শান্তিনিকেতন, 10 অক্টোবর : শান্তিনিকেতন থানার ঠিকানা বোলপুর থানা। এক কথায় শান্তিনিকেতন থানার ভবনটি বোলপুর থানার অন্তর্গত। সম্ভবত রাজ্যে একমাত্র থানা শান্তিনিকেতন, যা অন্য থানা এলাকায় অবস্থিত অর্থাৎ শান্তিনিকেতন থানা বা চত্বরে কোনও ঘটনা ঘটলে অভিযোগ হওয়ার কথা বোলপুর থানায়। সেই অভিযোগের তদন্ত করার কথা বোলপুর থানার পুলিশের। এমনটাই হয়ে রয়েছে দুই থানার মানচিত্র অনুযায়ী।
বোলপুর থানায় অবস্থিত শান্তিনিকেতন থানা বোলপুর থানার অন্তর্গত শান্তিনিকেতন পুলিশ ফাঁড়ি ছিল। পৌষমেলার মাঠের কাছে 2015 সালের 18 সেপ্টেম্বর এই ফাঁড়ি থানায় রূপান্তরিত হয়। 1983 সালে বিশ্বভারতীর কাছ থেকে লিজ নেওয়া 0.6 একর জমিতে গড়ে উঠেছিল শান্তিনিকেতন তদন্ত কেন্দ্র। দীর্ঘকাল পর সেটিকে থানায় রূপান্তরিত করা হয়। কিন্তু, একটি মজার বিষয় হল, এই শান্তিনিকেতন থানার ভবনটি বোলপুর থানার অন্তর্গত অর্থাৎ শান্তিনিকেতন থানার ঠিকানা বলতে গেলে বলতে হয়, শান্তিনিকেতন থানা, পূর্বপল্লী, শান্তিনিকেতন, থানা- বোলপুর। বীরভূমের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, সম্ভবত রাজ্যের মধ্যে শান্তিনিকেতন থানা একমাত্র যা অন্য থানা এলাকায় অবস্থিত। সংশ্লিষ্ট রূপপুর, কঙ্কালীতলা ও আলবাঁধা- সর্পলেহনা গ্রাম পঞ্চায়েত সহ বিশ্বভারতীর বেশ কিছু অংশ শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত। শান্তিনিকেতন থানা এলাকার যে নিজস্ব ম্যাপ তার মধ্যেই নেই খোদ থানার ভবনটি। বোলপুর থানার অন্তর্গত 72 টি মৌজা রয়েছে। শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত 56 টি মৌজা রয়েছে। বোলপুর থানার অন্তর্গত 'বোলপুর মৌজা' মধ্যে পড়ছে শান্তিনিকেতন থানায়। দুই থানার ম্যাপ অনুযায়ী এমনটাই জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাধারণত গ্রাম পঞ্চায়েত অথবা মৌজা ভিত্তিক থানার এলাকার চিহ্নিত করা হয়। একথা বলাই যায় যে, শান্তিনিকেতন থানা বা তার চত্বরে কোনও ঘটনা ঘটলে তার জন্য অভিযোগ করতে হবে বোলপুর থানায়। সেই ঘটনার তদন্ত করার এক্তিয়ার রয়েছে বোলপুর থানার। এমনকি, বিশ্বভারতীর অধিকাংশ অংশ শান্তিনিকেতন থানা এলাকার মধ্যে পড়ছে না। যা বোলপুর থানা এলাকার মধ্যে পরে। যদিও, বিশ্বভারতীর যে কোন ঘটনার যাবতীয় তদন্তভার থাকে শান্তিনিকেতন থানার কাছে। অভিযোগ দায়ের হয় শান্তিনিকেতন থানায়।
যদিও, এই প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং বলেন, "এটি কোনও বিষয় নয়। এর জন্য কোনও অসুবিধা হয় না।"