শান্তিনিকেতন, 27 আগস্ট : পৌষমেলার মাঠ ঘেরা নিয়ে অশান্তি হয়েছে ৷ তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা ৷ এই পরিস্থিতিতে পরবর্তী পৌষমেলা হবে কি না নিশ্চয়তা নেই ৷ তবে পৌষমেলা করার পক্ষে সওয়াল করলেন BJP-র রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত ৷ তবে এবারের মেলা কেন্দ্রীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে আয়োজনের দাবি জানালেন তিনি ৷
তিনি বলেন, "পৌষমেলা হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদর্শ, বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য মেনেই হবে ৷ তবে কেন্দ্রীয় সরকার এবার মেলার দায়িত্ব নিক ৷ "
বিশ্বভারতীয় বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আজ একটি অনলাইন আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন স্বপনবাবু ৷ সেখানে পৌষমেলা, বিশ্বভারতী প্রশাসন, দুর্নীতি-সহ একাধিক বিষয়ে কথা বলেন ৷ তাঁর কথায়, "বিশ্বভারতীর প্রশাসনের ভিতরে দুর্নীতি পৌঁছে গেছে ।" বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সমর্থনে বলেন, "অনেকে চায় বিশ্বভারতী উপাচার্যের উপর চাপ সৃষ্টি করতে । দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বভারতী অডিট রিপোর্টে অনেক গাফিলতি আছে । একজন উপাচার্যকে নিযুক্ত করে নির্দেশ দেওয়া হয় বিশ্বভারতীকে একটু কঠোর হয়ে ঠিক রাস্তায় নিয়ে আসতে হবে । আর এটা পালন করতে গেলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের মধ্যে নিয়মানুবর্তিতা আনতে গেলে, অনেক জনরোষমূলক কাজ করতে হয় ।"
উল্লেখ্য, নোটিশ দিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছিল পৌষমেলা পরিচালনা করতে কর্তৃপক্ষ অপারগ । সেই প্রসঙ্গে স্বপনবাবু বলেন, "পৌষমেলা একটা বড় উৎসব । এটা শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য । একটা জিনিসে আমাদের দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে হবে আর সেটা হল সামনের ডিসেম্বরে পৌষমেলাটা আবার হবে । এটাতে কোনও সমঝোতা নেই । পৌষমেলাটা আমরা করব । করার জন্য কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে আলোচনা করতে হবে । আমি চাই পুরো পৌষমেলাটার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকার নিক ।"
রাজ্য সরকার পৌষমেলা পরিচালনা করবে বা রাজ্য সরকারকে মেলা পরিচালনা করার জন্য আবেদন করা হবে ৷ এই রকম নানান জল্পনা, গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল । এই বিষয়ে কটাক্ষ করে স্বপনবাবু বলেন, "কেউ কেউ চায় পৌষমেলা নিজেদের কব্জায় করে রাজত্ব করতে । বালি চালাচ্ছে, তোলা চালাচ্ছে এবার পৌষমেলাটা কব্জা করবে এই পরিকল্পনাও রয়েছে । সেটাকে ব্যর্থ করতে হবে ।" বক্তব্য শেষে আরও স্পষ্ট করে তিনি বলেন, "পৌষমাস যখন আসবে, পৌষমেলা আবার হবে । রবীন্দ্রনাথের আদর্শ, বিশ্বভারতীর আদর্শ রক্ষা করেই হবে ।"