বোলপুর, 21 জানুয়ারি: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে একই সারিতে খাওয়া-দাওয়া করলেন রাজ্য পুলিশের অফিসার-কর্মীরা । যা নিয়ে রীতিমতো তৈরি হয়েছে বিতর্ক । এদিন বোলপুরের কাঁকুটিয়া গ্রামে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বসে খাওয়া-দাওয়া করেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাতিল (Kapil Moreshwar Patil) । পরে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে অভাব-অভিযোগ শোনেন তিনি ৷ মন্ত্রী জানান, এই রাজ্যে যাদের প্রয়োজন নেই তারা আবাস যোজনার বাড়ি পেয়েছে ৷ প্রকৃত প্রাপকেরা বঞ্চিত রয়েছেন ।
রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন । তার আগে প্রান্তিক স্তরে উন্নয়মূলক কাজ কেমন হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে আসেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাতিল । দু'দিনের সফরে তিনি বীরভূমের বোলপুরে আসেন ৷ প্রথমেই পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক যোগ দেন মন্ত্রী ৷ সেখানে গরহাজির ছিলেন রাজ্যে সরকারের আধিকারিকেরা । অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ৷
পরে তিনি নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বোলপুরের রায়পুর সুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁকুটিয়া গ্রামে যান । গ্রামে চণ্ডীপুজোর ছোট্ট মেলা চলছিল ৷ প্রথমে গ্রামের মন্দিরে প্রণাম করেন । তারপরে বিজেপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে খেতে বসেন পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী ৷ খিচুড়ি, বাঁধাকপির তরকারি, চাটনি, পায়েস খান তিনি ৷ দেখা গেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে একই সঙ্গে বসে খাওয়া-দাওয়া সারলেন রাজ্য পুলিশের অফিসার ও কর্মীরা ৷ তাঁরা মন্ত্রীর নিরাপত্তার রক্ষার্থে কনভয়ের দায়িত্বে ছিলেন ৷ যা নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হয়েছে । বিজেপির মন্ত্রীর সঙ্গে বসে কর্তব্যরত রাজ্য পুলিশের অফিসারদের খাওয়া-দাওয়া নিয়ে প্রশ্নও উঠছে বিভিন্ন মহলে । খাওয়া শেষে গ্রামের মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী ৷ তাঁর সামনে গ্রামবাসীরা আবাস যোজনার বাড়ি পাননি বলে অভিযোগ করেন ৷
কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাতিল বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে সব জায়গা থেকে একই অভিযোগ সামনে আসছে । কেউ বলছে না ঘর পাইনি ৷ সবাই বলছে প্রকৃতি প্রাপকেরা আবাস যোজনার বাড়ি পাচ্ছে না ৷ যাদের প্রয়োজন নেই তারা বাড়ি পাচ্ছে । এইরকম কয়েক হাজার অভিযোগ পেয়েছি । এই রিপোর্ট আমি কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে দেব ৷ তারপর মন্ত্রী সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ দেখলেন তো রাজ্য সরকারের অধিকারিকেরা এলেন না ৷" মন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্য পুলিশের অফিসার ও কর্মীদের খাওয়া প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি নেতা বাদল সাহা বলেন, "পুজো ছিল ৷ প্রসাদ গ্রহণ করতে সবাই এসেছিলেন । কোনও ভেদাভেদ ছিল না ।"
আরও পড়ুন: কর্মীর বাড়িতে ছবি তুললেও খাবার স্পর্শ করলেন না 'দিদির দূত' শতাব্দী ! অভিযোগ অস্বীকার সাংসদের