তারাপীঠ, 22 ফেব্রুয়ারি: বাড়িতে যে স্কুলের পড়া দেওয়া হয়েছিল তা করে যায়নি ছাত্র। সেই অপরাধে শিক্ষকের মারে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে ভরতি হাসপাতালে। ছাত্রের পরিবারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই শিক্ষককে (Birbhum News)। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের তারাপীঠ থানার চণ্ডিপুর পালপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (Tarapith Primary School)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম সুমিত কুমার দত্ত। তাঁর বাড়ি বীরভূমের রামপুরহাটের হাটতলা পাড়ায়। প্রহৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সৌভিক মণ্ডলকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন ওই শিক্ষক। শিক্ষকের মারে ওই ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Rampurhat Government Medical College & Hospital) চিকৎসার জন্য ভরতি করা হয়েছে। এরপরই তারাপীঠ থানায় ওই ছাত্রের অবিভাবক শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে গতকালই গভীর রাতে রামপুরহাটের বাড়ি থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা করে তারাপীঠ থানার পুলিশ।
বুধবার, অর্থাৎ আজ ধৃত শিক্ষককে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। ছাত্রের বাবা অমিত মণ্ডল বলেন, "এই শিক্ষক প্রায়ই মারধর করেন। তাই সৌভিক স্কুলে যেতেও চায় না। গতকাল আমরা অনেক বোঝানের পর তাও স্কুল গিয়েছিল ও। এমনভাবে মেরেছে, দেখে মনে হচ্ছে বাচ্চাটার পায়ে লাঠি দিয়ে একশোবার আঘাত করেছে। স্কুল থেকে এক প্রতিবেশী ওকে বাড়িতে দিয়ে যান। প্রতিদিনই পড়াশোনা করে স্কুলে যায়। কিন্তু ওই মাস্টারমশাইকে দেখেই ভয়ে ঘাবড়ে যায়। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। আরও একজন বাচ্চাকে মেরেছে। আপাতত আমার ছেলে ভালো রয়েছে। তবে পায়ে রক্ত জমাট বেঁধেছে ৷"
আরও পড়ুন: ছাত্রকে লোহার রড দিয়ে মার শিক্ষকের, মৃত চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া
স্কুলের অন্য অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের ছাত্রদের প্রতি এই শিক্ষকের ব্যবহার একদম ভালো না ৷ একটু ভুল হলেই লাঠি করে ছাত্রদের মারেন। কয়েকজন অভিভাবক স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে মৌখিক অভিযোগও করেছিল বলে জানা গিয়েছে। তারপরও কোনওভাবেই শিক্ষক সুমিত দত্ত সংযত হননি। গতকাল স্কুলে বেশ কয়েকজনকে পড়া না-করার জন্য মারধর করেন। তার মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সৌভিক মণ্ডল স্কুলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবুও তাকে একা ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রতিবেশী এক যুবক ওই অসুস্থ ছাত্রকে রাস্তায় দেখতে পেয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেন। যদিও এই বিষয়ে এখনও স্কুলের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।