শান্তিনিকেতন, 6 সেপ্টেম্বর : অবস্থান বিক্ষোভ থেকে অনশন ৷ সবই হচ্ছে ৷ কিন্তু পরিস্থিতির কোনও বদল আর হচ্ছে না ৷ গত 27 অগস্ট থেকে কার্যত গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ৷ তাঁকে তাঁর বাসভবনেই ঘেরাও করে রেখেছেন পড়ুয়াদের একাংশ ৷ কিন্তু, উপাচার্যের তরফে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলা, বা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর কোনও উদ্যোগই চোখে পড়েনি ৷ পাল্টা অনড় রয়েছেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারাও ৷
আরও পড়ুন : Anupam Hazra : ‘‘কবিগুরুর বিশ্বভারতী নিঃস্ব-ভারতীতে পরিণত হয়েছে’’, সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্ষেপ অনুপমের
সম্প্রতি, বিশ্বভারতীর তিন পড়ুয়াকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয় ৷ মূলত তারই প্রতিবাদে শুরু হয় ঘেরাও কর্মসূচি ৷ এরপর রবিবার থেকে বিক্ষোভ মঞ্চের একপাশেই অনশন শুরু করেন বহিষ্কৃত তিন পড়ুয়াদের মধ্যে একজন রূপা চক্রবর্তী ৷ তাঁর সঙ্গেই অনশনে যোগ দেন বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য ৷ তাঁদের বক্তব্য, যতক্ষণ পর্যন্ত বহিষ্কৃত তিন পড়ুয়াকে বিশ্বভারতীতে ফিরিয়ে না নেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ এই অনশন চলবে ৷ একইসঙ্গে, 12 জন অধ্যাপক ও অধ্যাপিকার উপর থেকে সাসপেনসনের খাঁড়াও সরাতে হবে বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা ৷
আরও পড়ুন : Viswabharati : বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের 50 মিটারের মধ্যে কোনও আন্দোলন নয়, নির্দেশ হাইকোর্টের
পড়ুয়াদের বিক্ষোভ, আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে নানা মহল ৷ বামপন্থী ছাত্র সংগঠন থেকে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক ও আবাসিকদের একাংশ চাইছেন আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর উদ্যোগ নিন উপাচার্য ৷ কিন্তু, এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও সম্ভাবনা চোখে পড়েনি ৷