মহম্মদ বাজার, 22 অগস্ট: গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাথর ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করল পরিবারের সদস্যরা । সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মহম্মদ বাজার থানার সেরেন্ডা গ্রামে । তাপস দাস (33) নামে ওই ব্যবসায়ীকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয় । ব্যবসায়ীর পেটে একটি ও ঘাড়ে দু'টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে ।
এই ঘটনায় মৃত ব্যবসায়ীর ভাই উজ্জ্বল দাস দাবি করেন, "দাদার কোনও শত্রু ছিল না । কেন খুন করা হল বুঝতে পারছি না । তবে এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র নেই ।" জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, "জমি সংক্রান্ত একটি বিবাদ থেকে এই ঘটনা ঘটতে পারে । পুলিশ তদন্তে নেমেছে । শীঘ্রই বিষয়টি জানা যাবে ৷"
মহম্মদবাজারের কেন্দ্রসরাল গ্রামের বাসিন্দা তাপস দাস । গ্রামেই তাঁর হার্ডওয়্যারের ব্যবসা ছিল । পরিশ্রম করে গত কয়েক বছরে পাথর খাদান, জীবন বিমার এজেন্ট হিসাবে ফুলে ফেঁপে উঠেছিল তাঁর আয় । সোমবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ প্রতিদিনের মতো দোকান থেকে নিজের বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন । সেরেন্ডা গ্রামের কাছে আকটি বটতলার পাশে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখে তাঁর বাড়িতে খবর দেয় এক গ্রামবাসী ।
মৃতের দাদা রাজু দাসের কথায়, "দাদা দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে শুনেই আমরা গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই । দশন্দরিয়া ও সেরেন্ডার মাঝামাঝি একটি ফাঁকা রাস্তার মাঝে বটতলার পাশে পড়েছিল দাদা । অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে দেখে হাসপাতালে ভর্তি করি । দাদা কোনও কথা বলতে পারেনি । ভর্তির পর পরই দাদা মারা যায় । হাসপাতালে এসে আমরা জানতে পারি দাদাকে গুলি করে খুন করা হয়েছে ।" কিন্তু কারা তাপসকে খুন করতে পারে তাঁর কোনও অনুমানই পরিবারের নেই বলে তাঁরা জানান ।
আরও পড়ুন : সম্ভবত রাজ্যে প্রথম, ব্লক প্রশাসনের রাশ মহিলাদের হাতে