বোলপুর, 18 জুলাই: "কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে না-থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ", মঙ্গলবার হাসি মুখে এই কথাই বললেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় ৷ কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য আগ্রহী নয়, বিরোধী জোটে যাতে নেতৃত্ব নিয়ে কোনও ভুলবার্তা না-যায় তার জন্য এই কথা জানিয়েছেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে । এরপর যে বিরোধী জোটে প্রধানমন্ত্রীর মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই, তা এদিন দাবি করছেন এই অভিনেত্রী সাংসদ ।
বিরোধী জোটের বৈঠক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কটাক্ষ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে শতাব্দী বলেন, "উনি এছাড়া আর কী করতে পারবেন ! উনি তো বলতে পারবেন না দারুণ লোকরা একত্রিত হয়েছে । আমি দেশ সামলাতে পারছি না৷ তবে এতগুলো মানুষ যখন একটা মানুষের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে তখন বুঝতে হবে অনেকগুলো ইস্যু আছে৷ মানুষের সঙ্গে জড়িত ইস্যু নিয়ে 'ইন্ডিয়া' বলে যেটা করছে তা আগামী দিনে ভালো হবে । 2024 এ অন্য রেজাল্ট দেবে সেটা আশা করা যাচ্ছে ।"
বেঙ্গালুরুর বিরোধী বৈঠকে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছেন,‘‘এমকে স্ট্যালিনের (তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী) জন্মদিনে আমি চেন্নাইয়ে আগেই বলেছিলাম, কংগ্রেস ক্ষমতা বা প্রধানমন্ত্রী পদে আগ্রহী নয় । এই বৈঠকে আমাদের উদ্দেশ্য নিজেদের জন্য ক্ষমতা লাভ করা নয় । এটি আমাদের সংবিধান, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার রক্ষার জন্য ৷’’ এই প্রসঙ্গে প্রশ্নে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, "তাহলে ডেফিনেটলি প্রধানমন্ত্রীর মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আমরা তো চাইবই বাঙালি হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হোন । আগে কোনও বাঙালি হননি ।"
আরও পড়ুন: বাংলায় প্রশ্নের মুখে বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ঐক্য
21 জুলাই কলকাতায় শহীদ স্মরণ সভা করবে তৃণমূল কংগ্রেস । তারপরই প্রস্তুতি হিসাবে এদিন বোলপুরে দলীয় কার্যালয়ে জেলা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল ৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ শতাব্দী রায়, বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, অভিজিৎ সিংহ, বিধান মাঝি, লীলাবতী সাহা, জেলা কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ, সুদীপ্ত রায় সহ দলের ব্লক, অঞ্চল সভাপতি ও সদ্য জেলা পরিষদের আসনে জয়ী তৃণমূল প্রার্থীরা । বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করে সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন,"পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের ও মানুষকে ধন্যবাদ জানালাম । 21 জুলাই ধর্মতলায় বীরভূম জেলা থেকে দেড় লক্ষ মানুষকে নিয়ে যাব৷ সেই বিষয়েই আলোচনা হল ।"