ETV Bharat / state

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ব্রাহ্মণী নদী থেকে চলছে অবাধে বালি তোলা - sand minning in brahmani river

সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বীরভূমের ব্রাহ্মণী নদী থেকে চলছে বালি উত্তোলন ৷ নদীতে নৌকা করে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে মোটরচালিত যন্ত্রের মাধ্যমে বালি তোলা হচ্ছে । এর জেরে 50-100 ফুট পর্যন্ত বিশাল আকৃতির গর্ত তৈরি হচ্ছে নদীতে ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং প্রশাসনের মদতেই চলছে এই বালি পাচার ৷

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Jul 29, 2019, 2:26 PM IST

Updated : Jul 29, 2019, 3:02 PM IST

রামপুরহাট, ২৮ জুলাই : রয়েছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ৷ তবুও বালি তোলা হচ্ছে বীরভূমের ব্রাহ্মণী নদী থেকে ৷ অভিযোগ, তৃণমূল ও প্রশাসনের একাংশের মদতেই চলছে বালি তোলার কাজ ৷

নলহাটি ও রামপুরহাটের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে ব্রাহ্মণী ৷ একদিকে জয়পুর ও অন্যদিকে কৃত্তিপুর গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় পাড় কেটে নদীতে ট্রাক্টর এবং লরি নামিয়ে চলছে বালি তোলার কাজ ৷ এছাড়াও নদীতে নৌকা করে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে মোটরচালিত যন্ত্রের মাধ্যমে বালি তোলা হচ্ছে । এর জেরে 50-100 ফুট পর্যন্ত বিশাল আকৃতির গর্ত তৈরি হচ্ছে নদীতে ৷ আবার কোথাও নদীর চর থেকে বালি তুলে পাচার করা হচ্ছে । তাতে ভেঙে পড়ছে নদীর পাড় । বর্ষায় জল বাড়লে প্লাবিত হতে পারে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলি । এবিষয়ে, বালি তোলার সঙ্গে যুক্ত এক কর্মী বলেন, "জানি বন্যায় গ্রাম ভেসে যাবে ৷ আমাদের ক্ষতি হবে ৷ কিন্তু কিছু করার নেই ৷ আমরা গরিব মানুষ ৷ ঘরে বউ-বাচ্চা আছে ৷ পেটের দায়ে কাজ করতে হচ্ছে ৷"

image
চলছে বালি তোলার কাজ

যেখানে বালি তোলার কাজ চলছে তার একশো মিটারের মধ্যে রয়েছে বৈধরা জলাধার । যদিও জলাধার থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যে বালি তোলা যাবে না বলে নির্দেশিকা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ । কিন্তু , সেই নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে অবাধে চলছে বালি তোলার কাজ ৷ স্থানীয় বাসিন্দা সাজাদ আলি বলেন, "এই ব্রিজটি আমাদের সম্পদ ৷ আমাদের উচিত ব্রিজটিকে রক্ষা করা৷ অন্যদিকে, এখানে গরিব মানুষজন পেটের দায়ে কাজ করছে ৷ তাদের কাছে টাকাটাই প্রাধান্য পায়৷ প্রতিদিন অবাধে বালি তোলা হচ্ছে৷ কিন্তু কিছু করার নেই ৷ বলতে গিয়ে স্থানীয়দের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় ৷"

ভিডিয়োয় শুনুন স্থানীয় বাসিন্দার বক্তব্য

সেচ দপ্তর থেকে এই নদীর উপর চেক গেট করে জলাধার নির্মাণ করা হয়েছে । এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ৷ এছাড়া এই জলাধার থেকেই চাষের কাজে জল নেওয়া হয়৷ ক্রমাগত বালি তোলায় ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারে বৈধরা জলাধার । জলাধারটি ভেঙে পড়লে বন্যায় প্লাবিত হতে পারে আশপাশের শতাধিক গ্রাম । ইতিমধ্যে ব্যারেজ সংলগ্ন এলাকায় গভীর গর্ত করে বালি তুলে নেওয়ার জেরে ফাটল ধরেছে ব্যারেজের গার্ডওয়ালেও । স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বালি মাফিয়াদের দাপটে তাঁদের ভয়ে ভয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে ৷ প্রতিবাদ করলেই রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে ৷ এমনকী সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরাকেও তোয়াক্কা করছে না বালি পাচারকারীরা ৷ ক্যামেরার সামনেই চলছে বালি তোলার কাজ স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং প্রশাসনের মদতেই চলছে এই বালি পাচার ৷ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ৷

