মাড়গ্রাম, 13 ফেব্রুয়ারি: সোমবার মাড়গ্রামে বোমার (Margram incident) আঘাতে মৃত দুই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে যান বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy visits TMC workers houses ) । পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি । তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা শোনেন শতাব্দী । মৃত দুই তৃণমূল কর্মীর পরিবারের একজন করে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই বোমাবাজিতে মাড়গ্রামে প্রাণ হারান দুই তৃণমূল কর্মী নিউটন শেখ ও লাল্টু শেখ । তাঁদেরকে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে সদ্য কংগ্রেসে যোগ দেওয়া প্রাক্তন প্রধান সুজাউদ্দিন আহমেদ ও তাঁর দলবলের দিকে । এই ঘটনায় গ্রেফতারও করা হয় সুজাউদ্দিন-সহ 7 জনকে ।
এদিন শতাব্দী রায় জানান, দু'টি পরিবারই তাদের অভিভাবক হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন । তাঁদের পরিবারের একজন করে যাতে চাকরি পান সেই বিষয়টি তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাবেন ৷ তাঁরা যাতে চাকরি পান সেই বিষয়টি তিনি তদারকি করবেন বলেও আশ্বাস দেন সাংসদ। শতাব্দী রায় এদিন মাড়গ্রাম থানাতেও যান। এই খুনের ঘটনায় সাতজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত। বাকি অভিযুক্তদের শীঘ্রই গ্রেফতারের দাবি জানান শতাব্দী রায় ।
বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের কোর-কমিটির সদস্য কাজল শেখের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে শাসকদলকে । রবিবার কাজল শেখ দাবি করেন, জেল হেফাজতে থাকা অনুব্রতর সঙ্গে ফোনে কথা হয় জেলা সভাধিপতির । সেই প্রসঙ্গে আজ সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, "অনুব্রত আমায় ফোন করেনি, আমি বিকাশবাবু নই । বিকাশদা আমাকে বলেনি, কাজল শেখ বলেছে । এই তিনটে ক্যারেক্টরের মধ্য আমি নেই। সুতরাং আমি বলতে পারব না । কে কাকে ফোন করছে, কী আদৌ ফোন করেছে কি না।" তিনি আরও বলেন, "আমি ছিলাম না ৷ দিল্লিতে ছিলাম । আমি কাজল শেখের সঙ্গে কথা বলব । সঠিক পথে যাওয়া উচিত । কেন বার বার রাগ হচ্ছে আমি সেই বিষয়টা দেখব ।"
আরও পড়ুন: মাড়গ্রামকাণ্ডে ধৃতদের জেল হেফাজত