মল্লারপুর, 15 জুলাই: বীরভূমের গর্ব বিজয় কুমার দাই। চন্দ্রযান পাঠানোর কর্মযজ্ঞে সামিল বীরভূমের প্রত্যন্ত গ্রামের বিজয়। ইসরোর গবেষণাগারে বসে চন্দ্রযান 'থ্রি'র সফল উৎক্ষেপণে অংশ নিয়েছেন মল্লারপুর থানার দক্ষিণগ্রামের দাই পাড়ার এই বাসিন্দা। গরিব কৃষক পরিবারে জন্ম নেওয়া বিজয় দারিদ্রকে জয় করে চন্দ্রযানের কর্মযজ্ঞে সামিল হয়েছেন ৷ তিনি ইসরোর ইলেকট্রিক টিমের অন্যতম সদস্য। বিশ্বজোড়া খ্যাতির কর্মকাণ্ডে ছেলের অংশগ্রহণে গর্বিত বিজয়ের বাবা-মা থেকে শুরু করে গ্রামবাসীরা।
চন্দ্রযান 'টু' সফল না-হলেও চন্দ্রযান 'থ্রী' সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে বলেই আশা বিজয় কুমার দাইয়ের বাবা ও মায়ের। 2000 সালে মল্লারপুর থানার দক্ষিণগ্রাম জগত্তারিণী বিদ্যায়তন থেকে 89 শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন বিজয় কুমার দাই। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ থেকে। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার ডিগ্রি লাভ করেন। তারপরই চাকরি পেয়ে যান ইসরোয়। সেখানেই চন্দ্রযান 2 এবং চন্দ্রযান 3 উৎক্ষেপণে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
বিজয় কুমার দাইয়ের এই সাফল্যে খুশি দক্ষিণগ্রামের মানুষজনও। খুশী দক্ষিণগ্রাম জগততারিণী বিদ্যায়তনের শিক্ষকরাও। মা শ্যামলী দাই বলেন, "আমার তিন ছেলের মধ্যে বিজয় মেজো। বড় ছেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বড় ছেলের দেখানো পথেই মেজো ছেলে ইসরোতে পৌঁছতে পেরেছে। বড় ছেলে সব সময় ছোটভাইকে গাইড করত। খুব ভালো লাগছে।" স্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল মণ্ডল বলেন, "আমরা গর্বিত। আমাদের স্কুলের একজন ছাত্র ইসরোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এটা সকলের কাছেই গর্বের বিষয়। আমরা ঠিক করেছি এবার বাড়ি ফিরলে অনুষ্ঠান করে ওঁকে সংবর্ধিত করব। পাশাপাশি তাঁর মাধ্যমে বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করব।"
উল্লেখ্য, চাঁদের মাটি স্পর্শ করার থেকে আর কিছুটা দূরে ভারত। শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে চন্দ্রযান 3। ইতিমধ্যেই তা সফলভাবে পৃথিবীর কক্ষপথ ত্যাগ করেছে বলে জানা গিয়েছে। 24 ঘণ্টারও বেশি সময় কেটে গেলেও এখনও ঠিক পথে সম্পূর্ণ পরিকল্পনামাফিক চন্দ্রযান 3 এগোচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন সূত্রে।
আরও পড়ুন: চন্দ্রযান-3 অভিযানের শরিক এক বাঙালি বিজ্ঞানী, ক্যামেরা ডিজাইনে ইসলামপুরের অনুজ