রামপুরহাট, 2 জুন : লকডাউনে সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী অনেকটাই সচল হয়েছে জনজীবন । রাজ্যে চলছে বেসরকারি বাস, টোটো, অটো, ট্যাক্সি । মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে খোলা হয়েছে রাজ্যের ধর্মস্থানগুলি । শুধু তারাপীঠ মন্দির ছাড়া বীরভূমের প্রায় প্রতিটি ধর্মস্থানে কোরোনা ভাইরাসের সতর্কতা নিয়ে চলছে পূজার্চনা । আর এই তারাপীঠ মন্দির বন্ধ হওয়ার জন্যই বিপাকে পড়েছে রামপুরহাটের প্রায় তিন হাজার মানুষ ।
রামপুরহাট রেল স্টেশনে আসা তারাপীঠের দর্শনার্থীদের একমাত্র যাওয়ার উপায় অটো । লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই রামপুরহাট রেল স্টেশন চত্বরে দাঁড়িয়ে আছে সেই কয়েকশ অটো । কর্মহীন হয়ে পড়েছে অটো চালকরা ৷ সরকারি তরফে বেসরকারি অটো টোটো ও বাস চলার ছাড়পত্র মেলায় আশায় বুক বেঁধেছিল রামপুরহাটের এই অটো ব্যবসায়ীরা । কিন্তু এখনও রামপুরহাট রেল স্টেশনের সামনে সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে প্রায় সাড়ে তিনশত অটো ।
অটোচালক শ্যামল ব্যানার্জি বলেন, ‘‘তারাপীঠের উপরই নির্ভরশীল আমাদের অটো ব্যবসা তাই মায়ের মন্দির না খুললে আমাদের পেটের ভাত জুটবে না ।’’
মায়ের মন্দির খুললেও আগের মতো পূণ্যার্থীর ভিড় হবে কি? প্রশ্নের উত্তরে অটোর মালিক সেসেন শেখ বলেন, ‘‘কোরোনা আতঙ্ক না গেলে তারাপীঠ মন্দিরের কোন পূণ্যার্থী আসবে না । তাই সব খুলে গেলেও মানুষের মন থেকে ভয় যেতে হবে তবেই মানুষ তারাপীঠে পুজো দিতে আসবে । আমাদের প্যাসেঞ্জার বলতে ভরসা একমাত্র তারাপীঠের পূর্ণার্থী যার জন্য এখনো আমাদের রুজি রোজগার বন্ধ ৷’’
আরেক অটোচালক আমির শেখ বলেন ‘‘খুব কষ্টের মধ্যে আছি সরকারি কোন সাহায্য পায়নি কিছু সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এর কাছ থেকে খাদ্য সামগ্রী পেয়েছিলাম তাতেই একবেলা খেয়ে দিন কাটাচ্ছি ৷ কবে ঠিক হবে জানি না ৷’’
রামপুরহাট এবং রামপুরহাট সংলগ্ন বেশ কিছু এলাকা জুড়ে বহু মানুষের রুজি রোজগার বলতে তারাপীঠের মায়ের মন্দির । তাই কবে খুলবে মায়ের মন্দির এই আশায় দিন গুনছে তাঁরা ।