এবিষয়ে রামপুরহাট মহকুমা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক সুব্রত সরকার বলেন, "ওই এলাকা থেকে বালি তোলা বন্ধের জন্য বেশ কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে । কয়েকজনকে চিহ্নিত করে সচেতনও করা হয়েছে । তাতেও যদি বালি পাচার বন্ধ না হয়, তাহলে আগামীদিনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।"

রামপুরহাট, ২৮ জুলাই : রয়েছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ৷ তবুও বালি তোলা হচ্ছে বীরভূমের ব্রাহ্মণী নদী থেকে ৷ অভিযোগ, তৃণমূল ও প্রশাসনের একাংশের মদতেই চলছে বালি তোলার কাজ ৷

নলহাটি ও রামপুরহাটের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে ব্রাহ্মণী ৷ একদিকে জয়পুর ও অন্যদিকে কৃত্তিপুর গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় পাড় কেটে নদীতে ট্রাক্টর এবং লরি নামিয়ে চলছে বালি তোলার কাজ ৷ এছাড়াও নদীতে নৌকা করে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে মোটরচালিত যন্ত্রের মাধ্যমে বালি তোলা হচ্ছে । এর জেরে 50-100 ফুট পর্যন্ত বিশাল আকৃতির গর্ত তৈরি হচ্ছে নদীতে ৷ আবার কোথাও নদীর চর থেকে বালি তুলে পাচার করা হচ্ছে । তাতে ভেঙে পড়ছে নদীর পাড় । বর্ষায় জল বাড়লে প্লাবিত হতে পারে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলি । এবিষয়ে, বালি তোলার সঙ্গে যুক্ত এক কর্মী বলেন, "জানি বন্যায় গ্রাম ভেসে যাবে ৷ আমাদের ক্ষতি হবে ৷ কিন্তু কিছু করার নেই ৷ আমরা গরিব মানুষ ৷ ঘরে বউ-বাচ্চা আছে ৷ পেটের দায়ে কাজ করতে হচ্ছে ৷"

image
চলছে বালি তোলার কাজ

যেখানে বালি তোলার কাজ চলছে তার একশো মিটারের মধ্যে রয়েছে বৈধরা জলাধার । যদিও জলাধার থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যে বালি তোলা যাবে না বলে নির্দেশিকা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ । কিন্তু , সেই নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে অবাধে চলছে বালি তোলার কাজ ৷ স্থানীয় বাসিন্দা সাজাদ আলি বলেন, "এই ব্রিজটি আমাদের সম্পদ ৷ আমাদের উচিত ব্রিজটিকে রক্ষা করা৷ অন্যদিকে, এখানে গরিব মানুষজন পেটের দায়ে কাজ করছে ৷ তাদের কাছে টাকাটাই প্রাধান্য পায়৷ প্রতিদিন অবাধে বালি তোলা হচ্ছে৷ কিন্তু কিছু করার নেই ৷ বলতে গিয়ে স্থানীয়দের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় ৷"

ভিডিয়োয় শুনুন স্থানীয় বাসিন্দার বক্তব্য

সেচ দপ্তর থেকে এই নদীর উপর চেক গেট করে জলাধার নির্মাণ করা হয়েছে । এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ৷ এছাড়া এই জলাধার থেকেই চাষের কাজে জল নেওয়া হয়৷ ক্রমাগত বালি তোলায় ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারে বৈধরা জলাধার । জলাধারটি ভেঙে পড়লে বন্যায় প্লাবিত হতে পারে আশপাশের শতাধিক গ্রাম । ইতিমধ্যে ব্যারেজ সংলগ্ন এলাকায় গভীর গর্ত করে বালি তুলে নেওয়ার জেরে ফাটল ধরেছে ব্যারেজের গার্ডওয়ালেও । স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বালি মাফিয়াদের দাপটে তাঁদের ভয়ে ভয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে ৷ প্রতিবাদ করলেই রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে ৷ এমনকী সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরাকেও তোয়াক্কা করছে না বালি পাচারকারীরা ৷ ক্যামেরার সামনেই চলছে বালি তোলার কাজ স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং প্রশাসনের মদতেই চলছে এই বালি পাচার ৷ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ৷

এবিষয়ে রামপুরহাট মহকুমা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক সুব্রত সরকার বলেন, "ওই এলাকা থেকে বালি তোলা বন্ধের জন্য বেশ কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে । কয়েকজনকে চিহ্নিত করে সচেতনও করা হয়েছে । তাতেও যদি বালি পাচার বন্ধ না হয়, তাহলে আগামীদিনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।"

sample description
Last Updated : Jul 29, 2019, 3:02 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.