ETV Bharat / state

সরকারি গাড়ি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূল নেতারা, ক্ষুব্ধ কৃষ্ণেন্দু

নির্বাচনের সময় তৈরি আদর্শ নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে। সরকারি গাড়ি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে যাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। শুভেন্দু অধিকারীর সভাতেও দেখা গেল একই ছবি।

নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি
author img

By

Published : Mar 21, 2019, 11:11 AM IST

মালদা, 21 মার্চ : লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই দেশজুড়ে লাগু হয়ে গেছে আদর্শ নির্বাচন আচরণবিধি। সেই বিধিগুলিই বারবার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এমন কী, প্রশাসনের বিরুদ্ধেও। মালদাতেও নেই ব্যতিক্রম। সরকারি গাড়ি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে যাচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা। গতকাল মানিকচকের এনায়েতপুরে শুভেন্দু অধিকারীর সভাতেও সেই ছবিই দেখা গেল।

আচরণবিধি নিয়ে গতকাল সভামঞ্চ থেকে সতর্ক করেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি। তাঁর বক্তব্যে শোরগোল পড়েছিল মঞ্চে উপস্থিত দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে। আজ তা নিয়ে ETV ভারতের সঙ্গে কথা বললেন কৃষ্ণেন্দু।

গতকাল সভা থেকে কৃষ্ণেন্দু বলেন, "দলীয় কর্মীরা সম্ভবত নির্বাচন আচরণবিধি বুঝতে পারছেন না। এই আচরণবিধি অনুযায়ী, সরকারি কোনও দেওয়ালে প্রার্থীর সমর্থনে লেখা যাবে না। স্কুল, কলেজ কিংবা কোনও ধর্মীয় স্থানের দেওয়ালে কোনও কিছু লেখা যাবে না। এই সমস্ত জায়গায় প্রচারও করা যাবে না।" তাঁর মতো দলের অনেকেই সরকারি পদে রয়েছেন। কিন্তু নির্বাচন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিজের সরকারি গাড়ি ছেড়ে দিয়েছেন। সমস্ত সরকারি সুযোগ সুবিধা ছেড়ে দিয়েছেন।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

অনেক সরকারি গাড়ির সামনের বোর্ড কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। অনেকে আবার সেটাও করছেন না। তিনি জানান, এসব নির্বাচন কমিশনের নজরে রয়েছে। এখন ফোনে নির্বাচন কমিশনের অ্যাপস চালু হয়ে গেছে। এই সমস্ত গাড়ির বোর্ড ও নম্বরসহ ছবি তুলে কেউ যদি সেই অ্যাপসে পাঠিয়ে দেয় তাহলে খবর চলে যাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে কমিশন ব্যবস্থা নেবে।

কৃষ্ণেন্দুর বক্তব্যের পর গতকাল মঞ্চে উপস্থিত শাসকদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যে শুভেন্দুবাবু মঞ্চে চলে আসায় বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। মালদা জেলাপরিষদের মেন্টর কৃষ্ণেন্দু আজ এই নিয়ে ETV ভারতের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন। তিনি বলেন, "দেখুন, আমি আইন মেনে চলি। নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি মেনে চলার দায়িত্ব আমার। কিন্তু সেই আচরণবিধি আমি নিজে জেনে চুপ করে থাকব সেটা হবে না। মডেল কোড অফ কনডাক্ট নিয়ে আমি যদি আমার সহকর্মী, নেতৃত্বকে না বোঝাতে পারি, তাহলে এসব বিষয় নিয়ে মামলা হবে। আমাদের পরবর্তীকালে বিপদে পড়তে হবে। এই অবস্থায় আমি যদি আগে থেকেই সবাইকে সতর্ক করতে পারি, তবে সবাই সচেতন হবে। এটা আমার মৌলিক কর্তব্য। দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন লড়ছি। আমার অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। আর যাতে কোনও ভুল না হয়, তার জন্য আমি সজাগ।"

মালদা, 21 মার্চ : লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই দেশজুড়ে লাগু হয়ে গেছে আদর্শ নির্বাচন আচরণবিধি। সেই বিধিগুলিই বারবার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এমন কী, প্রশাসনের বিরুদ্ধেও। মালদাতেও নেই ব্যতিক্রম। সরকারি গাড়ি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে যাচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা। গতকাল মানিকচকের এনায়েতপুরে শুভেন্দু অধিকারীর সভাতেও সেই ছবিই দেখা গেল।

আচরণবিধি নিয়ে গতকাল সভামঞ্চ থেকে সতর্ক করেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি। তাঁর বক্তব্যে শোরগোল পড়েছিল মঞ্চে উপস্থিত দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে। আজ তা নিয়ে ETV ভারতের সঙ্গে কথা বললেন কৃষ্ণেন্দু।

গতকাল সভা থেকে কৃষ্ণেন্দু বলেন, "দলীয় কর্মীরা সম্ভবত নির্বাচন আচরণবিধি বুঝতে পারছেন না। এই আচরণবিধি অনুযায়ী, সরকারি কোনও দেওয়ালে প্রার্থীর সমর্থনে লেখা যাবে না। স্কুল, কলেজ কিংবা কোনও ধর্মীয় স্থানের দেওয়ালে কোনও কিছু লেখা যাবে না। এই সমস্ত জায়গায় প্রচারও করা যাবে না।" তাঁর মতো দলের অনেকেই সরকারি পদে রয়েছেন। কিন্তু নির্বাচন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিজের সরকারি গাড়ি ছেড়ে দিয়েছেন। সমস্ত সরকারি সুযোগ সুবিধা ছেড়ে দিয়েছেন।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

অনেক সরকারি গাড়ির সামনের বোর্ড কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। অনেকে আবার সেটাও করছেন না। তিনি জানান, এসব নির্বাচন কমিশনের নজরে রয়েছে। এখন ফোনে নির্বাচন কমিশনের অ্যাপস চালু হয়ে গেছে। এই সমস্ত গাড়ির বোর্ড ও নম্বরসহ ছবি তুলে কেউ যদি সেই অ্যাপসে পাঠিয়ে দেয় তাহলে খবর চলে যাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে কমিশন ব্যবস্থা নেবে।

কৃষ্ণেন্দুর বক্তব্যের পর গতকাল মঞ্চে উপস্থিত শাসকদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যে শুভেন্দুবাবু মঞ্চে চলে আসায় বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। মালদা জেলাপরিষদের মেন্টর কৃষ্ণেন্দু আজ এই নিয়ে ETV ভারতের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন। তিনি বলেন, "দেখুন, আমি আইন মেনে চলি। নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি মেনে চলার দায়িত্ব আমার। কিন্তু সেই আচরণবিধি আমি নিজে জেনে চুপ করে থাকব সেটা হবে না। মডেল কোড অফ কনডাক্ট নিয়ে আমি যদি আমার সহকর্মী, নেতৃত্বকে না বোঝাতে পারি, তাহলে এসব বিষয় নিয়ে মামলা হবে। আমাদের পরবর্তীকালে বিপদে পড়তে হবে। এই অবস্থায় আমি যদি আগে থেকেই সবাইকে সতর্ক করতে পারি, তবে সবাই সচেতন হবে। এটা আমার মৌলিক কর্তব্য। দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন লড়ছি। আমার অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। আর যাতে কোনও ভুল না হয়, তার জন্য আমি সজাগ।"

sample description
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.