পরেরদিন রাস্তা শিক্ষককে কাঠ দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল এক ছাত্রীর বাবার বিরুদ্ধে ৷ ঘটনায় হাত ভেঙে গিয়েছে শিক্ষককের ৷ তাঁর পিঠ ও মাথায় আঘাত লেগেছে ৷ তিনি বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি ৷ মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের পাড়ুইয়ের বাঁধনবগ্রাম গান্ধী উচ্চ বিদ্যাপীঠে ৷ ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন স্কুলের অন্যান্য ছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখায় ৷ স্কুল কর্তৃপক্ষ এই ঘটনা অভিযুক্ত অভিভাবকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে ৷
জানা গিয়েছে, সোমবার নবম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রীকে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন ইতিহাসের শিক্ষক উত্তম কুমার সাহা ৷ তাদের মধ্যে এক ছাত্রীর মা শিখা চট্টোপাধ্যায় এই স্কুলের পার্শ্ব শিক্ষিকা ৷ বাড়ি গিয়ে বাবা-মা’কে ছাত্রীটি বিষয়টি জানায় ৷ এর পর মঙ্গলবার সকালে যখন উত্তম কুমার সাহা স্কুলে আসছিলেন, তখন ওই ছাত্রীর বাবা বাসুদেব দাস তাঁর পথ আটকান ৷ অভিযোগ উত্তম কুমার সাহাকে একটি কাঠ দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন বাসুদেব দাস ৷ ঘটনায় তাঁর হাত ভেঙে গিয়েছে ৷ স্থানীয়রা আহত শিক্ষককে বোলপুর হাসপাতালে ভরতি করিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: পরীক্ষায় নকল করতে দেওয়ার দাবি ! ছাত্রদের আচরণে লজ্জিত শিক্ষক সমাজ
অন্যদিকে, ঘটনার কথা জানাজানি হতেই স্কুলের অন্যান্য ছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ৷ শিক্ষক উত্তম কুমার সাহাকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে স্কুল চত্ত্বর ৷ স্থানীয় লোকজনও সেই বিক্ষোভে সামিল হন ৷ স্কুল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি এ নিয়ে পাড়ুই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ৷ পাশাপাশি, ওই ছাত্রীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পরিচালন সমিতির বৈঠক ডাকা হয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বাসুদেব দাসের দাদা স্থানীয় তৃণমূলের একজন নেতা ৷
এই ইস্যুতে স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছেন, রাজনৈতিক যোগ আছে বলেই কি শিক্ষক এবং সাধারণ মানুষের উপর গা-জোয়াড়ি করার ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছেন বাসুদেব দাস ? তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছে স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়া এবং স্থানীয় বাসিন্দারা ৷